(श्चािर्थं, धiः, s२१a ) . . देिवहूतः 8:ፃ মনের মধ্যে স্থান পাই না ; এখন আমার সঙ্গীতলহরী স্বজন করিলেন যে, হীর সকল ভরসা দূর হইল।” শ্রীতিমাত্রাত্মক হইয়া একবারে বিমোহিতা দেবেন্দ্রও আপন খলতাজনিত হীরার | হইল। তখন তাহার হৃদয় চঞ্চল মন দণ্ডবিধানের মনস্কাম সিদ্ধির অভিলাষ দেবেন্দ্রপ্রেমবিগ্রাবিত হইল। তখন সম্পূর্ণ করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। মালতীর ; তাহার চক্ষে দেবেন্দ্র সর্বসংসারন্থন্দর, দ্বারা ইরাকে ডাকাইলেন। হীরা, দুষ্ট ! সৰ্ব্বার্থসার, রমণীর সর্বাদরণীয় বলিয়া এক দিন ইতস্ততঃ করিয়া আসিল বোধ হইল হীরার চক্ষে প্রেমবিমুক্ত দেবেন্দ্র কিছুমাত্র রোষ প্রকাশ করিলেন অশ্রধারা বহিল। ন-ভূতপূর্ব ঘটনার কোন উল্লেখ দেবেন্দ্র তানপুর রাখিয়া, সযত্নে করিতে দিলেন না। সে সকল কথা ত্যাগ আপন বসনাগ্রভাগে হীরার অশ্রুবারি করিয়া তাহার সহিত মিষ্টালাপে প্রবৃত্ত মুছাইয়া দিলেন। হীরার শরীর পুলক হইলেন। যেমন উর্ণনাভ মক্ষিকার জন্য , কণ্টকিত হইল। তখন দেবেন্দ্র, স্বয়াজাল পাতে, হীরার জন্তু তেমনি দেবেন্দ্র পানোদ্দীপ্ত হইয়া, এরূপ হাস্য পরিহাস জাল পাতিতে লাগিলেন। লুন্ধাশয় | সংযুক্ত স্বরল সম্ভাষণ আরম্ভ করিলেন, হীর মক্ষিক সহজেই সেই জালে পড়িল। কখন বা এরূপ প্রকৃত প্রণয়ীর অনুরূপ, সে দেবেন্দ্রের মধুরালাপে মুগ্ধ এবং , স্নেহসিক্ত, অস্পষ্টীলঙ্কার বচনে আলাপ তাহার কৈতৰ বাদে প্রতারিত হইল করিতে লাগিলেন যে, জ্ঞানহীন, মনে করিল ইহাই প্রণয় ; দেবেন্দ্র তাহার . অপরিমার্জিত-বাগৰুদ্ধি হীরা মনে করিল, প্রণয়ী। হীরা , চতুরা, কিন্তু এখানে এই স্বৰ্গসুখ । হীরা ত কখন এমন কথা তাহার বুদ্ধি ফলোপধায়িনী হইল না। " শুনে নাই। হীরা যদি বিমলচিত্ত হইত, প্রাচীন কবিগণ যে শক্তিকে জিতেন্দ্রিয় ; এবং তাঁধার বুদ্ধি সংসংসর্গ পরিমার্চিত মৃত্যুঞ্জয়ের সমাধি ভঙ্গে ক্ষমতা ! হইত, তবে সে মনে করিত, এই নরক। শালিনী বলিয়া কীৰ্ত্তিত করিয়াছিলেন, পরে প্রেমের কথা পড়িল-প্রেম কাহাকে সেই শক্তির প্রভাবে হীরার বুদ্ধিলোপ | বলে দেবেন্দ্র তাহ কিছুই কখন হৃদয়ঙ্গত इझेल । ` করেন নাই—বরং হীরা জানিয়াছিল— দেবেন্দ্র সে সকল কথা ত্যাগ করিয়া, | কিন্তু দেবেন্দ্র তদ্বিষয়ে প্রাচীন কবিদিগের তানপুর লইলেন। এবং স্বরাপান সমুং চৰ্ব্বিত চৰ্ব্বণে বিলক্ষণ পটু। দেবেন্দ্রের সাহিত হইয় গীতারস্ত করিলেন। তখন । মুখে প্রেমের অনির্বাচনীয় মহিম কীৰ্ত্তন দৈবকুণ্ঠ কৃতৰিক্স দেবেন্দ্র এরূপ মুখময় শুনিয়া হীর দেবেন্দ্রকে অমানুষচিত্ত
