৫উ৬ হইয়া আছি, ইহাকেই ডাকি । যদি এই অনন্ত সুন্দর জগৎ শরীরে কেহ আত্মা থাকেন, তবে তাহাকে ডাকি। আমিও ডাকি, তুইও ডাকিস্ । জানিয়া ডাকি না জানিয়া ডাকি, সমান কথা; তুইও কিছু জানিস্ না, আমিও জানি না; তোরও ডাক পৌছিবে, আমারও ডাক পৌছিবে। যদি সৰ্ব্বশবা গ্রাহী কোন কর্ণ থাকে, তবে তোর আমার ডাক পৌছিবে না কেন ? আয় ভাই, একবার মিলে মিশে দুইজনে পঞ্চমস্বরে ডাকি । তবে, কুহুরবে সাধা গলায়, কোকিল, একবার ডাক্ দেখিরে। কণ্ঠ নাই বলিয়া, অামাব মনের কথা কখন বলিতে পাইলাম না। যদি তোরও ভুবন ভুলান স্বর পাইতাম, পরিমাণ রহস্য। ( বঙ্গদর্শম, চৈত্র, ১২৮০ ত বলিতাম। তুই আমার সেই মনের কথা প্রকাশ করিয়া দিয়া এই পুষ্পময় কুঞ্জবনে একবার ডাক দেখিরে! কি কথাটি বলিৰ বলিব মনে করি, বলিতে জানি না, সেই কথাটি, তুই বল্দেখিরে! কমলাকাস্তের মনের কথা, এজন্মে বলা হইল না—যদি কোকিলের কণ্ঠ পাই—অমানুষী ভাষা পাই, আর নক্ষত্র দিগকে শ্রোতা পাই, তবে মনের কথা বলি। ঐ নীলাস্বর মধ্যে প্রবেশ করিয়া, ঐ নক্ষত্রমণ্ডলী মধ্যে উড়িয়া, কখন কি কুহু বলিয়া ডাকিতে পাইব না? আমি না পাই, তুই কোকিল, আমার হয়ে একবার ডাক দেখিরে ! 爵 象 - শ্ৰী কমলাকান্ত চক্রবর্তী । ఆబ్రీథ్రెక్ట్రి পরিমাণ রহস্য। আমাদিগের সকল ইঞ্জিয়ের অপেক্ষ চক্ষুর উপর বিশ্বাস অধিক। কিছুতে যাহা বিশ্বাস না করি, চক্ষে দেখিলেই তাহাতে বিশ্বাস হয় । অথচ চক্ষের ন্যায় প্রবঞ্চক কেহ নহে। যে সুর্যোর পরিমাণ লক্ষ২ যোজনে হয় না, তাহাকে এক খানি স্বর্ণ থালির মত দেখি। প্রকাও বিশ্বকে একটি ক্ষুদ্র নক্ষত্র দেখি । যে চন্দ্রের দুরতা স্বর্য্যের দূরতার চারি শত ভাগের এক ভাগ ও নহে, তাহা স্বৰ্য্যের সমদূরবৰ্ত্তী দেখায়। যে পরমাণুতে এই জগৎ নিৰ্ম্মিত তাহার একটিও দেখিতে পাই না। আমুবীক্ষণিক জীব জৈবনিকাদি কিছুই দেখিতে পাই না । এই অবিশ্বাস যোগ্য চক্ষুকেই তামাদের বিশ্বাস—তবে যে চাণক্য পণ্ডিতের উপদেশ সত্ত্বে ও লোকে নারীগণকে বিশ্বাস করিবে, আশ্চৰ্য্য কি ? দর্শনেক্রিয়ের এইরূপ শক্তিহীনতার গতিকে আমরা জগতের পরিমাণ বৈচিত্র কিছুই বুঝিতে পারিন । জ্যোতিষ্কাদি অতি বৃহৎ পদার্থকে ক্ষুদ্র দেখি, এবং অতি ক্ষুদ্র পদার্থ সকলকে একেবারে দেখিতে,
পাতা:বঙ্গদর্শন-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৫৮
অবয়ব