وی جد R) কমল মুদিত হইবে না । কমল ফুল্ল হইতে দেখিলে আর চন্দ্র স্নান হইবে না। এইবার ভারতবর্ষীয় কবিগণের কবিত্ব লোপ হইল— পুৰ্ব্বে কমল মুদিত আঁখি চন্দ্রেরে হেরিলে, C)한국 চন্দ্রেরে দেখিতে দেখ কমল আঁখি মিলে । চন্দ্রের হৃদয়ে কালি কলঙ্ক কেবল কিন্তু কমল হৃদয়ে চন্দ্র কেবল উজ্জল । আহা ! আমি আমার চন্দ্রকে হারাইয়া দিয়াছি । বর বড় না, কন্যা বড়, এই | দেখ বর বড়— | চন্দ্রে সবে ষোল কলা হ্রাস বৃদ্ধি তায় | চক্ৰবৰ্ত্তী পরিপূর্ণ এককাদি কলায় সেই কলা কছু লুপ্ত কভু বৰ্ত্তমান । কমলের বাগানের সব মৰ্ত্তমান । দেখ শশী এখন নিজ ন হইল। তোমাকে গোটাকত কথা বলিতে ইচ্ছা করি । তুমি তোমায় রূপ গৌরবে, গৰ্ব্বিত৷ হইয়া যেখানে সেখানে ও রূপের ছড়াছড়ি করিও না। যখন পুত্র শোকাতুরা মাতা বক্ষে করাঘাত করিয়া তোমার দিকে লক্ষ্য করিয়া ক্ৰন্দন করিতে থাকে, তখন তুমি সাহার কাছে রূপ দেখাইয়া কি করিবে ? তখন কলঙ্কিনি ! তোমার রূপরাশি গাঢ় মেঘান্তরালে লুক্কারিত করিয়া রাখিও। যখন সংসার জালাজালে লোক দগ্ধ হইয়া, তোমার দরবারে আসিয়া অভিযোগ করিবে, তখন তোমার সৌন্দৰ্য্য বিকাশ তাহার কাছে করিও না; যে সংসারদগ্ধ কমলাকান্তের দপ্তর। • sه د ,:fs, *tه ۹ w پت) ۰ তাহার পক্ষে সে সৌন্দৰ্য্য তীব্র বিষ ক্ষেপ রূপ হইবে। বরং রক্ত রাগে তাহার সহিত আলাপ করিও । যে সকলকে ঘৃণা করিয়াছে, কাহারও প্রীতি সে সহ করিতে পারে না । আর যে ঐহিক চরম সুখের সীমা উপলব্ধি করিয়া আত্মবিসর্জনে প্রস্তুত হই য়াছে তাহাকে আর বুথ অাশাদিয়া সাম্বন করিওনা । তুমি এক্ষণে আমার এক ভোগ্য, তুমি আর কি দেখাইয় অপরকে সাস্বনা করিবে ? কিন্তু কমলাকান্তের সময় অসময় নাই। ঘটন বিঘটন নাই, সুখ দুঃখ নাই। তুমি সৰ্ব্বদাই আমার নিকট আসিবে; তোমার নিজকথা আমাকে বলিবে, আমার কথা শুনিয়া যাইয়া, আপনার অস্তরে আপনার অস্থিমজ্জার সহিত সেই কথা মিশাইয়া, রাখিয়া দিবে। তুমি জ্যোৎস্ক রাত্রিতে আমার সহিত দেখা করিতে আসিও, ও কোমল কাস্তি লইয়া তান্ধকারে বিচরণ করিওনা । অদ্য আমাদের যে মুখের দিন, তাহা তুমি আমি ব্য তীতকে বুঝিতে পারিবে? অদ্য হইতে মাস গণনা করির প্রেতি মাসের শেষে আমরা এই গঙ্গাতীরে শম্প বাসর সমাপন করিব। সকল পূর্ণ মাসেই তুমি হঠাৎ আমার কাছে আগমন করিও না ; পঞ্জিকা" কার গণের সহিত দিন ক্ষণের পরামর্শ করিয়া কমলাভিসারিণী হইও নচেৎ একদিন রাহু তোমাকে পথিমধ্যে হঠাৎ মদী ময়ী করিয়া ক্লিঃ করিবে। আর এই বি বাহ রাত্ৰিতে নববধূকে অধিক উপদেশ
