वर्ग७ष्कश ज्ञफनाबव्ी গিন্নবীর, কিন্তু নিন্দাটা বধরেই অধিক হইল; কেন না, বড় কেহ মািখ দেখিতে পায় নাই। ধেড়ে মেয়ে বলিয়া সকলেই ঘণা প্রকাশ করিল। আবার সকলেই বলিল, “কুলীনের ঘরে আমন ঢের হয়।” তখন যে যেখানে কুলীনের ঘরে বড় বোঁ দেখিয়াছে, তার গলপ করিতে লাগিল। গোবিন্দ মািখয্যা পঞ্চায় বৎসরের একটা মেয়ে বিয়ে করিয়াছিল, হরি চাটয্যা সত্তর বৎসরের এক কুমারী ঘরে আনিয়াছিলেন, মন, বাঁড়ায্যা একটি প্রাচীনার অন্তজালে তাহার পাণিগ্রহণ করিয়াছিলেন, এই সকল আখ্যায়িকা সালঙ্কারে পথিমধ্যে ব্যাখ্যাত হইতে লাগিল। এইরহপ আন্দোলন করিয়া ক্ৰমে গ্রাম ঠান্ডা হইল। গোলমাল মিটিয়া গেল ; গিন্নী বিরলে ব্ৰজেশবরকে ডাকিলেন। ব্ৰজ আসিয়া বলিল, “কি মা ? “ গিন্নী। বাবা, এ বৌ কোথা পেলে, বাবা ? ব্ৰজ | এ নািতন বিয়ে নয়, মা ! গিন্নী । বাবা, এ হারাধন আবার কোথায় পেলে, বাবা ? গিন্নীর চোখে জল পড়িতেছিল । ব্রজ। মা, বিধাতা দয়া করিয়া আবার দিয়াছেন। এখন মা, তুমি বাবাকে কিছ বলিও না। নিজজনে পাইলে আমি সকলই তাঁর সাক্ষাতে প্ৰকাশ করিব । গিন্নী। তোমাকে কিছ: বলিতে হইবে না, বাপ, আমিই সব বলিব। বৌভাতটা হইয়া যাক। তুমি কিছ ভাবিও না। এখন কাহারও কাছে কিছ: বলিও না।
- স্বীকৃত হইল। এ কঠিন কাজের ভার মা লইলেন। ব্ৰজ বাঁচিল। কাহাকে কিছ
পাকস্পশা নিবিবাঘে হইয়া গেল। বড় ঘটা পটা কিছ হইল না, কেবল জনকতক আত্মীয়সবজন ও কুটািম্পব নিমন্ত্ৰণ করিয়া হরিবল্লভ কায্য সমাধা করিলেন। পাকিসপশের পর গিন্নী আসল কথাটা হরিবল্লভকে ভাণ্ডিগয়া বলিলেন। বলিলেন যে, “এ নািতন বিয়ে নয়—সেই বড় বউ ।” হরিবল্লভ চমকিয়া উঠিল--সপত ব্যাঘ্রকে কে যেন বাণে বিধিল । ‘অ্যাঁ, সেই বড় বউ—— কে বল্লে?” গিন্নী । আমি চিনেছি। আর ব্রজও আমাকে বলিয়াছে। হর। সে যে দশ বৎসর হলো ম'রে গেছে। গিন্নী। মরা মানষেও কখন ফিরে থাকে ? হর। এত দিন সে মেয়ে কোথায় কার কাছে ছিল ? গিন্নী। তা আমি ব্ৰজেশবরকে জিজ্ঞাসা করি নাই। জিজ্ঞাসাও করিব না। ব্ৰজ যখন ঘরে আনিয়াছে, তখন না বঝিয়া সঝিয়া আনে নাই। হর। আমি জিজ্ঞাসা করিতেছি। গিন্নী। আমার মাথা খাও, তুমি একটি কথাও কহিও না। তুমি একবার কথা কহিয়াছিলে, তার ফলে আমার ছেলে আমি হারাইতে বসিয়াছিলাম। আমার একটি ছেলে। আমার মাথা খাও, তুমি একটি কথাও কহিও না। যদি তুমি কোন কথা কহিবে, তবে আমি গলায় দড়ি দিব । হরিবল্লভ এতটকু হইয়া গেলেন। একটি কথাও কহিলেন না। কেবল বলিলেন, “তবে লোকের কাছে নািতন বিয়ের কথাটাই প্রচার থােক।” গিন্নী বলিলেন, “তাই থাকিবে ।” সময়ান্তরে গিন্নী ব্রজেশবরকে সমসংবাদ জানাইলেন। বলিলেন, “আমি তাঁকে বলিয়াছিলাম তিনি কোন কথা কহিবেন না। সে সব কথার আর কোন উচ্চবাচ্যে কাজ নাই।” . ব্ৰজ হৃন্টচিত্তে প্ৰফল্লিকে খবর দিল। আমরা স্বীকার করি, গিন্নী এবার বড় গিন্নীপনা করিয়াছেন। যে সংসারের গিন্নী গিন্নীপনা জানে, সে সংসারে কারও মনঃপীড়া থাকে না। মাঝিতে হাল ধরিতে জানিলে নৌকার ভয় কি ? ヒガWりしf