পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| $ t কোন ব্যবসা আদিম এবং কোন গুলি { متعایتیی. ( इष्rश्*म ज्ञ:, २२•* ) })8ס\ ভিন্নং শাস্ত্রের ঐক্য নাই এবং বর্তমান কালে সেই সকল ব্যবসাবলম্বিগণ বিভিন্ন নাম ধারণ করিতেছে। শাস্ত্রোক্তি পরিত্যাগ করিয়া দেশাচার গ্রহণ করিলে দেখা যায় যে প্রত্যেক বর্ণের জাতি ব্যবসা সৰ্ব্বত্র সমান নহে সুতরাং অভিনব তাহা নির্ণয় করা অসাধ্য। তবে এই উদ্দেশে লোক সংখ্যা করিলে এই সকল বিষয় নির্ণীত হইতে পারে। ইহার একটা উদাহরণ এই । লোকসংখ্যা রি | পার্টে কাপালিজাতি তত্ত্ববায় বলিয়া বর্ণিত | হইয়াছে।. কিন্তু আমরা একটি প্রবাদ বচন শুনিৰ্বাছি তাহাতে কাপলিগণ কৃষি ব্যব- ! যথা “ বামন ' সায়ী বলিয়া বোধ হয় । চোস হকে, তৃণ চোসা সেঁকো, কায়েত চোস জমি, আর কাপালি চোসা ভূমি” । । বস্তুতঃ কোন২ স্থানে বস্ত্র ব্যবসায়ী কাপালি | { থাকিতে পারে; লেখক কাপালি বর্ণকে কৃষক বলিয়াই জানেন এইরূপ নানা বর্ণ । আছে সুতরাং এমত স্থলে কোন বর্ণের প্রকৃত ব্যবসা কি তাহা নির্ণয় করা দুষ্কর। ব্যবসাভেদ, জাতিভেদের একটি প্রধান লক্ষণ বটে কিন্তু যে পর্য্যস্ত লোকের ব্যবসা পরিবর্তন বিষয়ে রাজনিষেধ রহিত হইআছে সেই অবধি ব্যবসা অনুসারে বর্ণ বভাগ করা পও শ্রমের মধ্যে গণ্য হইবেক। বিভর্লি সাহেবকৃত বর্ণ শ্রেণী তাহার কপোল কল্পিত কিন্তু দেশাচার মতে এনং বর্ণ বিভাগের একটি প্রকরণ প্রচ'ত আছে। যথা তারতম্য ভো। । লোকে কোনই বর্ণকে শ্রেষ্ঠ, কোন বর্ণকে { মধ্যম এবং কাহাকে নিকৃষ্ট বলিয়া গণ্য করিয়া থাকে। হেতু বাহাই হউক কাৰ্য্যে ইহাদিগের মধ্যে সন্মান ও সমাদর বিষয়ে বিশেষ বিভিন্নতা দৃষ্ট হয়। কিন্তু ইহাও ! এত মতভেদে পুর্ণ যে আমরা কোন পরিস্কার মীমাংসা করিতে পারিব এমত ভরসা : করি না । যে খানে বর্ণ সংখ্যা সহস্ৰাধিক ! এবং ভিন্ন ২ বর্ণের মধ্যে আহার উপবেশন ও আলাপ বিষয়ে এতাদৃশ ভেদ সেখানে কোন ব্যক্তি কর্তৃক সমস্ত বর্ণের আচার ব্যবহার বিষয়ক নিগৃঢ় নিয়ম আয়ত্ত হওয়া সহজ নহে। ব্রাহ্মণের সৰ্ব্বোপরি শ্রেষ্ঠ তাহাতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু যেমন একদিগে কারন্থগণ আপনাদিগকে স্ববর্ণবণিক এবং সদগোপ অপেক্ষ মাননীয় বলিয়া জানেন সেইরূপ পক্ষান্তরে শেষোক্ত বর্ণ স্বয় আপনাদিগকে কায়স্থ অপেক্ষা কোন মতে নিকৃষ্ট বলিতে অসম্মত । বৃহদ্ধৰ্ম্ম পুরাণে সঙ্কীর্ণ বর্ণ সকল পিতৃ ও মাতৃ বর্ণের মৰ্য্যাদানুসারে প্রথম মধ্যম ও অধম এই তিন শ্রেণীতে বিভক্ত হইয়াছে সঙ্কীর্ণ বর্ণ উৎপত্তি বিবয়ে কয়েকটা প্রকরণ আছে। তদনুসারে নানা প্রকার সাঙ্কর্য্য হইতে পারে ১ । চতুৰ্ব্বর্ণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বর্ণের পুরুষ এবং তাহার অব্যবহিত পরবর্ণের নারী এতদুভয় হইতে সঙ্কীর্ণ বর্ণ হইলে এক প্রকার সাঙ্কৰ্য্য হয়। ২ । ঐ রূপ স্ত্রী পুরুষ মধ্যে যখন এক কি দুই বর্ণ ব্যবধান থাকে যথা ব্ৰাহ্মণ ও বৈতা 학