পাতা:বঙ্গদর্শন-নবম খন্ড.djvu/৫৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮৯ ) অপেক্ষা করিতে পারিলেন না । তিনি সসৈন্যে মুরসিদাবাদ যাত্ৰা করিলেন । তথায় আসিয়া শুনিলেন মুরসিদকুলিখার পরলোক প্রাপ্তি হইয়াছে, কাজেই তিনি চেহল সেতুন নামক রাজপুরী প্রবেশ করিয়া একায়েক সিংহাসনে বসিলেন, কেছ কোন আপত্তি করিল না । র্তাহার পুত্র সরফরাজ পিতাকে ভাড়াই বার নিমিত্ত যাইতে উদ্যত হইয়াছিলেন, কিন্তু র্তাহার গৰ্ত্তধারিণী তাহাকে নিরস্ত করেন । এই ঘটনা বাঙ্গালা ১১৩১ সালে ঘটে । সুজাউদ্দীন নবাব হইরা পুত্রের উপর কোন অত্যাচার করেন নাই, এই তাহার যথেষ্ট প্রশংসা । মুসলমানদের মধ্যে যিনি যখন পিত। কিম্ব। পুত্রের নবাবী বা বাদলাহী কাড়িয়া লইয়াছেন, তিনি তাহাকে হত্য বা কারাবদ্ধ করিস্থাছেন । সুজাউদ্দীনের আরও এইরূপ অনেক প্রশংসা আছে, তাহার এস্থলে উল্লেখ অনাবশুক । তিনি নবাবী গ্রহণ করিলে পর দিল্লী ছইতে সংবাদ আসিল যে আলি দৌরান —তথাকার উজির—আপনার নামে বাঙ্গালার নবাবী রাখিয়াছেন এবং সুজাউদ্দীনকে তাহার নায়েব স্বরূপ নবাবী কার্য্যের ভার দিয়াছেন । সুজা তাহাতেই , সন্তুষ্ট হইয়া পত্র লিখিলেন । তদুত্তরে র্তাহার সনদ আসিল এবং সেই সঙ্গে তাহার প্রিয়পাত্র মির্জা আলি মহাম্মদের লিমিও খিলাত অর্থাৎ নুতন বস্ত্র এবং সিরাজ উদ্দৌলা । ●●● নূতন একটা নাম পৌছিল। নামটা আলিবর্দি খা । এই নামে মির্জামহম্মদ । আলি সাধারণতঃ পরিচিত। মুসলমানের নুতন বস্ত্র পাইলে বড় সন্তুষ্ট হইতেন, প্রায় সকলেই আপনাকে তাহাতে সম্মানিত মনে করিতেন । এক্ষণকার প্রথা স্বতন্ত্র হইয়াছে, বস্ত্র বক্সিস লইতে এখন সকলেই অপমানিত মনে করেন । তবে র্যাহারা রাজা মহারাজ হইবার প্রত্যাশা করেন, তাহীদের কথা স্বতন্ত্র : সাবেক প্রথা রক্ষার্থ রাজপ্রসাদ স্বরূপে নুতন বস্ত্র তাহাদের গ্রহণ করিতে হয় । আলিবর্দির পুত্রসন্তান হয় নাই, কেবল মাত্র তিন কন্যা জন্মিয়ছিল । আবার এদিকে তাহার ভ্রাত হাজির তিনটা পুত্র জন্মিয়াছিল । খোদা যেন কেবল ইহীদের বিবাহের নিমিত্ত এইরূপ একপক্ষে পুল্ল একপক্ষে কন্য। বিভাগ করিয়া দিয়াছিলেন । নবাব সুজাউদ্দীন এই উঙ্গেগু বুঝিতে পারিয়৷ তাহাদের বিবাহের প্রস্তাব করিলেন । বিবাহও শীঘ্র সুসম্পন্ন হইয়া গেল । আলিবর্ণি ও হাজি আহাম্মদ পরস্পর সহোদর ছিলেন, এবার আবার বৈবীহিক হইলেন । সম্বন্ধ দৃঢ়তর হইল । মুসলমানদের মধ্যে এরূপ বাধনের উপর বাধন আবিগুক হইত । চারি পাঁচ বৎসয় পরে অর্থাৎ ১১৩৫ সালে, বেহারের গবর্ণরি খালি হইল । সুজাউদ্দীনের স্ত্রী জিন্নও বেগম পরামর্শ