পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চন্দ্রশেখর। . )i هکدهه هatt , و تهیهwه নল ফেলিয়া দিয়া আসূিয়, রমণীমুখপদ্ম কি ইহজন্মের সারভূত করিব? ছি! ছি! তাহা পারিব না। তবে কি এই নিরপবাহিনী শৈবলিনী জামার পাপের প্রায়কিন্তু করিবে? এই স্বকুমার কুস্কমকে কি জত্বগু যৌবনতাপে দগ্ধ করিবার জন্তই বেচুত করিয়াছিলাম ?” এইরূপ চিন্তা করিতেই চন্দ্রশেখর আহার করিতে ভুলিয়া গেলেন। দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । দলনী বেগম । বাঙ্গালা বেহার ও উড়িষ্যার অধিপতি, নবাব আলিজা মীর কাসেম খা, মুঙ্গেরে বসতি করিতেন। তাহার দুর্গমধ্যে প্রবেশ করি। তথায় অন্তঃপুরমধ্যে, একটি প্রকোষ্ঠের ভিতর, খাজা সরা দিগের প্রহরা অঠিক্রম করিয়া, প্রবেশ করি। রাত্রির প্রথম যাম মাত্র অতীত হইয়াছে। প্রকোষ্ঠ মধ্যে, স্বরঞ্জিত হৰ্ম্ম্যতলে, স্বকোমল গালিচার বিছানা । রজত দ্বীপে গন্ধ তৈলে জালিত, আলোক জলিতেছে। স্বগন্ধ এবং কুসুমদামের স্বাণে গৃহ পরিপূরিত হইয়াছে। কিম্বাবের উপাখানে ক্ষুদ্র মস্তকটি বিস্তন্ত করিয়া একটি ক্ষুদ্রকায় বালিকাকত যুবতী শয়ন করিয়া গুলেস্ত পড়িবার জন্ত যত্ন পাইতেছে। যুবতী সপ্তদশ বর্ষীয়, কিন্তু খৰ্ব্বাকৃত বলিকার স্তায় স্বকুমার। ওলেস্ত পড়িতেছে, এবং এক একবার উটৰ চাহিয়া দেখিতেছে, এবং আপন ন কতই কি বলিতেছে। কখন বলি እፄ: তেছে “এখনও এলেন না কেন?” আ- } বার বলিতেছে ‘কেন আসিবেন? শতদাসীর মধ্যে আমি একজন দাসীমাত্র, আমার জন্ত এতদূর আসিবেন কেন?” বালিকা আবার | গুলেস্ত পড়িতে প্রবৃত্ত হইল। আবার অল্পদুর পড়িয়াই, বলিল, “ভাল লাগে না। ভাল নাই আসুন, আমাকে স্মরণ করিলেই | ত আমি যাই । তা আমাকে মনে পড়িবে কেন? আমি শতদাসীর মধ্যে একজন বৈ ত নই।” আবার গুলেস্ত পড়িতে আ- | রম্ভ করিল, আবার পুস্তক ফেলিল, বলিল, “ভাল, ঈশ্বর কেন এমন করেন? একজন | কেন আর এক জনের পথ চেয়ে পড়িয়া থাকে ? যদি তাই ঈশ্বরের ইচ্ছা, তবে যে যাকে পায় সে তাকেই চায় না কেন? যাকে না পায় তাকে চায় কেন? আমি লতা হইয়া শালবৃক্ষে উঠিতে চাই কেন?” তখন যুৱতী, পুস্তক ত্যাগ করিয়া, গাত্ৰোখান করিল। ! নিদোষ গঠন ক্ষুদ্র মস্তকে লম্বিত ভূজঙ্গ- 1 রাশি তুল্য নিবিড় কুঞ্চিত কেশ ভার ছলিল | —স্বৰ্ণ খচিত সুগন্ধ বিকীর্ণ উজ্জ্বল উত্তরীয় দুলিল—তাহার অঙ্গ সঞ্চালন মাত্র গৃহমধ্যে | যেন রূপের তরঙ্গ উঠিল। অগাধ সলিলে যেমন চাঞ্চল্য মাত্রে তরঙ্গ উঠে, তেমনি তরঙ্গ উঠিল । তখন, সুন্দরী এক ক্ষুদ্র বীণা লইয়া তাঁহাতে ঝঙ্কার দিল, এবং ধীরে২, অতি মৃদুস্বরে, গীত আরম্ভ করিল—যেন শ্রোতার ভয়ে ভীত হইয়া গায়িতেছে। এমত সময়ে নিকটস্থ প্রহরীর অভিবাদন শব্দ এবং বাহকদিগের পদধ্বনি তাহার কর্ণরন্ধে