পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)1 چ به با ه .:ftة , هfه = eه ) বহিয়া, বৃষ্টির জল পড়িয়া ভাসিয়া সাইতেছিল । তথাপি রাধারাণী সেই এক পয়সার বনফুলের মালা বুকে করিয়া রাখিয়াছিল—ফেলে নাই । এমত সময়ে অন্ধকারে, অকস্মাৎ কে । আসিয়া রাধারাণীর ঘাড়ের উপর পড়িল । রাধারণী এতক্ষণ উচ্চৈঃস্বরে ডাকিয়া কঁদে নাই—এক্ষণে উচ্চৈঃস্বরে কাদিল । যে ঘাড়ের উপর অসিয়া পড়িয়াছিল সে বলিল, “ কে গ৷ তুমি কঁাদ ?” পুরুষমামুষের গলা—কিন্তু কণ্ঠস্বর শুনিয়া রাধারাণীর রোদন বন্ধ হইল । রাধারাণীর চেনা লোক নহে—কিন্তু বড় দয়ালু লোকের কথা—রাধারাণীর ক্ষুদ্র বুদ্ধিটুকুতে ইহা বুঝিতে পারিল । রাধারাণী রোদন বন্ধ করিয়া বলিল, “ আমি দুঃখীলোকের মেয়ে। তামার কেহ নাই—কেবল মা আছে ।” সে পুরুষ বলিল, “ তুমি কোথা গিয়াছিলে ?” রা। আমি রথ দেখিতে গিয়াছিলাম । বাড়ী যাইব । কিন্তু অন্ধকারে, বৃষ্টিতে পথ পাইতেছি না । পুরুষ বলিল, “তোমার বাড়ী কোথা ?” রাধারাণী বলিল, “ শ্রীরামপুর ।” সে ব্যক্তি বলিল, “আমার সঙ্গে আইস —আমিও শ্রীরামপুর যাইব । চল, কোন পাড়ায় তোমার বাড়ী—তাহ আমাকে বলিয়া দিও—আমি তোমাকে বাড়ী রাথিয়া আসিতেছি। বড় পিছল, তুমি আমার হাত ধর, নহিলে পড়িয়া যাইবে।” , রাধারণী । S) : 3 এইরূপে সে ব্যক্তি রাধারণীকে লইয়া চলিল । অন্ধকারে সে রাধরাণীর বয়স অকুমান করিতে পারে নাই, কিন্তু কথার স্বরে বুঝিয়াছিল, যে রাধারাণী বড় বাfলকা ৷ এখন রাধারাণী তাহার হাত ধরায় হস্তম্পর্শে জানিল, র:ধারাণী বড় বালিক। তখন সে জিজ্ঞাসা করিল যে, “ তোমার বয়স কত ?” রাধা । দশ এগার বছর – “ তোমার নাম কি ?” - রাধ। । রাধারণী “হঁ। রাধারাণী । একেল রথ দেখিতে গিয়াছিলে কেন?” তখন সে, কথায় কথায়, মিঃ২ কথা গুলি বলিয়া, সেই এক পয়সার বনফুলের মালার সকল কথাই বাহির করিয়া লইল । শুনিল, যে মাতার পথ্যের জন্য বালিকা এই মালা গাথিয়া রথহাটে বেচিতে লইয়াগিয়াছিল-- রথ দেখিতে যায নাই—সে মালাও বিক্রয় হয় নাই—-এক্ষণও বালি- ! কার হৃদয়মধ্যে লুক্কায়িত আছে। তখন । সে বলিল,“আমি একছড়া মালা খুজিতে । আমাদের বাড়ীতে ঠাকুর ' রথের হাট ; শীঘ ভাঙ্গিরা গেল—আমি তাই মালা । ছিল{স আছে তাহাকে পরাইব । কিনিতে পারি নাই । -ভ আমি কিমি ।” রাধারাণীর আনন্দ হইল, কিন্তু মনে । ভাবিল যে আমাকে যে এত যত্ন করিয়া, } হাত ধরিয়া, এ তান্ধকারে বাড়ী লইয়। যাইতেছে, তাহার কাছে দাম লইব কি 品需°e তুমি ছেলেমানুষ । তুমি মালা বেচ | 5