পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S JSSS SDBBBBDDS f (दजन नीम, बt, ४९४ = ! তিনি মুকবি এবং বিশুদ্ধ রুচি; তিনি যশস্বী হইবার যোগ্য। ভরসা করি পুন: মুদ্রাঙ্কন কালে আপনার পরিচয় দিবেন। এই কবির বিশেষ গুণ এই যে চিত্তের যে সকল ভাব কোমল এবং স্নেহময়, তৎ সমুদায় অপূৰ্ব্বশক্তিসহকারে উদ্ভূত করিতে পারেন। সেই অপূৰ্ব্ব শক্তিটি কি, তাহা আমরা সবিস্তারে বুঝাইব । যখন হৃদয়, কোন বিশেষ ভাবে আছন্ন হয়,—স্নেহ কি শোক, কি ভয়, কি যাহাই হউক, তাহার সমুদয়াংশ কখন ব্যক্ত হয় না । কতক টা ব্যক্ত হয়, কতকটা ব্যক্ত | হয় না। যাহা ব্যক্ত হয় তাহা ক্রিয়ার দ্বারা বা কথার দ্বারা । সেই ক্রিয়া এবং কথা নাটককারের সামগ্ৰী। যে টুকু অব্যক্ত থাকে, সেই টুকু গীতিকাব্যপ্রণেতার সামগ্ৰী। যে টুকু সচরাচর অদৃষ্ট, আদর্শনীয়, এবং অন্তের অননুমেয় অথচ ভাবাপন্ন ব্যক্তির রুদ্ধ হৃদয়মধ্যে উচ্ছসিত, তাহ তাহাকে ব্যক্ত করিতে হইবে। মহাকাব্যের বিশ্লেষ গুণ এই যে কবির উভয়বিধ অধিকার থাকে; ব্যক্তব্য এবং অব্যক্তব্য উভয়ই তাহারআয়ত্ত। মহাকাব্য নাটক এবং গীতি কাব্যে এই একটি প্রধান প্রভেদ বলিয়া বোধ হয়। অনেক নাটক কর্তা তাহা বুঝেন না, ಸ್ತ್ರಕ್ಷ್ সুপ্রাকৃত এবং বাগাড়ম্বর বিশিষ্ট হইয়া ‘উঠে। সত্য বটে,যে গীতিকাব্য লেখককেও বাক্যের দ্বারাষ্ট্র রসোদ্ভাবন করিতে হুইবে ; "নাটক কারের ও সেই বাক্য সহায়। কিন্তু अन्इ अकन नाही डिनि बह रुडन, যে বাক্য ব্যক্তব্য, নাটককারকেবল তাহাই বলাইতে পারেন। যাহা অব্যক্তব্য তাহাতে গীতি কাব্যকারের অধিকার। উদাহরণ ভিন্ন ইহা অনেকে বুঝিতে পারিবেন না । কিন্তু এ বিষয়ের একটি উত্তম উদাহরণ এই বঙ্গ দর্শনে প্রকাশিত উত্তরচরিত সমালোচনায় উদ্ধত হইয়াছে। সীতা বিসর্জন কালে ও তৎপরে রামের ব্যবহারে যে তারতম্য ভবভূতির নাটকে এবং বাল্মীকির রামায়ণে দেখা যায়, তাহার আলোচনা করিলে এই কথা হৃদয়জম হইবে। রামের চিত্তে যখন যে ভাব উদয় হইতেছে, ভবভূতি তৎক্ষণাৎ তাহ লেখনী মুখে ধৃত করিয়া লিপি বদ্ধ করিয়া cझन; बाख्दा यक्९ श्रवाङदा उँउत्वहे डिनि স্বকৃত নাটক মধ্যগত করিয়াছেন। ইহাতে নাটকোচিত কাৰ্য্য না করিয়া গীতি কাব্য কারের অধিকারে প্রবেশ করিয়াছেন । বাল্মীকি তাহা না করিয়া কেবল রামের কার্য্য গুলিই বর্ণিত করিয়াছেন, এবং তত্ত্বং কার্য্য সম্পাদনার্থ ষতখানি ভাবব্যক্তি আবশ্বক, তাহাই ব্যক্ত করিয়াছেন। ভবভূতিকৃত ঐ রাম বিলাপের সঙ্গে ডেসডিমোনা বধের পর ওথেলোর লেও এ কথা বুঝা যাইবে। সেক্ষপীয়র এমত কোন কথাই তৎকালে ওথেলোর মুখে ব্যক্ত করেন নাই, যাহা তৎকালীন কাৰ্য্যাৰ্থ, বা অন্তের কথার উত্তরে ব্যক্ত করা প্রয়োজন হইতেছে না । ব্যক্তব্যের অতিরেকে তিনি এক রেখাও যান নাই।