পাতা:বঙ্গদর্শন-প্রথম খণ্ড.djvu/৫৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(बधश्च, ૪ા: * २१ > 1) ভাষার উৎপত্তি । ভাষার উৎপত্তি। } . ভূমণ্ডলস্থ সমস্ত জীবের মধ্যে কেবল মনুষ্যই উন্নতিশীল। পুরাকালে যেরূপ কৌশলে পক্ষীগণ নীড় নিৰ্ম্মাণ করিত, মধু মক্ষিকানিকর মধুচক্র রচনা করিত, উৰ্ণনাভ লুতাতন্তু জাল বিস্তার করিত, এক্ষণেও তত্ত্বরূপ করিতেছে। কিন্তু কালে কালে মানব জাতির অবস্থার কত পরিবর্তন হুইয়াছে। গিরি গহবর বা তরুশাখা যাহাদিগের পূর্বপুরুষনিচয়ের আশ্রয় ছিল, তাহারা ইষ্টক বা প্রস্তর নিৰ্ম্মিত সুরম্য হৰ্ম্মে বাস করিতেছে। বনের, ফল বা অপক মাংস যাহাদিগের আহার ছিল, যাহার উলঙ্গ থাকিতে লজ্জা বোধ করিত না, যাহারা অজ্ঞানত বশতঃ পদে পদে প্রাকৃতিক কাৰ্য্য পরম্পপায় ভয়ঙ্কর দৈব শক্তির লক্ষণ দেখিয়া ভীত হইত, তাহাদিগের বংশজাত ভাজাতিগণের কৃষি সমূৎপন্ন পরিপক্ক ভক্ষ্য দ্রব্যের পারিপাট্য, সুবিচিত্র বেশ ভূষার আড়ম্বর, নৈসর্গিক নিয়ম জ্ঞান জনিত পার্থিব প্রভুত্ব নিরীক্ষণ করিয়া বিস্ময়াম্বিত হইতে হয় । বিবেচনা করিয়৷ দেখিলে প্রতীতি হইবে, ভাষাই এই অভ্যাশ্চৰ্য্য উন্নতির মুলীভূত , ভাষার প্রভাবেই অর্জিত জ্ঞান বিনষ্ট হয় না। ఇక్షా:వా ভাষার প্রভাবেই উত্তর কালবৰ্ত্তী জনগণ পূর্বাবিষ্কৃত তত্ত্ব সকল অবগত হইয়া | নূতন সত্যের অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইতে | পারেন। স্বতরাং ভাষার, প্রভাবেই পদার্থ বিষয়ক জ্ঞান বৃদ্ধি হইয়া মমুস্থ্যের ক্ষমতার বৃদ্ধি এবং অবস্থার উন্নতি হয় । ভাষা শক্তিগুণে মানব জাতির ঈদৃশ মহত্ত্ব সনদর্শন করিয়া কোন কোন পণ্ডিত | ভাষা শক্তিকেই নর কুলের বিশেষ লক্ষণ বলিয়া গণ্য করিয়াছেন। বাস্তবিক | ভাষা না থাকিলে মনুষ্যে পশুতে কি | বিভেদ থাকিত ? উপস্থিত পদার্থ পুঞ্জেই । চিত্ত আকৃষ্ট হইত। প্রত্যক্ষাতিরিক্ত তত্ত্ব নিচয় হৃদয়ঙ্গম হইত না । সমীপস্থ ভোগা বস্তুর উপভোগ দ্বারা ইন্দ্রিয় পরিতৃপ্তি করাই জীবনের উদ্দেশ্য হইত। জ্ঞান, ধৰ্ম্ম ও নীতির উন্নত ভাব সকল মনে স্থান পাইত না। কবির রসময়ী কবিতা লহরী, দার্শনিকের পরমার্থ বিষয়ক তাৎপৰ্য্য ব্যখ্যা, ইতিহাসের উদ্দীপক দৃষ্টান্তমালা, বিজ্ঞানের অকাট্য উপপত্তি, | ধৰ্ম্মের গম্ভীর উপদেশ, প্রণয়ের অনন্ত | আশা প্রকাশ, এই সকল মনুষ্য গৌরব | সূচক সভ্যতাচিহ্ন কোথায় থাকিত ? | এই মানব-মহিম-প্রসূতি ভাষার কি | রূপে উৎপত্তি হইল, আমরা এই প্রস্তাৰে নির্ণয় করিতে চেষ্টা করিব। কি বাঙ্গল aa ஆ_