পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રજનન, cજી: ૨- ૨ বাঙ্গালি কবি কেন ? بكيبيدي... - - - ம் ஆ "י-שא \లిసిసి মুকুমার চরণসরোজ বিন্যস্ত করিয়া দাড়াইয়া আছেন। উভয়েয় পার্শ্বে কাৰ্ত্তিকেয় এবং গজানন সুন্দরের—চয়ম এবং কুৎসিতের চরম । নিম্নে মহাদৈত্য মহিষাসুর বীর দৰ্পে বিকট দশনে অধর দংশিয়া অসি উখিত করিতেছে—দুর্জয় সিংহ তাহাকে ভীম পরাক্রমে আক্রমণ করিতেছে | মস্তকোপরি দেবাসুরের অপূৰ্ব্ব যুদ্ধের অপূৰ্ব্ব চিত্র। অঙ্গনে ছাগ শোণিতের ধারা; সেই শোণিতে বিভূ ষিত হইয়া ভক্তিভাবপরিপ্লুত ভক্ত নাচিতেছে। এ অপূৰ্ব্ব দৃশ্য দেখিলে হৃদয় মধ্যে মহান ভাবের তরঙ্গ বহেন, এমন নীরস, শুষ্ক হৃদয় কার আছে ? এ উৎসবে যে এক বার মাতিয়াছে—কোন বাঙ্গালিসন্তান মাতে নাই ?—মিণ্টন পড্রার কাজ তাহার হইয়া গিয়াছে। ইহার উপর আবার আনুষঙ্গিক কবিত্ব আছে। বালকের মানাহার ভুলিয়া গিয়াছে, যুবকেরা আনন্দে মাতিয়াছেন ; নববিকসিতা কুস্বমরূপিণী বঙ্গকুলবধূ সুন্দর অলঙ্কারে সুন্দর দেহ সুন্দর করিয়া সাজাইয়া, বহু দিনের পর প্রিয়সন্মিলন হইবে এই আনন্দে চঞ্চল হইয়া উঠিয়াছেন; প্রবাসী, এক বৎসরের দাসত্বযন্ত্রণা ভুলিবার আশায় উৰ্দ্ধশ্বাসে গৃহাভিমুখে ছুটিতেছেন। বৃদ্ধের পর্য্যস্ত বাৰ্দ্ধক্যের উপর উৎসাহ চাপ দিয়া আবার যুব হইয়া উঠিয়াছেন। বঙ্গের আনন্দের সীমা নাই ; বিচিত্র অট্টালিকায় এবং পর্ণকুটীরে রাজপথে এবং অন্তঃপুরে, কেবল আনন্দধ্বনি STkCCTCCTiSCS উঠিতেছে, কেবল হৃদয়ানুভূত উৎসাহ ; তরঙ্গ খেলিতেছে । পিতার কাছে পুত্ৰ , আসিতেছে, পুত্রের কাছে পিতা আসি- ' তেছেন, প্রণয়িনীর কাছে প্রণয়ী আসিতেছে, আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব একত্র সমবেত হইতেছে—আনন্দের সীমা কি ? এক মাস পূৰ্ব্ব হইতে বঙ্গবাসী যে দিনের আশাপথ চাহিয়াছিল, সেই দিন আসিয়াছে—এক মাস পূৰ্ব্ব হইতে যে ভাবের বহ্নি ধিক ধিক জ্বলিতেছিল,আজি তাহা একেবারে জ্বলিয়া উঠিয়াছে। কেবল ভক্তের বলিয়া নহে, সমস্ত বঙ্গবাসীর হৃদয়সাগরে, ভালের প্রবল বাতাসে উচ্চ তরঙ্গ উঠিতেছে। পূর্বেই বলা হইয়াছে, যে কেহ যে কোন ভাবের বেগ হৃদয়ের । মধ্যে অনুভব করিয়াছেন, তিনিই কবি । ফুর্গোৎসব বাঙ্গালিকে কবিত্বের পথে অনেকটা অগ্রসর করিয়াছে । বাঙ্গালির বারমাসে তের পর্ব আছে ; ফুর্গোৎসব সৰ্ব্বপ্রধান বলিয়া কেবল ইহারই উল্লেখ করিলাম। বুদ্ধিমান পাঠককে আর অধিক বলিবার আবশ্যক নাই । আমরা এক্ষণে বৈষ্ণবধৰ্ম্ম সম্বন্ধে দুই চারিটি কথা বলিব । বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম বাঙ্গালিকে যতটা কোমল করিয়াছে এত বোধ হয় আর কিছুতেই । নহে । এধৰ্ম্ম কোমলতাপূর্ণ, প্রণয়পূর্ণ, মধুপুর্ণ—যশোদার বাৎসল্য, রাধিকার । উগ্র অনুরাগ, কৃষ্ণের লীলা, ব্রজরা খাল- ; দিগের ভ্রাতৃভাব, গোপাঙ্গনাদিগের বিলাস চেষ্টা, বৈষ্ণবদিগের যে অংশ দেখ et fri