পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(۱۹۰۱ : مه، চন্দ্রশেখর। ৫১৯ দিনহত হইতেছে; আবার উঠতেছে,\তুমিই অজেয় তোমাকে কেউ কেউ বার প্রস্থত হইতেছে; শিখরাভিমুখ ইতে জলপ্রবাহ বিষমবেগে আসিয়া শবলিনীর কঙ্কাল পর্য্যন্ত ডুবাইয়া ছুটতছে । তুমি, জড় প্রকৃতি ! তোমায় কোটি কাটি কোটি প্রণাম ! তোমার দয়া নাই, মতা নাই, স্নেহ নাই,—জীবের প্রাণ Iাশে সঙ্কোচ নাই, তুমি অশেষ ক্লেশের জননী—অথচ তোমা হইতে সব পাষ্টতছি—তুমি সৰ্ব্ব স্বর্থের আকর, সৰ্ব্ব ঙ্গিলময়ী, সৰ্ব্বার্থ সাধিকা, সৰ্ব্ব কামনা পূর্ণ কারিণী, সৰ্ব্বাঙ্গ সুন্দরী ! তোমাকে নমস্কার, হে মহাভয়ঙ্করি নানা রূপ রঙ্গিন! কালি তুমি ললাটে চাদের টপ পরিয়া, মস্তকে নক্ষত্র কীরিটি ধরিয়া, ভুবন মোহন হাসি হাসিয়া, ভুবন মোহিয়াছ ; গঙ্গার স্কুদ্রোৰ্ম্মিতে পুষ্পমালা গাথিয়া পুষ্প্রে পুষ্পে চন্দ্র বুলাইয়াছ; সৈকত বালুকায়, কত কোটি কোটি হীরক জালিয়াছ, গঙ্গার হৃদয়ে মধুর নীলিমা ঢালিয়া দিয়া, তাতে কত মুখে যুবক যুবতীকে ভাসাইয়াছিলে ? যেন কত আদর জান—কত আদর করিয়া ছিলে। আজি একি ! তুমি অবিশ্বাস যোগ্য। সৰ্ব্বনাশিনী! কেন জীব লইয়া তুমি ক্রীড়া কর তাহা জানিনা—তোমার বুদ্ধি নাই, জানু নাই, চেতনা নাই—কিন্তু তুমি সৰ্ব্ব মী, সৰ্ব্ব কত্রী, সৰ্ব্বনাশিনী এবং সৰ্ব্ব*ख्।ि फूमि बंश९, छूमि श्रेश्वब्र-cठांभ ভিন্ন অন্ত ঈশ্বর কেবল কথা মাত্র। তুমি छूटे, छूमि স্বই, তুমি महे, তুমিই নাশক, কোটি প্রণাম । অনেক পরে বৃষ্টি থামিল—ঝড় থামিং না—কেবল মদীভূত হইল মাত্র। অন্ধ কার যেন গাঢ়তর হইল। শৈবলিনী বু ঝিল যে জলসিক্ত পিচ্ছিল পৰ্ব্বতে অরে হণ অবতরণ উভয়ই অসাধ্য। শৈবলিনী সেই খানে বসিয়া শীতে কঁাপিতে লাগিল তখন তাহার গার্হস্থ মুখ পূর্ণ বেদগ্রা:ে পতিগৃহ স্মরণ হইতেছিল। মনে হইতে ছিল যে যদি আর এক বার সে সুখাগা দেখিয়া মরিতে পারি, তবুও স্বখে মরিব কিন্তু তাহা দূরে থাকুক—বুঝি আর স্বর্যে দয়ও দেখিতে পাইব না। পুনঃ পুনঃ জঃে মৃত্যুকে ডাকিয়াছে অদ্য সে নিকট। এ মত সময়ে সেই মনুষ্য শূন্ত পৰ্ব্বতে, সেই অগম্য বন মধ্যে, সেই মহাঘোর অন্ধকারে, কোন মনুষ্য শৈবলিনীর গায়ে হাত দিল ! শৈবলিনী প্রথমে মনে করিল কোন বন্য পশু । শৈবলিনী সরিয়া বসিল । কিন্তু আবার সেই হস্তস্পর্শ—ম্পষ্ট মনুষ্য হস্তের স্পর্শ—অন্ধকারে কিছু দেখা शब्ज न। শৈবলিনীভয় বিকৃত কণ্ঠে বলিল, “ তুমি কে? দেবতা না মনুষ্য?” মনুষ্য হইতে শৈবলিনীর ভয় নাই—কিন্তু দেবতা হইতে ভয় আছে, কেননা দেবতা দণ্ড বিধাত।। কেহ কোন উত্তর দিল না। কিন্তু শৈবলিনী বুঝিল,যে মনুষ্য হউক, দেবতা হউক, তাহাকে দুই হাত দিয়া ধরিতেছে। শৈবলিনী উষ্ণ নিশ্বাস স্পশ স্কন্ধদেশে অনুভূত করিল। দেখিল, এক ভুজ শৈবলিনীর পৃষ্ঠ