পাতা:বঙ্গদর্শন-পঞ্চম খন্ড.djvu/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

z. बजम*म ७भा:, ०२>s l) করিয়া পুড়িয়া মরিবার আবশ্যকতা রাখে ল—সে অন্য উপায়েও মরিতে পারে । সত্য সত্যই মরিবার ইচ্ছা থাকিলে কেহ কাহাকেও ধরিয়া রাখিতে পারে না। যমালয়ের পথ অসংখ্য । রাজবিধি একটা প্রকাশ্য পথ রুদ্ধ করিতে পারে, কিন্তু সকল পথ বন্ধ করা রাজবিধির সাধ্যাতীত। প্রকাশ্য রূপে, ধূমধাম করিয়া, ধুপধুনা জালিয়া,শঙ্খ ঘণ্টা বাজাইয়া চিতাঁরোহণ করা যেন রহিত হইল, কিন্তু তেমন ইচ্ছা থাকিলে, অন্ত পথও আছে—গলীয় দড়ি দেওয়া যাইতে পারে, বিষ থাওয়া যাইতে পারে, জলে ঝাপ দেওয়া যাইতে পারে—ধ্বংস-পুরের শত সহস্র দ্বার। তবে, যে দিন হইতে ১৮২৯ শালের ১৭ আইন জারি হইয়াছে, সেই দিন হইতে আর কেহ পতি-বিরহে প্রাণত্যাগ করে না কেন ? আরও একটা কথা আছে। যে কেহ হিন্দুসমাজের প্রকৃতি এবং গতি একটু পর্য্যালোচনা করিয়াছেন, তিনিই জানেন যে স্বামীকে ভাল বাসিক্তে হইবে, ইহা কোন কালেই হিন্দুসমাজ কর্তৃক নারীধৰ্ম্মের মধ্যে পরিগণিত হয় নাই। হিন্দুললনার ধৰ্ম্ম, পতিভক্তি-পতিপ্রেম নহে। হিন্দুসমাজ হিন্দুললনাকে ইহাই শিখায় যে, স্বামী দেবতা, তাহাকে ভক্তি করিতে হইবে, তাছার প্রসাদ খাইতে হইবে, তাহার পাদোদক সেবন করিতে হইবে,—র্তাহাকে ভাল বাসিতে হইবে, এ শিক্ষা হিন্দু সমাজের নহে। এই অপরিবর্তনীয় সতীদাহ సిసి জাতিভেদগ্রপীড়িত বৈষম্যপূর্ণ দেশে সাম্য-নীতি নাই, স্বতরাং প্রেম-শিক্ষাও নাই। যদি কিঞ্চিৎ প্রেম-শিক্ষা আমাদের হইয়া থাকে, তাহ পাশ্চাত্য সভ্যতার ফল । দশম্পত্য প্রণয়ের ভাবটা কেবল নব্য দলে । অতএব, কেবল তালবাসার জন্যও সতীর পুড়িত না । আমরা এমন কথা বলিতেছি না যে, পূৰ্ব্বতন হিন্দুললনাদের হৃদয়ে পতি-প্রেম আদে ছিল না। আমাদের এই মাত্র বক্তব্য যে, যাহা ছিল তাহা এত প্রবল নহে যে আগ্নেয় পথ দিয়া মৃত্যুর দ্বারে লইরা যাইতে পারিত। তবে কেন ? কারণভাবে কার্য্য হয় না। আমরা দেখিলাম যে পূৰ্ব্বলিখিত কারণনিচয়ের ; মধ্যে বিশেষ কোনটিই প্রকৃত কারণ নহে । আমাদের বিশ্বাস এই যে, সতীদাহের নিন্দীপ্রশংসার সকল গুলিরই দাবি আছে। প্রথমতঃ, এই চিতায় পুড়িতে পারিলে স্বৰ্গ নিশ্চিত। কিন্তু স্বর্গ ইইলেই যথেষ্ট হইল না ; যার যেথা ভালবাসা, তার সেথাfচর অtশ। স্বখ হুঃখ মনের খনিতে। অতএব বাঞ্ছিতকে চাই, নতুবা বিমল খাট মুখ হইল না । সতী যাইলে সে স্বখও পাওয়া যাইবে । স্বামীর যদি পাপ থাকে—এ সংসারে কাছার নাই ? তাহাও এই আত্মবিসর্জনে ধুইয়া যাইবে। হিন্দুললনীর এ সংসারে মুখ স্বামী লইয়। স্বামীর সঙ্গে স্বর্গে যাইতে পারিলে স্বর্গের মুখ, সংসাবের মুখ, উভয় সুখই পাওয়া