পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अश्रव-fग, भाष, ०२० • ) সীর সঙ্গে বিবহ দিলেন f দ্বিতীয়, মুর্শিদাবাদে চাকরি করিয়া দিলেন । চাকরি আরস্ত করির প্রতাপ দুই চারিবৎসরে প্রাধান্য লাভ করিলেন । সে সকল কালে দুই এক বৎসর চাকরি করিয়া লোকে জমীদার হইত। প্রতাপের দ্বারা পূৰ্ব্বতন নবাব এক দিন বিশেষ উপকৃত হইলেন। প্রত্যুপক্ষার স্বরূপ, তাহাকে এক খানি জমীদারী দিলেন। প্রতাপ চাকরি ত্যাগ করিয়া জমীদারীতে বসিলেন। শৈবলিনী প্রতাপকে না দেখিয়া তাহাকে ভুলিয়া গেলেন । রূপসীর সঙ্গে প্রতাপের বিবাহ ন হইলে কোন গোল ছিল না জমীদারীতে বসিয়া, প্রতাপ মধ্যে মধ্যে শ্বশুর শ্বাশুড়ীকে দেখিতে আদিতেন। শৈবলিনীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হইল । শৈবলিনী দেখিল, তাহার সেই বাল্য সখা প্রতাপ, মহেন্দ্রনিন্দিত বীরকাস্তি ধারণ করিয়াছে । শৈবলিনী সৌন্দর্য্য তৃষ্ণায় পুড়িতে লাগিল । প্রতাপ, চন্দ্রশেখরকে পিতার ন্যার ভক্তি করিতেন । শৈবলিনীর গতিক দেখিয়া, বেদগ্রামে আসা বন্ধ করিলেন ।

  • msnmmns

চতুৰ্ব্বিংশতিতম পরিচ্ছেদ । 畿 কঁদে । জ্যোৎস্ব ফুটিয়াছে। গঙ্গার দুই পার্শ্বে বহুদুর বিস্তৃত বালুকাময় চর। চন্দ্র করে, লিকতা-শ্রেণী অধিকতর ধবল শ্ৰী ধরিক্টছে ; গঙ্গার জল, চন্দ্র করে প্রগাঢ়তর নীলিমা প্রাপ্ত হইয়াছে। গঙ্গার জল ঘন । নীল—তটারূঢ় বনরাজী ঘনশ্যাম, উপরে আকাশ রত্নখচিত নীল। এরূপ সময়ে বিস্তৃতি জ্ঞানে কখন কখন মন চঞ্চল হইয়া উঠে। নদী অনস্ত; যতদূর দেখিতেছি নদীর অন্ত দেখিতেছি না, মানবাদৃষ্টের দ্যায় অস্পষ্ট দৃষ্ট ভবিষ্যতে মিশাইয়াছে। নীচে নদী অনন্ত ; পার্শ্বে বালুকাভূমি অনন্ত ; তীরে বৃক্ষশ্রেণী অনন্ত, উপরে আকাশ অনন্ত ; তন্মধ্যে তারকামালা অনন্ত সংখ্যক। এমন সময়ে কোন মমুষ্য আপনাকে গণনা করে ? এই যে নদীর উপকুলে যে বলুকাভূমে তরণীর শ্রেণী বাধা রহিয়াছে, তাহার বালুক কণার অপেক্ষা মনুষ্যের গৌরব কি ? এই তরণীশ্রেণীর মধ্যে একখানি বড় বজরা আছে—তাহার উপরে শিপাহীর পাহারা। শিপাহীদ্বয়, গঠিত মূর্তির স্থায়, বন্দুক স্কন্ধে করিয়া, স্থির দাড়াইয়া রহিয়াছে। ভিতরে, স্নিগ্ধ ফটিকদীপের আলোকে নানাবিধ মহার্ঘ আসন, শয্য, চিত্র, পুত্তল, প্রভৃতি শোভা পাইতেছে। ভিতরে কয়জন সাহেব। দুই জনে সতরঞ্চ খেলিতেছেন । একজন সুরাপান করিতেছেন, ও পড়িতেছেন। একজন বাদ্য বাদন করিতেছেন। অকস্মাৎ সকলে চমকিয়া উঠিলেন। সেই নৈশ নীরব বিদীর্ণ করিয়া, সহসা বিকট ক্রনীন ধ্বনি উখিত হইল । আমিয়ট সাহেব জনসনকে কিস্তি দিতে দিতে বলিলেন, “ও কি ও?” ।