পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. . ) સ્વ: ***૨ .جوان «مه | করিতে পারিলাম । २० ।। কাব্যের দুইট উদেশ্যঃ বর্ণন, ও ! **1, - এই জগৎ শোভাময়। যাহা দেখিতে সুন্দর, শুনিতে সুন্দর, যাহা সুগন্ধ, যাহা সুকোমল, তৎসমুদায়ে বিশ্ব পরিপূর্ণ। কাব্যের উদ্দেশু সৌন্দর্য, কিন্তু সৌন্দৰ্য্য খুঁজিতে হয় না---এ জগৎ যেমন দেখি, তেমনি যদি লিখিতে পারি, যদি ইহার যথার্থ প্রতিকৃতির স্বষ্টি করিতে পারি, তাহা হইলেই সুন্দরকে কাব্যে অবতীর্ণ অতএব কেবল বর্ণনা মাত্রই কাব্য । ংসার সৌন্দর্য্যময় কিন্তু যাহা স্বন্দর নহে, তাহারও অভাব নাই। পৃথিবীতে কদাকার কুবর্ণ, পুতিগন্ধ, কর্কশম্পর্শ, ইত্যাদি বহুতর কুৎসিত সামগ্ৰী আছে, , এবং অনেক বস্তু এমনও আছে যে, তাহাতে সৌন্দর্য্যের ভাব বা অতাব কিছুই লক্ষিত হয় না। ইহাও কি কাব্যের সামগ্ৰী? অথচ ঐ সকলের বর্ণনাও ত কাব্যমধ্যে পাওয়া যায়—এবং অনেক সময় যাহা অসুন্দর, তাহারই স্বজন কবির। মুখ্য উদেপ্তস্বরূপ প্রতীয়মান হয়। কারণ কি ? : . . . . . * - - সকলেই বৃদ্ধিশালী। কাব্যের অফি কারও বৃদ্ধির নিয়মানুসারে বৃদ্ধি পাই স্বাছে। আদৌ সুন্দরের বর্ণনা বর্ণনা কব্যের উদেশু। কিন্তু জগতে স্বন্দর প্রকৃতি সংশোধন করিয়া লয়েন-যাহা । করেন—সৌদর্যের অতিপ্রকৃত চরমোৎ { . . . . . " অম্বন্দর মিশ্ৰিত, অনেক সুন্দরের বর্ণ নার নিতান্ত প্রয়োজনীয় অঙ্গ, অম্বন্দরের । বর্ণনা; অনেক সময়ে আনুষঙ্গিক অল্প- ; ন্দরের বর্ণনায় স্বন্দরের সৌন্দৰ্য্য স্পষ্টীকৃত হইয় থাকে। এজন্য অম্বন্দরের বর্ণনা বর্ণনাকাব্যে স্থান পাইয়াছে; কালে । বর্ণনা মাত্রই বর্ণনাকাব্যের উদ্দেশ্য হইয়া । উঠিয়াছে। * . . অতএব সম্পূর্ণতাপ্রাপ্ত বর্ণনাকাব্যের l উদেশ্য, স্বরূপ বর্ণনা । জগৎ যেমন । আছে, ঠিক তাহার প্রকৃত চিত্রের স্বজন । করিতে এ শ্রেণীর কবির যত্ন করেন । আর এক শ্রেণীর কবিদিগের উদেশ্য 1 অকিবল স্বরূপ বর্ণনা নহে । অপ্রকৃত | বর্ণনাও তাহদের উদ্বেগু নহে। তাহারা সুন্দর,তাহাই বাছিয়া বাছিয়া লইয়া,যাহা অম্বন্দর তাহ বহিষ্কৃত করিয়া কাব্যের । প্রণয়ন করেন। কেবল তাহাই নহে। } স্বন্দরেও যে সৌন্দৰ্য্য নাই যে রস, যে | রূপ, যে স্পর্শ, যে গন্ধ, কেহ কথন | | ইন্দ্রিয়গোচর করে নাই, “যে আলোক - - জলে স্থলে কোথাও নাই” সেই আত্মচিত্ত | প্লুত করিয়া, স্বন্দরকে আরও স্বন্দর { - शङ्कतानि। শ্ৰীগঙ্গাচরণ সরকার প্রণীত। চুচুড়া সাধারণী श्वघ्न ! r