| | 888 জ্ঞানদাস । g (बजन-fम, अf६, ४ २e e | রূপ গুণে রস সিন্ধু মুখছটা যেন ইন্দু, মালতির মালা গলে দোলে। বসি মোর পদতলে, গারে হাত দেই ছলে, আমা কিনা বিকাইনু বোলে ৷ কিবা সে ভুরূর ভঙ্গ, ভূষণ ভূষিত অঙ্গ কাম মোহে লয়নের কেf:ণ । হাসি হাসি কথা কয়, পরাণ কাড়িয়া লয়, ভুলাইতে কস্ত রঙ্গ জানে ॥ উৎকৃষ্ট বলিয়াই, একবিতাটি উদ্ধৃত হইল না । ইহার গুণ আছে, কিন্তু গুরুতর দোষও আছে। বিদ্যাপতি প্রভৃতি প্রাচীন কবিদিগের রচনায়, অপ্রাকৃত বর্ণনা ! দোষ তাদৃশ দেখা যায় না--ভারত চন্দ্রাদি আধুনিক কবিদিগের রচনার সে দোষ লক্ষিত হয় । “ নিদ নাই মনের হরিযে” শ্রাবণ রজনীতে, বৃষ্টির সময়ে “ কোকিল কুহরে কুতূহলে” “ডাহুকী সে গরজে” এ গুলি আধুনিক কবির লক্ষণ । আবার “ মরমে পৈঠল স্নেহ হৃদয়ে লাগল দেহ শ্রবণে ভরল সেই বাণী ।” এগুলি প্রাচীন কবির উক্তির ন্যায় শুনায়। নিম্নলিখিত গীতে অপ্রাকৃত বর্ণন নাই— g ও চাদ মুখের মধুৰ হাসনি সদাই মরমে জাগে । মুখ তুলি যদি ফিরিয়া না চাহ আমার শপথি লাগে ৷ তোমার অঙ্গের পরশে আমার চিরজীবী হোক তনু । জপ তপ উছ সকলি আমার করের মোহন বেণু । দেহ গেহ সারs তুমি সে নয়ন তারা । আধ তিল তোম না দেখিলে সব বাসি আমি আঁধিয়ারা । এত পরিহারে, করিয়ে তোমারে মনে না ভাবিহ আন । করজ লিখিয়ে, লেহ যে আমায়, দাস করি অভিমান ৷ জ্ঞানদাস কহে শুনহ সুন্দরী এ কোন ভাব যুবতী । কান্তু সে কাতর ' সদয় হইয় কেননা করহ প্রীতি । বৈষ্ণবদিগের কবিতা, সকলই রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক, অন্য বিষয়ক কবিতাম্পাওয়া দায় না। ইহা পরিতাপের বিষয় সন্দেহ নাই। তবে, তাহাদিগের গুণ এই যে র্তাহার রাধাকৃষ্ণোপলক্ষে সাধারণ মানব হৃদয় চিত্রিত করিয়াছেন । মনুষ্য হৃদয়ের সঙ্গে মনুষ্য হৃদয়ের ষে নিত্য সম্বন্ধ তাহtরই অভিব্যক্তি কবিতার বিষয়—যাহারা রাধাকৃষ্ণ নামে বিরক্ত, তাহারা উক্ত নাম দ্বয়ের স্থলে ক ও খ আদেশ করিয়া পাঠ করুন, কোন ক্ষতি হইবে না। আর যখন রাধাকৃষ্ণ বাঙ্গালি জাতির অস্থিমজ্জায় প্রবেশ করিয়াছে, তখন তৎপ্রতি সকলই আমার । বিরক্ত হইয়া, জাতীয় কবিতায় জাতীয় । চরিত্র নিরীক্ষণে পরায়ুখ হইলে চলিবে । ন!—দেহ কাটিয়া শরীর তত্ত্ব না জানিলে চিকিৎসক হওরা যায় না। এ কথা স্মরণ রাখিয়া, পাঠকের নিম্নলিখিত গীত কয়টি পাঠ করুন।
পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৩৮
অবয়ব