দেবী চৌধরাণী যাইব । সে ভার আমার। তুমি উদ্যোগ করিয়া তাঁকে আগে পাঠাইয়া দাও। আমরা পশ্চাৎ প্ৰ। পালকী বেহােরা আনিতে গিয়াছে। পালম্বকী বেহােরা শীঘ্রই আসিল । হরিবল্লভও সন্ধ্যাহিক সংক্ষেপে সারিয়া বজরায় আসিয়া উঠিলেন। দেখিলেন, নিশি ঠাকুরাণী ক্ষীর, ছানা, মাখন ও উত্তম সােপক্ক আম, কদলী প্রভৃতি ফল তাঁহার জলযোগের জন্য সাজাইতেছে। নিশি অনানয় বিনয় করিয়া, তাঁহাকে জলযোগে বসাইল। বলিল, “এখন আপনি আমার কুটম্বব হইলেন ; জলযোগ না করিয়া যাইতে পরিবেন। न्मा !' হরিবল্লভ জলযোগে না বসিয়া বলিল, “ব্রজেশবের কোথায় ? কাল রাত্রে বাহিরে উঠিয়া গোল --আর তাকে দেখি নাই।” । নিশি। তিনি আমার ভগিনীপতি হইবেন—তাঁর জন্য ভাবিবেন না। তিনি এইখানেই মুছে-আপনি জলযোগে বসান ; আমি তাঁহাকে ডাকিয়া দিতেছি। সেই কথাটা তাঁকে বলিয়া N੭ | হরিবল্লভ জলযোগে বসিল । নিশি ব্রজেশবরকে ডাকিয়া আনিল। ভিতরের কামরা হইতে ব্রজেশবের বাহির হইল দেখিয়া উভয়ে কিছ অপ্ৰতিভ হইলেন। হরিবল্লভ ভাবিলেন, আমার চাঁদপানা ছেলে দেখে, ডাকিনী বেটীরা ভুলে গিয়েছে। ভালই। ব্ৰজেশবরকে হরিবল্লভ বলিলেন, “বাপ হে, তুমি যে এখানে কি প্রকারে আসিলে, আমি ত তা এখনও কিছর বাঝিতে পারি নাই। তা যাক –সে এখনকার কথা নয়, সে কথা পরে হবে। এক্ষণে আমি একটি অননুরোধে পড়েছি।--তা অন্যুরোধটা রাখিতে হইবে। এই ঠাকুরাণীটি সংকুলীনের মেয়ে- –ও’র বাপ আমাদেরই পালটি—তা। ওর একটি অবিবাহিতা ভগিনী আছে— পাত্র পাওয়া যায় না-কুল যায়। তা কুলীনের কুলরক্ষা কুলীনেরই কাজ—মটে মজারের ত কাজ নয়। আর তুমিও পনেকবার সংসার কর, সেটাও আমার ইচ্ছা বটে, তোমার গভর্ধারিণীরও ইচ্ছা! বটে। বিশেষ বড় বউমাটির পরলোকের পর থেকে আমরা কিছ: এ বিষয়ে কাতর আছি। তাই বলছিলাম, যখন অন্যুরোধে পড়া গেছে, তখন এ কৰ্ত্তব্যই হয়েছে। আমি অননুমতি করিতেছি, তুমি এর ভগিনীকে বিবাহ কর।” ব্রজেশবের মোটের উপর বলিল, “যে আজ্ঞা ।” নিশির হাসি পাইল, কিন্তু হাসিল না। হরিবল্লভ বলিতে লাগিলেন, “তা আমার পালকী বেহােরা এসেছে, আমি আগে গিয়া বৌভাতের উদ্যোগ করি। তুমি যথাশাস্ত্র বিবাহ করে বৌ নিয়ে বাড়ী যেও । ব্ৰ । যে অজ্ঞ । হর। তা তোমায় আর বলিব কি, তুমি ছেলেমানষে নও-কুল, শীল, জাতি, ময্যাদা, সব আপনি দেখে শানে বিবাহ করবে। (পরে একটা আওয়াজ খাটাে করিয়া বলিতে লাগিলেন।) আর আমাদের যেটা পাওনা গণডো, তাও ত জান ? ব্রজ । যে অজ্ঞ | হরিবল্লভ জলযোগ সমাপন করিয়া বিদায় হইলেন। ব্রজ ও নিশি তাঁহার পদধলি লইল । তিনি পালকীতে চড়িয়া নিঃশবাস ফেলিয়া দ গােনাম করিয়া প্ৰাণ পাইলেন। ভাবিলেন, “ছেলেটি ডাকিনী বেটীদের হাতে রহিল—তা ভয় নাই। ছেলে আপনার পথ চিনিয়াছে। চাঁদমখের সববত্র জয় ৷ ” হরিবল্লভ চলিয়া গেলে, ব্রজেশবের নিশিকে জিজ্ঞাসা করিল, “এ আবার কি ছল ? তোমার ছোট বোন কে ?” () নিশি। চেন না ? তার নাম প্ৰফল্লা । ব্রজ। ওহে! বঝিয়াছি। কি রকমে এ সম্পবন্ধে কত্তাকে রাজি করিলে ? নিশি। মেয়েমানষের অনেক রকম আছে। ছোট বোনের শাশড়ী হইতে নাই, নহিলে আরও একটা সম্পবন্ধে তাঁকে রাজি করিতে পারিতাম। দিবা রাগিয়া উঠিয়া বলিল, “তুমি শীগগির মরা। লতাজা সরাম কিছই নাই ? পরিষমানষের সঙ্গে কি অমন করে কথা কহিতে হয় ?” fʼ V Ci G& Gg
