পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

స్పిట মিদ্রিত প্রণয়। ৰঙ্গ দশম, জ্যৈঃ, ১২৮২ ৷ ক্ষমতা নাই।” এই বাক্য বলিব মাত্র - সম্মুখস্থ ধূমাবলীর অভ্যন্তর হইতে কতিপয় মুনীর মূৰ্ত্তি বহির্গত হইয়া প্রণয়ের শয্যা সন্নিকর্ষে সমাগমন পূৰ্ব্বক কেহ বা । नि প্রদান দ্বারা, কেহ বা অশ্রবারি বৰণ পূৰ্ব্বক তাহাকে জাগরিত করিতে সাধ্যমত চেষ্টা করিতে লাগিল । কেহ বা অস্তরে দুঃখরাশি থাকিতেও কৃত্রিম হর্ষ প্রকাশ করিতে করিতে কেহ বা মনঃপীড়ায় প্রপীড়িত হইয়া হস্তঘর্ষণ করিতে করিতে কেহ বাক্ষিতিন্যস্ত জানু হইয়া কেহ বা রাজ্যসিংহাসন,কেহ মুগ্রচুর স্বর্ণও হীরকাবলী, কেহ সন্ত্রমপতাকা, কেহ যশো| মালা প্ৰদানানন্তর কাতর স্বরে কহিতে লাগিল। “হে প্রণয়! আর কতকাল নিদ্র। যাইবে ? শয্যা হইতে গাত্ৰোখান কর।” প্রণয় তাহদের বাক্যে কর্ণপাত । "না করিয়া, এবং তাহাদের প্রদত্ত ধনে, সস্নেহ চুম্বনে এবং অশ্রজীবনে কিছুমাত্র উদ্বুদ্ধ না হইয়া অগাধে নিদ্রা যাইতে লাগিলেন। ক্রমে ক্রমে এই সমস্ত মূৰ্ত্তি যাত্ৰিগণের নয়নপথ হইতে অপসারিত হইয়া গেল। অবিলম্বে জনৈক পাণ্ডুবর্ণ শীর্ণ কলেবর পুরুষ, সৎকারোপযোগী ব: శక్తేశ్ সনে বসাম, ধূমগর্ত হইতে বহির্গত হইলেন। নিঃশবপদসঞ্চারে প্রণয়ের পা । লঙ্কপাশ্বে সমাগত ছইলেন । ক্টের ঘনঘটায় ধরণী অঙ্গে যেরূপ কালিম পড়ে, তাহার আগমনে প্রণয়ের স্বর্ণকান্তি সেইরূপ বিকৃতভাবু ধারণ করিল। চীৎ কার করিয়া প্রণয় উঠিয়া বসিলেন, এবং যাহার তদীয় নিদ্রাভজনাৰ্থ এতকাল বৃথা চেষ্টা করিয়াছিল, তাহাদিগকে হৃদয়ে গ্ৰহণার্থ করপ্রসারণ করিলেন। কিন্তু তাহারা যে পথে গিয়াছে সে পথ হইতে কেহ কথন ফিরে নাই; কেহই আসিল না। তখন উদ্বুদ্ধ প্রণয় রোদন করিতে লাগিলেন । এই সময়ে ঘোগিবর যাত্রীদিগের প্রতি স্বীয় উজ্জল গম্ভীর কটাক্ষ ক্ষেপণ করিলেন । ধীর গম্ভীর স্বরে বলিলেন, “তোমাদিগের হৃদয়বেদন-শাস্তিসাধনার্থ | আমার এই भाज মহৌষধ—সকলেই বু: | ঝিতে পারিয়াছ,—মৃতু্যচ্ছায়া স্বীয় শরীরে পতিত না হইলে নিদ্রিত প্রণয় উদ্বুদ্ধ হয় না।”