পাতা:বঙ্গদর্শন-প্রথম খণ্ড.djvu/৫৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t\రి 9 पैंरूो । (बङ्गाक्षेत्रं, शl:, *२१st) ঐক্য ! পণ্ডিতবর ঐযুক্ত গিজে বলিয়াছেন যে, উন্নতিই সভ্যতার প্রধান লক্ষণ । তাহার-বিবেচনায় হিন্দুজাতি সভ্য বলিয়া গণ্য নহে । এ বিষয় লইয়া বাদামুরাদ করাতে কোন ফল নাই । কারণ গিজের সঙ্কল্প এই যে, স্বভাবতঃ লোকে যে সকল জাতিকে সভ্য বলিয়া গণনা করে, সেই সকল জাতির প্রকৃতিই সভ্যতার লক্ষণ। ইউরোপীয়েরা সকলেই কেবল আপনাদিগকে সভ্য এবং অন্তান্ত - জাতিকে অসভ্য জ্ঞান করেন, তদ্রুপ এক কালে হিন্দুরাও অহিন্দু মাত্রকে অসভ্য স্লেচ্ছ বলিয়া ঘৃণা করিতেন। সুতরাং উভয় সম্প্রদায়ের মতে সভ্যতার লক্ষণ বিভিন্ন হুইবেক, ইহাতে বিচিত্র কি ? ফলতঃ সভ্যতা পদার্থের যদি কতক গুলি বিশেষ লক্ষণ থাকে, তবে সভ্যতা, শব্দে সকল ভাষাতেই ঐ সমস্ত লক্ষণ বুঝান উচিত বটে। কিন্তু উহার মধ্যে কোন২ অঙ্গ সভ্যতার লক্ষণ নহে বলিয়া জাতিবিশেষ তাহ পরিত্যাগ করিলে, সভ্যতা মতে হিন্দুরা সভ্যপদের বাচ্য নহেন, এ কথা বলিলে হিন্দুদিগের অবমাননা | না হইয়া ইউরোপীয় ভাষা সমগ্রে সভ্য শব্দের অর্থ বিভিন্ন, এই রূপ সিদ্ধান্তও হইতে পারে। ইহাতে স্বজাতির গৌরব করা আমাদিগের উদ্দেশ্য নহে ; কারণ পক্ষান্তরে স্লেচ্ছ শব্দের নিন্দাও এই হেতুতে অপনীত হইবেক । কাশীর ত্রৈলঙ্গ স্বামীকে দেখিলে ইউরোপীয় মাত্রেই অসভ্যপ্রধান বলিরা অতিশয় বিরক্ত হইবেন, সন্দেহ নাই। কিন্তু জাপান হইতে তুরস্ক পৰ্য্যন্ত যে কোন বিবেচক ব্যক্তি ইহঁাকে অবলোকন করিবেন, তিনি র্তাহাকে ভক্তিই না করুন, তাহার সহিষ্ণুতা গুণের ভূয়সী প্রশংসা অবশ্যই করিবেন। ইহার নিগুঢ় এই যে, কাহাকে দোষ এবং কাহাকে গুণ বলে, তদ্বিঘষে সকলের ঐকমত্য নাই । সৎগুণের সংস্কার হওয়াই সভ্যতার প্রকৃত লক্ষণ। যাহারা সভ্যসমাজে থাকিয়াও সদগুণ অভ্যাস করিতে পারে নাই, তাহারা • কুলাঙ্গার এবং কদাচ ' সভ্য পদবীর যোগ্য নহে । আবার সকল পদার্থট কখন অঙ্গহীন হইবেক না ; কেবুল উক্ত জাতির ব্যবহৃত ভষানুসারে "ভ্যতা শব্দের বিভিন্ন অর্থ সম্পাদিত | পাত্রে সমস্ত গুণ কখনই যুগপৎ পাওয়া হইৰেক। অতএব ইউরোপীয়দিগের | বায়ন—অতএব সকলে তুলারূপ, সভ্য AASAASAASAAAS