পাতা:বঙ্গদর্শন-প্রথম খণ্ড.djvu/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R8 e. বঙ্গদেশের ঐদেখ লৌহবত্মে লৌহতুরঙ্গ, কোটি উচ্চৈঃশ্রবাকে বলে অতিক্রম করিয়া, এক মাসের পথ এক দিনে যাইতেছে । ঐ দেখ ভাগিরথীর যে উত্তাল তরঙ্গমালায় দিগগজ ভাসিয়া গিয়াছিল, অগ্নি कुषक । (वत्रवर्लन, डjः, २९as ঝাড়, কাণ্ডেলাত্রা, মারবেল, আলবাষ্টার,—কত বলিব ? যে বাবু দূরবীন কষিয়া বৃহস্পতি গ্রহের উপগ্ৰহগণের গ্রহণ পৰ্য্যবেক্ষণ করিতেছেন, পঞ্চাশ বৎসর পূর্বে জন্মিলে উনি এত দিন চাল কলা ধূপ দীপ দিয়া বৃহস্পতির পূজা করিতেন। জীর আমি যে হতভাগা, চেয়ারে বসিয়া ফুলিস্কেপ কাগজে বঙ্গদর্শনের জন্য সমাজতত্ত্ব লিখিতে বসিলাম, এক শত বৎসর পূর্বে হইলে, আমি এতক্ষণ ধরাসনে পশুবিশেষের মত বসিয়া ছেড়া তুলটু নাকের কাছে ধরিয়া নবমীতে লাউ খাইতে আছে কি না, সেই কচ কচিতে মাতা ধরাইতাম । তবে শাস্ত্রের গুণে ডাক্তারে তাহা আরাম কি দেশের বড় মঙ্গল হইতেছে না ? করিল। যে ভূমিখণ্ড, নক্ষত্রময় আকা- দেশের বড় মঙ্গল—তোমরা একবার শের স্থায় অট্টালিকাময় হইয়া এখন মঙ্গলের জন্য জয়ধ্বনি কর! হাসিতেছে, আগে উহা বাস্ত্ৰ ভল্লুকের | এই মঙ্গল ছড়াছড়ির মধ্যে আমার আবাস ছিল। ঐ যে দেখিতেচ, রাজ ; একটা কথা জিজ্ঞাস্য আছে, কাহার এত পথ পঞ্চাশ বৎসর পূৰ্ব্বে ঐ স্থানে ; মঙ্গল ? ঐ যে হাসিম শেখ, আর রাম সন্ধ্যার পর, হয় কাদার পিছলে প | কৈবৰ্ত্ত দুই প্রহরের রৌদ্রে, খালি মাথায়, ভাঙ্গিয়া পড়িয়া থাকিতে, ন, হয় দম্য | খালি পায়ে, এক ইঁটু কাদার উপর দিয়া হস্তে প্রাণত্যাগ করিতে ; এখন সেখানে | দুইটা অস্থিচৰ্ম্মাবিশিষ্ট বলদে, ভোতা গ্যাসের প্রভাবে কোটিচন্দ্র জ্বলিতেছে। ' হাল ধার করিয়া আনিয়া চলিতেছে, তোমার রক্ষার জন্য পাহার দাড়াইয়াছে, উহাদের কি মঙ্গল হইয়াছে। উহাদের তোমাকে বহনের জন্য গাড়ি দাড়াইয় | এই ভাত্রের রৌদ্রে মাথা ফাটিয়া যাইআছে । যেখানে বসিয়া আছ, তাহা | তেছে, তৃষায় ছাতি ফাটিয়া যাইতেছে, খে।যেখানে আগে ছেড়া কাথ, ছেড়া | তাহার নিবারণজন্য অঞ্জলি করিয়া মাসপ ছিল, এখন সেখানে কাপেট কোঁচ, ঠের কর্দম পান করিতেছে ; ক্ষুধায় an ময়ী তরণি ক্রীড়াশীল হংসের ন্যায় তাহাকে বিদীর্ণ করিয়া বাণিজ্য দ্রব্য বহিয়া ছুটিতেছে। কাশীধামে তোমার পিতার অদ্য প্রাতে সাংঘাতিক রোগ হইয়াছে—বিদ্যুৎ আকাশ হইতে নামিয়া আসিয়া তোমাকে সম্বাদ দিল, তুমি রাত্রি মধ্যে র্তাহার পদপ্রান্তে বসিয়া তাহার শুশ্রুষা করিতে লাগিলে । সে রোগ পূর্বে আরাম হইত না, এখন নবীন চিকিৎসা