| (बचगर्मत्र, शोः, *५१* ) সূৰ্য্যমুখী দাসী আপনার ভাৰ্য্য। তিনি এই শধুপুর গ্রামে শঙ্কটাপন্ন রোগগ্ৰস্ত হইয়া হরমণি বৈষ্ণবীর বাটতে আছেন। - তাহার চিকিৎসা হইতেছে—কিন্তু বাচিবার আকার নহে। এই সম্বাদ দিবার জঙ্ক আপনাকে এ পত্র লিখিলাম । র্তাহার মানস, মৃত্যুকালে এক বার আপনাকে দর্শন করিয়া প্রাণত্যাগ করেন। যদি তাহার অপরাধ ক্ষমা করিতে পারেন, তবে একবার এই স্থানে আসিবেন। আমি ইহাকে মাতৃ সম্বোধন করি। পুত্র স্বরূপ র্তাহার অনুমতি ক্রমে এই পত্র লিখিলাম। র্তাহার নিজের লিখিবার শক্তি নাই । যদি আসা মত হয়, তবে রাণীগঞ্জের পথে আসিবেন । রাণীগঞ্জে অনুসন্ধান করিয়া ঐমান মাধবচন্দ্র গোস্বামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করিবেন। তাছাকে আমার নাম করিয়া বলিলে, তিনি সঙ্গে লোক দিবেন। তাহ হইলে মধুপুর খুজিয়া বেড়াইতে হইবে না। | আলিতে হয় ত, শীঘ্ৰ আসিবেন, জাগিভে বিলম্ব হইলে অভীষ্ট সিদ্ধি | इश्tष न। इङि আশীৰ্ব্বাদ ঐশিৰ প্ৰসাদ শৰ্ম্মণঃ * পত্র লিখিয়া গ্ৰহ্মচারী জিজ্ঞাসা করিলেন “কাহার নামে শিরোনামা দিব।” o সূৰ্যমুখী বলিলেন, "হরিমণি আসিলে बलेिब !” . . . . •. - না। পত্র যখন গোবিন্দপুরে পন্থছিল, হরমণি আসিলে নগেন্দ্রনাথ দত্তের নামে শিরোনামা দিয়া ব্রহ্মচারী পত্ৰখানি নিকটস্থ ডাকঘরে দিতে গেলেন । ব্ৰহ্মচারী যখন পত্র হাতে লইয়া ডাকে দিতে গেলেন, তখন সূর্যমুখী সজলনয়নে, যুক্ত করে, উদ্ধমুখে, জগদীশ্বরের নিকট কায়মনোবাক্যে ভিক্ষা করিলেন, “হে পরমেশ্বর । যদি তুমি সত্য হও আমার যদি পতিভক্তি থাকে, তবে যেন এই পত্র খানি সফল হয় । আমি চিরকাল স্বামীর চরণ ভিন্ন কিছুই জানি না—ইহাতে যদি পুণ্য থাকে, তবে সে.পুণ্যের ফলে আমি স্বৰ্গ চাই না। কেবল এই চাই, যেন মৃত্যুকালে স্বামির মুখ দেখিয়া মরি।” কিন্তু পত্র ত নগন্দ্রের নিকট পৌছিল তাহার অনেক পূর্বে নগেন্দ্র দেশ পর্যটনে যাত্রা করিয়াছিলেন। হরকরা পত্র বাড়ীর দরওয়ানের কাছে দিয়া গেল । দেওয়ানের প্রতি নগেন্দ্রের আদেশ ছিল, যে আমি যখন যেখানে পহুচিব, তখন সেই খান হইতে পত্র লিখিব । আমার আজ্ঞা পাইলে.সেই খানে আমার নামের পত্র গুলি পাঠাইয়া দিবে। ইতিপূর্বেই নগেন্দ্র পাঠন হইতে পত্র . লিখিয়াছিলেন যে, “আমি নৌকাপখে' কাশী যাত্রা করিলাম। কাশী পহুছিলে
