| ! সঙ্গ দশম, তাঃ, ১২৮১ i) চন্দ্রশেখর । ( তাহার মনের কথা বুঝিতে পারিয়া ব্যগ্র ভাবে বলিলেন, “চুপ! এক্ষণে কিছু বলিও না । আমি নিজেই সকল বলিব —কিন্তু তোমার অনুমতি সাপেক্ষ।” প্র । আমার অনুমতি কেন ? শৈ। স্বামী যদি আমায় পুনৰ্ব্বার গ্রহণ করেন—তবে মনের পাপ আবার লুকাইয়া রাখিয়া, তাহার প্রণয়ভাগিনী হওয়া উচিত হয় ? প্র । কি করিতে চাও ? শৈ। পূৰ্ব্ব কথা সকল তাহাকে বলিয়া; ক্ষমা চাহিব । প্রতাপ চিন্তা করিলেন—বলিলেন, “বলিও। আশীৰ্ব্বাদ করি, তুমি এবার মুখী হও।” এই বলিয়া প্রতাপ নীরবে অশ্রীবর্ষণ করিতে লাগিলেন । শৈ । আমি সুখী হইব না। তুমি থাকিতে আমার সুখ নাই— প্র । সে কি শৈবলিনি ? শৈ। যতদিন তুমি এ পৃথিবীতে থাকিবে, আমার সঙ্গে আর সাক্ষাৎ করিও না । স্ত্রীলোকের চিত্ত অতি আসার; কতদিম বশে থাকিবে জানি না । এজন্মে তুমি আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিও না । প্রতাপ আর উত্তর করিলেন না । দ্রুতপদে অশ্বারোহণ, করিয়া, অশ্বে কষাঘাত পূৰ্ব্বক সমর ক্ষেত্রাভিমুখে ধাবমান হইলেন। র্তাহার সৈন্যগণ তাহার প৷ শাৎ পশ্চাৎ ছুটিল। ". গমন কালে চন্দ্রশেখর, ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কোথা যাও?” প্রতাপ বললেন, "যুদ্ধে।” i চন্দ্রশেখর ব্যগ্রভাবে, উচ্চৈঃস্বরে ব- ! লিতে লাগিলেন, “ যাইও না। যাইও । না । ইংরেজের যুদ্ধে রক্ষণ নাই।” প্রতাপ, বলিলেন, “ ফষ্টর এখনও জী- : বিত আছে। তাহার বধে চলিলাম।” । চন্দ্রশেখর দ্রুতবেগে আসিয়া প্রতাপের ; অশ্বের বল্গা ধরিলেন। বলিলেন, “ ফষ্টরের বধে কাজ কি ভাই? যে | দুষ্ট, ভগবান তাহার দণ্ডবিধান করি । বেন—তুমি আমি কি দণ্ডের কর্তা? যে | অধম সেই শক্রর প্রতিহিংসা করে—যে | উত্তম, সে শক্রকে ক্ষমা করে।” ; প্রতাপ, বিন্মিত, পুলকিত হইলেন । । এরূপ মহতী উক্তি তিনি কখন লোক মুখে | শ্রবণ করেন নাই। অশ্ব হইতে অবতরণ করিয়া, চন্দ্রশেখরের পদধূলি গ্রহণ করি- ! লেন । বলিলেন, “ আপনিই মনুষ্য : মধ্যে ধন্ত । আমি ফষ্টরকে কিছু বলিব । না ।” এই বলিয়া প্রতাপ পুনরপি অশ্বারো । হণ করিয়া, যুদ্ধক্ষেত্ৰাভিমুখে চলিলেন । । চন্দ্রশেখর বলিলেন, “প্রতাপ, তবে আবার যুদ্ধক্ষেত্রে যাও । কেন ?” প্রতাপ, মুখ ফিরাইয়। অতি কোমল, { অতিমধুর হাসি হাসিয়া বলিলেন, “আমার ! প্রয়োজন আছে।” এই বলিয়। অশ্বে | কষাঘাত করিয়৷ অতি দ্রুতবেগে চলিয়৷ গেলেন । - --. সেই ছসি দেখিয়া, রমানন্দস্বামী উ ।
