পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালিদিগের ভাষায় অধিক বুৎপত্তি লাভ করিতে পারি নাই। তবে, কিছু কিছু শিখিয়াছি। এবং গোলেস্তান এবং ৰোস্তান নামে যে দুইখানি বাঙ্গালা পুস্তক আছে তাহার অনুবাদ পাঠ করিয়াছি। ঐ দুইখানি পুস্তকের স্থল মৰ্ম্ম এই যে, যুধিষ্ঠির নামে রাজা, রাবণ নামে আর একজন রাজাকে বধ করিয়া তাহার মুহিৰ্ষী মন্দোদরীকে হরণ করিয়াছিল । মন্দোদরী কিছুকাল বৃন্দাবনে বাস করিয়া কৃষ্ণের সঙ্গে লীলা খেলা করেন। পরিশেষে, তাহার পিতা,কৃষ্ণের নিমন্ত্রণ ন করায় তিনি দক্ষযজ্ঞে প্রাণত্যাগ করেন। আমি কিছুই বাঙ্গাল শিথিয়াছি। বাঙ্গালির হাইকোর্টকে হাই কোর্ট বলে, গবর্ণমেণ্টকে গবর্ণমেণ্ট বলে, ডিক্রীকে ডিক্ৰী বলে,ডিষমিষকে ডিষমিষ,রেলকে রেল, ডোরকে দোর, ডবলকে ডবল, ইত্যাদি ইত্যাদি বলে । ইহাতে স্পষ্টই প্রতীয়মান হইতেছে, যে বাঙ্গালা ভাষা ইংরেজির একটি শাখা মাত্র । , ইহাতে একটি সন্দেহ উৎপন্ন হুইতেছে । যদি বাঙ্গাল। ইংরেজির শাখাই হইল, তবে ইংরেজেরা এদেশে আসিবার পূৰ্ব্বে এদেশে কোন ভাষা ছিল কি না ? দেখ, আমাদিগের খ্ৰীষ্টের নাম হইতে ইহাদিগের প্রধান দেবতা কৃষ্ণের নাম নীত হইয়াছে, এবং অনেক ইউরোপীয় পণ্ডিতের* মতে ইহাদিগের প্রধান পুস্তক ( arrশম, কাঃ, ১৯৮২ ) কোন “ স্পেশিয়ালের” পত্র । নাম নিয়ে লিখিতেছি । \OS 6. তৎপ্রণীত ভগবৎগীতা বাইবেল হইতে - অনুবাদিত। সুতরাং বাইবেলের পূৰ্ব্বে । যে ইহাদিগের কোন ভাষা ছিল না, i ইহা একপ্রকার স্থির । তাহার পরে, ! কবে ইহাদিগের ভাষ৷ হইল, বলা যায় । না । বোধ করি, পণ্ডিত বর মক্ষমূলর, । মনোযোগ করিলে, এবিষয়ের মীমাংস। করিতে পারেন। যে পণ্ডিত মীমাংসা করিয়াছেন যে অশোকের পূৰ্ব্বে আর্য্যেরা লিখিত জানিত না, সেই পণ্ডিতই এ - কথার মীমাংসায় সক্ষম। আর একটি কথা আছে। সর উই. লিয়ম জোন্স হইতে মক্ষ মূলর পর্য্যন্ত প্রাচ্যবিৎ পণ্ডিতেরা বলেন যে এদেশে ংস্কৃত নামে আর একটি ভাষা আছে। কিন্তু এদেশে অসির আমি কাহাকেও সংস্কৃত কহিতে বা লিখিতে দেখি নাই । সুতরাং এদেশে সংস্কৃত ভাষা থাকার বিষয়ে আমার বিশ্বাস নাই । বোধ হয়, এটি সর উইলিয়ম জোন্স প্রভৃতির কারসাজি । তাহার। পশারের জন্য এভাষাটি সৃষ্টি করিয়াছেন ।* যাহ। হোক, ইহুদিগের সামাজিক অবস্থা সম্বন্ধে কিছু বলিব । তোমরা শুনিয়াছ, যে হিন্দুর চারিটি জাতিতে | বিভক্ত ; কিন্তু তাহ নহে। ইহাদিগের মধ্যে অনেকগুলি জাতি আছে,তাহাদের

  • Dr. Lorinzer &c.
  • সাবধান, কেহ হাসিবেন না । মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিত ডুগাল্ড ষ্টুয়ার্ট যথার্থই এই মতাবলম্বী ছিলেন ।