পাতা:বঙ্গদর্শন-চতুর্থ খণ্ড.djvu/৫৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ब अs*ग, टेध्: २२० २ ॥ ভূত হইতেছে। অতএব সংস্কৃত ভিন্ন অন্য প্রকার ভাষাও ছিল,ইহাতে কোনও সন্দেহ নাই। ঋগ্বেদের অথবা তৎসমজাতীয় গ্রন্থের সংস্কৃত আমরা বুঝিতে পারি না। তাহার i কয়েকটা নিগৃঢ় কারণ আছে। প্রথমত: | বর্তমান কালের সংস্কৃত ব্যাকরণের অধীন বেদের সংস্কৃত ব্যাকরণের অধীন নয়। (ব্যাকরণই বেদবাক্য অনুসারে রচিত যেহেতু ব্যাকরণ বেদের অনেক পরে) । দ্বিতীয়তঃ বাক্যের আকার সংস্থান এক্ষণকার অপেক্ষ অনেক বিভিন্ন । তৃতীয়তঃ পূৰ্ব্বে যে সকল শব্দ দ্বার। যে সকল বস্তুকে বুঝাইবার প্রথা ছিল, এক্ষণে আর সেই সকল শব্দদ্বারা সেই সকল বস্তু বুঝান হয় না এবং শব্দ সকলের সম্বন্ধ ঘটনা এক্ষণ কার রীতি বহিভূত । মনে করুন— ‘সত্যং তেষা অমাবস্তু ধন্থঞ্চিদ। রুদ্রিয়াসঃ। মিহ কুম্বন্ত বাতাং ” (ঋগ্বেদের ১ অং, ১ম অষ্টক, ১ম, ২৮ হুক্ত, ৭ ঋক্) এই ঋক্ ! পাঠ যাত্রে বোধ হয় কেহই বুঝিবেন না, না বুঝিবার অন্য কিছু কারণ নাই, কেবল ঐ সকল শব্দ ও ঐরূপ রীতি আমরা কখন অনুভব করি নাই । ‘সত্যং” এই শব্দটী আমরা ব্যবহার করি—উহা বুঝ গেল। তৎপরে “ ত্বেষ।” বুঝিলাম না, আমাদের বুদ্ধিতু+এষ। এইরূপ গ্রহণ করিতেই প্রথমতঃ ধাবিত হইবে, কিন্তু তাহা নহে। আমরা যেরূপ স্থলে “ত্বিষ্ণু” শব্দের ব্যবহার করি—তেমনি স্থলে বেদ । “ত্বেষা” শব্দ ব্যবহার হইয়াছে। “ত্বেষ।” TLTkSTSTMiSLLLeeSJSYzSYeTT &రిలి ঐ ত্বিষ, শব্দই। অম বন্তঃ” অম শব্দে বল বুঝায় । “অম” এষ্টট বলের একটা নাম, তাহা আমব আর শুনিতে পাই ন সুতরাং বুঝিতেও পারি না । “ধন্থঞ্চিদা” “ধন্বন মরুভূমি"চিৎ’ প্রায়শঃ । ইহা বুঝিলেও বুঝা যায় বটে কিন্তু “চিদা” এই চিৎ শব্দের পরে তাকার থাকাতেই গোলযোগ। ঐ আকারটার । সহিত “অবাতাং” শখের সম্বন্ধ । আ । অবাতাৎ । তা সমস্তাৎ । এইরূপ অর্থ হুইবে । ইত্যাদি পূৰ্ব্বে ব্যাকরণে ছিল न! । - “ বৃহস্পতি রিন্দ্রায় দিব্যং বর্ষসহস্ৰং । প্রতি পদোক্তানাং শব্যানাং শব্দ পারায়ণং : গ্রোবাচনান্তং জগাম।" এই বেদবাক্য । দ্বারা প্রতীতি হয় যে, পূৰ্ব্বকালে চীন | দেশীয় বর্ণমালার ন্যায় একটা একটা করিয়া শবরাশি শিথিয় গ্রন্থাধ্যয়ন করিতে হইত। কিছুকাল পরে কিঞ্চিৎ কৌশল সম্পন্ন প্রণালী নিবদ্ধ হইল— অর্থাৎ নাম, আখ্যাত, উপসর্গ, নিপাতন, এই ৪ জাতি শক । “চত্বারি শৃঙ্গ ত্রয়ো- ; হস্য পাদা দ্ধে শীর্ষে সপ্ত হস্ত সোংসা । । ত্রিধ বন্ধে বৃষভে বীর বীতি মহো দেবো মর্ত্যাং আবিবেশ ।” শব্দ সমুদ্রের । পার প্রাপ্তির নিমিত্ত কতকগুলি সুনিয়ম সংস্থাপিত হইলে উক্ত রূপক বাক্যটী লোকে আনন্দের সহিত পাঠ করিয়াছিল । বৈয়াকরণিক বস্তুগুলিকে উহাতে বৃষরূপে বর্ণিত হইয়াছে। যথা—নাম, আখ্যাত, উপসর্গ, নিপাত, এই ৪ প্রকার sعسنتقـخـتـہ ■o ü