इश्कादृष्ठद्ध छेथेवा পাঠায়। প্ৰসাদপত্র হইতে চিঠি আসে, অতএব উভয়েই প্ৰসাদপরে কিম্বা তাহার নিকটবত্তীর্ণ কোন সথানে অবশ্য বাস করিতেছে, কিন্তু নিশ্চয়কে নিশ্চয়তাঁর করিবার জন্য তিনি কন্যালয়ে প্রত্যাগমন করিয়াই ফাঁড়িতে একটি লোক পাঠাইলেন। সাব ইনস্পেক্টরকে লিখিয়া পাঠাইলেন, একটি কনস্কেটবল পাঠাইবেন, বোধ হয়। কতকগলি চোরা মাল ধরাইয়া দিতে পারিব। সাব ইনস্পেক্টর, মাধবীনাথকে বিলক্ষণ জানিতেন-ভয়ও করিতেন—পত্রপ্রাপিত মাত্র নিদ্রাসিংহ কনভেন্টবলকে পাঠাইয়া দিলেন। মাধবীনাথ নিদ্রাসিংহের হস্তে দাইটি টাকা দিয়া বলিলেন, “বাপ হে– হিন্দি মিনিদ কইও না-যা বলি, তাই কর। ঐ গাছতলায় গিয়া, লাকাইয়া থােক। কিন্তু এমন ভাবে গাছতলায় দাঁড়াইবে, যেন এখান হইতে তোমাকে দেখা যায়। আর কিছল করিতে হইবে না।” নিদ্রাসিংহ স্বীকৃত হইয়া বিদায় হইল। মাধবীনাথ তখন ব্ৰহ্মানন্দকে ডাকিয়া পাঠাইলেন। ব্ৰহ্মানন্দ আসিয়া নিকটে বসিল। তখন আর কেহ সেখানে ছিল না। পরসপরে স্বাগত জিজ্ঞাসার পর মাধবীনাথ বলিলেন, “মহাশয় আমার সবগীয় বৈবাহিক মহাশয়ের বড় আত্মীয় ছিলেন। এখন তাঁহারা ত কেহ নাই—আমার জামাতাও বিদেশস্থ । বিপদৰ আপদত পড়িলেই আমাদিগকেই দেখিতে হয়—তাই আপনাকে ডাকাইয় יין ব্ৰহ্মানন্দের মািখ শকাইল। বলিল, “বিপদ কি মহাশয় ?” মাধবীনাথ গম্ভীরভাবে বলিলেন, “আপনি কিছ, বিপদগ্ৰস্ত বটে।” ব্র্য। “কি বিপদ মহাশয় ?” মা। বিপদ সমােহ। পলিসে কি প্রকারে নিশ্চয় জানিয়াছে যে, আপনার কাছে একখানা চোরা নোট আছে। ব্ৰহ্মানন্দ আকাশ হইতে পড়িল। “সে কি! আমার কাছে চোরা নোট!” মা। তোমার জানা, চোরা না হইতে পারে। অন্যে তোমাকে চোরা নোট দিয়াছে, তুমি না জানিয়া তুলিয়া রাখিয়াছ। ব্ৰ । সে কি মহাশয় ! আমাকে নোট কে দিবে ? মাধবীনাথ তখন আওয়াজ ছোট করিয়া বলিলেন, “আমি সকলই জানিয়াছি—পলিসেও জানিয়াছে! বাসতবিক পলিসের কাছেই এ কথা শনিয়াছি। চোরা নোট প্রসাদপত্র হইতে আসিয়াছে। ঐ দেখ একজন পলিসের কনস্টেবল আসিয়া তোমার জন্য দাঁড়াইয়া আছে— আমি তাহাকে কিছ দিয়া আপাততঃ স্থগিত রাখিয়াছি।” মাধবীনাথ তখন বক্ষতলবিহারী রািলধারী গম্মফশমশ্ৰ-শোভিত জলধর সন্নিভা কনভেন্টবলের কান্তমত্তি দশন করাইলেন। ব্ৰহ্মানন্দ থর থর কপিতে লাগিল। মাধবীনাথের পায়ে জড়াইয়া কাঁদিয়া বলিল, “আপনি রক্ষা করবেন।” মা। ভয় নাই। এবার প্রসাদ পাের হইতে কোন কোন নম্বরের নোট পাইয়াছ, বল দেখি । পলিসের লোক আমার কাছে নোটের নম্বর রাখিয়া গিয়াছে। যদি সে নম্পবরের নোট না হয়, তবে ভয় কি ? নম্বর বদলাইতে কতক্ষণ ? এবারকার প্রসাদ পরের পত্ৰখানি লইয়া আইস দেখি —নোটের নম্বর দেখি । ব্ৰহ্মানন্দ যায় কি প্রকারে ? ভয় করে—কন স্টেবল যে গাছতলায়। মাধবীনাথ বলিলেন, “কোন ভয় নাই, আমি সঙেগ লোক দিতেছি।” মাধবীনাথের আদেশমত একজন দবারবান ব্ৰহ্মানন্দের সঙ্গে গেল। ব্ৰহ্মানন্দ রোহিণীর পত্ৰ লইয়া আসিলেন। সেই পত্রে, মাধবীনাথ যাহা যাহা খজিতেছিলেন, সকলই পাইলেন। পত্র পাঠ করিয়া ব্ৰহ্মানন্দকে ফিরাইয়া দিয়া বলিলেন, “এ নম্বরের নোট নহে। কোন ভয় নাই—তুমি ঘরে যাও। আমি কনভেন্টবলকে বিদায় করিয়া দিতেছি।” ব্ৰহ্মানন্দ মন্তদেহে প্ৰাণ পাইল। উদ্ধৰ্ব্বশবাসে তথা হইতে পলায়ন করিল। মাধবীনাথ কন্যাকে চিকিৎসাৰ্থ সবগহে লইয়া গেলেন। তাহার চিকিৎসাৰ্থ উপযক্তি চিকিৎসক নিযক্ত করিয়া দিয়া, স্বয়ং কলিকাতায় চলিলেন। ভ্রমর অনেক আপত্তি করিল— মাধবীনাথ শনিলেন না। শীঘ্রই আসিতেছি, এই বলিয়া কন্যাকে প্ৰবোধ দিয়া গেলেন। G. C.
