পাতা:বঙ্গদর্শন-প্রথম খণ্ড.djvu/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| অঙ্গ, যে যে অস্থি আছে, মন্থয্যেরও সেইরূপ আছে। অতএব মনুষ্যদিগকে এক প্রকার | চতুষ্পদ বলা যায়। প্রভেদ এই যে, চতুষ্পদের যেরূপ গঠনের পারিপাট্য, মনুয্যের তাদৃশ | নাই। কেবল ঈদৃশ প্রভেদের জন্ত আমদিগের কর্তব্য নহে যে, আমরা-মনুষ্যকে দ্বিপদ বলিয়া ঘৃণা করি। | চতুষ্পদমধ্যে বানরদিগের সঙ্গে মনুষ্যগণের | বিশেষ সাদৃশ্য। পণ্ডিতেরা বলেন যে, | কালক্রমে ; পশুদিগের অবয়বের উৎকৰ্ষ" জন্মিতে থাকে ; এক অবয়বেৰ পশু ক্রমে অন্য উৎকৃষ্টতর পশুর আকার প্রাপ্ত হয়। আমাদিগের ভরসা আছে যে, মনুষ্য-পণ্ডও | কালপ্রভাবে লাঙ্গলাদি বিশিষ্ট হইয়া ক্রমে বানর হইয়া উঠিবে। - মনুষ্য-পগু যে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং সুভক্ষা, তাহা আপনার বোধ হয়, সকলেই অবগত আছেন। (শুনিয়া সভ্যগণ সকলেই আপন আপন মুখ চাটলেন) তাহারা সচরাচব | অনায়াসেই মারা পড়ে। মৃগাদির ন্যায় তাহার দ্রুত পলায়নে সক্ষম নহে, অথচ মহিষাদির দ্যায় বলবান বা শৃঙ্গাদি আয়ুদ্ধ-যুক্ত নছে । জগদীশ্বর এই জগৎ সংসার ব্যাঘ্র জাতির মুখের জন্ত স্থষ্টি করিয়াছেন, সন্দেহ নাই। সেই জন্ত ব্যান্ত্রের উপাদেয় ভোজ্য পশুকে পলায়নের বা ; রক্ষার ক্ষমতা পৰ্য্যস্ত দেন নাই। বাস্তবিক | মনুষ্যজাতি যেরূপ অরক্ষিত—নখ দন্ত শৃঙ্গাদি বর্জিত, গমনে মন্থর এবং কোমল প্রকৃতি, তুহো দেখিয়া বিঘ্নিত হইতে হয় যে, কি জন্য ঈশ্বর ইহাদিগকে স্বষ্টি করিয়াছেন। ব্যাঘ্ৰ দিগের সাদৃশ্য আছে। চতুষ্পদগণের যে যে | জাতির সেবা ভিন্ন ইহাদিগের জীবনের আর રિન્નાન, ટ૧, ૩૬૧ ; কোন উদেহু দেখা যায় না। এই সকল কারণে, বিশ্লেষ তাহাদিগের ংসের কোমলতা হেতু, আমরা মনুষ্য স্মৃতিকে বড় ভাল বলি। দৃষ্টি মাত্রেই ধরিয়া খাই। আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, তাহারাও বড় ব্যাখ্রভক্ত । এই কথায় যদি আপনারা বিশ্বাস নু করেন, তবে তাহার উদাহরণ স্বরূপ আমার যাহা ঘটিয়াছিল, তদ্ধৃত্তান্ত বলি। আপনার অবগত আছেন, | আমি বহুকালাবধি দেশ ভ্রমণ করিয়া বহুদশী হইয়াছি। আমি যে দেশে প্রবাসে ছিলাম, সে দেশ এই ব্যাঘ্রভূমি সুন্দরবনের উত্তরে আছে। তথায় গো মনুযাদি ক্ষুদ্রাশয় অহিংস্র পশুগণই বাল করে। . তথাকার মনুষ্য দ্বিবিধ। এক জাতি কৃষ্ণবর্ণ, এক জাতি শ্বেতবর্ণ। একদা আমি সেই দেশে বিষয় কৰ্ম্মোপলক্ষে গমন করিয়ছিলাম।” শুনিয়া মহাদংষ্ট্রানামে একজন উদ্ধতস্বভাব ব্যাঘ্র জিজ্ঞাসা করিলেন— -বিষয় কৰ্ম্মট কি ৷” 變 বৃহন্নাঙ্গল মহাশয় কছিলেন, “বিবর কৰ্ম্ম, আহারান্বেষণ । এখন সভ্যলোকে আহারান্ধেষণকে বিষয় কৰ্ম্ম বলে । ফলে সকলেই যে আহারান্বেষণকে বিষয় কৰ্ম্ম বলে, এ মত নহে। } সন্ত্রাস্তলোকের আহারান্বেষণের নাম বিষয় কৰ্ম্ম, অসম্রান্তের আহারান্বেষণ নাম জুয়ারি, উংবৃত্তি এবং ভিক্ষী। ধূর্তের আহারান্বেষণের নাম চুরি ; বলবানের আহারান্বেষণ দম্যতা ; লোকবিশেষে দস্থ্যতা শব্দ ব্যবহার হয় মা ; তৎপরিবর্তে বীরত্ব বলিতে হয়। . যে দম্যর |