পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/৫০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮৪ i) কত প্রকার শব্দ হইতেছে, শিরোপরি বুক্ষের ডালপাল! নড়িতেছে ; এবং ক্ষীণ দীপালোকে বৃক্ষতলে নানারক্ষে থেলিতেছে, কিন্তু কিছুতেই রমণী ভীত হইতেছেন না । বিধাতা আজু যে ভয়ে তাছাকে ভীতা করিয়াছেন তার কি আর কোন ভয় আছে? রমণী ঘন ঘন নাড়ী টিপিতেছেন, সাত দিন সাত রাত রজনীর নাড়ী টিপিয়া নাড়ী চিনিরাছিলেন। নাড়ী ক্রমে ক্রমে ক্ষীণ হইতেছে। গাত্রে হস্ত দিলেন, দেখিলেন, অনবরত ঘামিতেচে, কবিরাজ এক প্রকার ইংরেজি আরোক সেই সময়ে খাওয়াইতে দিয়া গিয়াছিল, তাহা খাওয়াইলেন, আবার গায়ে হাত দিলেন। অবিশ্রাস্ত ঘামিতেছে, রমণী ভাবিলেন আর কি ? সময় উপश्ङि-कङ ब्रांखि शईब्रांtछ् ? ७कदांब्र আকাশ পানে চাহিলেন । আজ আকাশে চাদ উঠে নাই—চারিদিক্‌ অন্ধকার— অন্ধকারে ভীমতরু সকল যেন যমদূতের ন্যার রজনীকে রমণীর ক্রোড় হইতে কাড়িয়া লইবার মানসে দাড়াইয়া আছে। রমণী রজনীকে হৃদয়ে টিপিয়া কাদিতে কঁদিতে বলিল—আজি হইতে আকাশে আর চাদ উঠিবে না—আর চাদ উঠিবে না,আর তারা জ্বলিবে না,—কেবল,অন্ধকার – অন্ধকার –অন্ধকার—চিরকাল অন্ধকার—ইা মা—অন্ধকারে কি মানুষ থাকৃতে পারে ? বলিতে বলিতে ভাহার. আৰ্ত্তনাদ বন্ধ হইল, রজনী দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিয়া তাহার ক্রোড়ে পাশ ফিরি শৈশবসহচরী। لم 歌》》 cजन, ७द१ ब्रमनैौब्र इख शब्रिग्रा अडि मृछ् স্বরে বলিলেন “বিনোদিনি, ভয় কি ? আমি মরিব না—আর ভয় নষ্ট—তুমি . মন করে কেঁদো না—বড় তৃষ্ণা—”বিনোদিনী চকের জল মুছিয়া রজনীকে ক্রোড় शहे८ङ खे°ांक्षांप्न ब्रांशिग्नां श्रञ्च श्रझ कब्रिग्ना তাহাকে ছদ খাওরাইতে লাগিলেন, অল্পক্ষণের মধ্যে রজনী ভালরূপে কথা কহিতে লাগিলেন। জিজ্ঞাসা করিলেন, “বিনোদিনি, আমরা এখানে কেন ?” বি। তোমার কি কিছু মনে পড়ে না-বিবাহ রাত্রে তুমি যখন সেই বনে পড়িয়া অজ্ঞান হইলে, রতিকান্ত ও শরৎকুমার সেই অবস্থায় তোমাকে এবং সেই সঙ্গে মুখ বন্ধ করিয়া আমাকে এক নৌকার তুলিল, এবং একখাল দিয়৷ এই বিলে আসিয়া এই স্থানে উঠিল, এবং আমাদের বরাবর সঙ্গে লইর। যাই ত, কিন্তু উপরে উঠিয় নিভৃতে শরৎকুমারকে আমি ভাহার কৃত দানপত্র তাহাকে দিয়া কিছু বলিবার উপক্রম করিতেছিলাম এমত সময়ে রতিকাত্ত উহা দেখিতে পাইয়া কাড়িয়া লইবার মানসে তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ দোড়িল, দৌড়িতে দৌড়িতে উভরে অদৃশ্য হইল, আর আসল না, আমরা এই কুটারে আশ্রয় লইলাম। র । তোমার অলঙ্কারসকল কোথায়? বিনোদিনী কোন উত্তর করিল না— মস্তক নত করিয়া রহিল ।