পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>3b 8 শোভা করিতেছে, স্বীকার করি উহারও আদর আছে। কিন্তু সে কতক্ষণের জন্য-শুকাইলে উহাকে আর কে ভাল याzण ? किढ़ श्राभि रुकांझेब्रा याहे श्रांब्र যাহাই হই না কেন, যতক্ষণ গন্ধ থাকে ততক্ষণ সমান আদর পাই—এইটি যখন মনে হয় তখন আমার কত আমোদ, নিজের গন্ধে নিজে যখন মুগ্ধ হই তখন আমার কত স্থখ তাহা তুমি কিরূপে বুঝিবে। সকলে, ভাল বাসিবে—ঐ সুখের আশা ষদি না থাকিত তাহ হইলে কি আমি এরূপ গন্ধবিতরণ করিতাম ? আপনার গৰ্ব্ব আপনার মনে আপনি বলিয়া যদি মন ন উছলিত তবে কি নিজশরীরে ঐ গন্ধ ধরিতাম ? বোধ হয়—ন। আমার অভিপ্রায় স্বার্থপর বোধে ঘৃণা করিও না । স্বার্থশূন্য এক্সश्रटङ ८कश्झे नाई । স্বার্থ শূন্য কি কেহই নাই—হতেও পারে। গ্রামের মধ্যে বড় লোক—বড় পরোপকারী শশী বাৰু অতিথিশালা করেছেন,প্রতিদিন কত অতিথি প্রতিপালন করিতেছেন—কেন ? নিজে প্রশংসা পাবেন বলে,আর নিজের মনের মুখসাধনের জন্য। এই যে পাঁচটি অঙ্গুলিযুক্ত আমার দক্ষিণ হস্ত আয়ের গ্রাসটি আদর করিয়া মুখমধ্যে দিয়া থাকে ইহা শুধু মুখের কি উদরের উপকারের জন্য নয় । অামার মালা গাথ । S 8.5 যদি অন্য রূপে হাতের,পুষ্টিসাধন হতে পারিত, তাহা হইলে এই দক্ষিণ হস্তের সহিত মুচিকণ দত্তাবলীপরিবেষ্টিত মুখের প্রণয় থাকিত কি না বলিতে পারি না । যেখানে যাই সেই খানে দেখি সকলেই নিজের জন্য ব্যস্ত ; আমিও নিজের তুষ্টিসাধনের জন্য মালাটি গাথিয় শেষ করিলাম। মালাটি নিজে পরিয়া নিজের অঙ্গের শোভা বাড়াইব স্থির করিলাম । এমন সমর দেখি রামধন ঘোষাল শশী বাবুর একটি পরিষদ-বু ভেলভেটে অঙ্গ - সাজাইয়া বাগানের দিকে আসিতেছেন । সংসারকাননে ইনি এক টী অপরাজিতা । উভয়েই গন্ধষ্ঠান। অপরাজিত স্বৰ্য্যরশ্মি থেকে ৭টি রং লইয়া কেবল নীল রংটি বাহিরে প্রকাশ করে, ঘোষাল মহাশয়ও শশী বাবুর কিরণ থেকে অন্ন বস্ত্র আভরণ এবং ধৰ্ম্ম অর্থ কাম মোক্ষ* এই সাতটি রং লইয়া কেবল বু, বসনের আভা বাহিরে প্রকাশ করিতেছেন । রামধন ঘোষালকে দেখিলেই আমার মনে মনে কেমন এক রকম ঘৃণার উদয় হয়, কেন তা জানি না—যাহারে ভাল বাসি তার সব ভাল, কিন্তু যাহারে দেখিতে পারিনা তার সকল কাজই ঘৃণাজনক, কারণ তাহার কাজ গুলি নিজের মনোমত নয় বলিয়াই তাহারে আমরা ভাল বাসি না ।

  • শেষোক্ত ৪টি রং শশী বাবুর কিরণে আছে কি না বিজ্ঞান বলে এখনও তাহা আবিষ্কৃত হয় নাই। পারিষদৃগণ শশীবাবুকে দেবতার ন্যায় স্তৰ করে দেখিয়।

ও কয়টি অনুমান করিয়া লইলাম ।