পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بیb و \8 ভরতমহিলা । ( व अने-म भr: - २० ३ ॥ ভারতমহিলা le [প্রাচীন ভারতবর্ষীয়দিগের বুদ্ধিবৃত্তি ] প্রাচীনকালে ভারতবর্ষে নানা বিদ্যার চর্চা ছিল । আর্য্য পণ্ডিতের নানা শাস্ত্রে পারদর্শী ছিলেন। গণিতশাস্ত্র ভারতবর্ষেই সৰ্ব্বপ্রথমে উন্নতি লাভ করে । ভারতবর্ষীয়দিগের দর্শনশাস্ত্র ইয়ুরোপীয় দর্শনশাস্ত্র হইতে কোন অংশেই নূ্যন নহে। যে সকল তত্ত্বের আবিষ্কার করিতেছেন তাহার অনেক তত্ত্ব প্রাচীন ঋষি ও পণ্ডিত দিগের গ্রন্থাবলীতে দেখিতে পাওয়া যায়। যে সকল শাস্ত্র আলোচনায় গভীর চিন্তার প্রয়োজন, তীক্ষ্ণ বুদ্ধির প্রয়োজন, ও দীর্ঘকালব্যাপী মানসিক পরিশ্রমের প্রয়োজন সে সকল শাস্ত্রই ভারতবর্ষে সমুন্নতি লাভ করিয়াছে। [ৰ্তাহাদিগের কল্পনাশক্তি ] | আৰ্য পণ্ডিতেরা শুদ্ধ বুদ্ধিবৃত্তির পরি | তাহাদিগের কল্পনাশক্তিও বিলক্ষণ তেজস্বিনী ছিল। তাহাদিগের সাহিত্য,রত্নাকর ! বিশেষ। উহাতে যে রত্ব চাও তাহাই মিলিবে । কি নৈসর্গিক সামগ্ৰী, নদ, নদী, পৰ্ব্বত, কন্দর, কি শিল্প সামগ্ৰী, ইয়ুরোপীয়েরা সহস্ৰ বৎসর চিন্তার পর | চালনা করিয়াই ক্ষান্ত হয়েন নাই । প্রথম অধ্যায়। । প্রাসাদ, বাপী, উপবন, ক্রীড়াশৈল ; কি ! আন্তরিক গভীরভাব হৃদয় বিদারকশোক প্রবাহ,কি আনন্দনিসন্দিনী প্রণয় বর্ণন, । সকল বিষয়েই আর্য্যকবিগণ আপনা দিগের কল্পনাশক্তি” প্রয়োগ করিয়াছেন এবং আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে র্তাহার সকল বিষয়েই কৃতকাৰ্য্য হইয়াছেন । [কবিত্বশক্তির আশ্চৰ্য্য প্রভাব ।] কবিদিগের এক আশ্চৰ্য্য ক্ষমতা এই যে র্তাহার। যদি কোন জঘন্য বা ভয়ানক । বস্তু বর্ণনায় প্রবৃত্ত হয়েন তাহাও সুন্দর বলিয়া বোধ হয় । তাহাতেও আমাদের আন্তরিক তৃপ্তি হয়। শ্মশান অতি ভয়ানক পদার্থ; কিন্তু ভবভূতি সেই শ্মশান বর্ণনা করিয়াই তাহার পাঠকবর্গের প্রীতি উৎপাদন করিয়াছেন। তাতএব তাহারা যদি কোন উৎকৃষ্ট বস্তুর বর্ণনায় প্রবৃত্ত হয়েন, যাহা লোকে ভাল বাসে এমন কোন বস্তুর বর্ণনায় প্রবৃত্ত হয়েন,তাহারা যে আরো অধিক প্রীতি উৎপাদন করি বেন, আশ্চৰ্য্য কি ? প্রণয় মনুষ্যহৃদয়ের । একটি অমূল্য রত্ন। নারীগণ সেই প্রণ য়ের অধিষ্ঠাত্রী। সুতরাং কবিগণ সকল । দেশে ও সকল সময়েই নারীচরিত্র বর্ণনা • এই প্রবন্ধ মহারাজ ত্রযুক্ত হুলকার প্রদত্ত পুরস্কার প্রাপ্ত হইয়াছিল। تماسه ইহা শ্ৰীহরপ্রসাদ ভট্টাচাৰ্য্য বি, এ, প্রণীত। . - | - . றம்