পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ծՖՆ श्वश्चालिंfञ। [ श्रांबांल्ल কিন্তু তাহার ষে চেষ্টা ফলবতী ও সে অনুরোধ প্রতিপালিত হইল না, নানক পিতৃদত্ত মুদ্রায় খাদ্য সামগ্ৰী ক্রয় করিয়া অনাহারী উদাসীন ফকিরদিগকে ভোর্জন করাইলেন। 参 নানক যৌবনাবস্থাতেই হিন্দু ও মুসলমান ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের সমস্ত ধৰ্ম্মামু-শাসন এবং বেদ ও কোরাণের সমস্ত তত্ত্ব হৃদয়ঙ্গম করিলেন । এবং স্বর্তীক্ষ প্রতিভা ও প্রগাঢ় শাস্ত্রজ্ঞানবলে উদার ও পরিশুদ্ধ মত প্রচার করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। তিনি সমস্ত অন্ধবিশ্বাস ও সমস্ত কুসংস্কারময় লৌকিক ক্রিয়া কাণ্ডের উপর নিতান্ত বিৰক্ত হইয়া উঠিলেন । যাহাতে হৃদয়ের শান্তিলাভ হয় যাহাতে পবিত্র ও উদাৰ ঐশ্ববিক তত্ত্ব প্রচাবিত হয়, তাহাই জীবনের সারধৰ্ম্ম বলিয়া তাহাব নিকট বিবেচিত হইল । প্লেতো ও বেকন যেমন পৃথিবীর সমস্ত দর্শনশাস্ত্র আন্দোলন করিয়াও প্রকৃত জ্ঞানের ভিত্তিতে নানাবিধ জঞ্জাল দেখিয়া হতাশ হইয়া পড়িয়াছিলেন, নানক ও সেইরূপ সমস্ত ধৰ্ম্মশাস্ত্রে ও ধৰ্ম্মপদ্ধতিতে নানাবিধ কুসংস্কাবের প্রাচুর্ভাব দেখিয়া ক্ষুণ্ণ হইয়া পড়িলেন । তিনি সন্ন্যাসিবেশে ভারতবর্ষের নানাস্থান পরিভ্রমণ কবিলেন, অনেক সাধু ও যোগীদিগের সহিত আলাপ করিলেন, আরবের উপকূল অতিবাহিত করিয়া ফকীবদিগের কার্য্যকলাপ দর্শন করিলেন, কিন্তু কোথাও পবিত্র সত্যের আভাস দেখিতে পাইলেন না । সকল স্থানেই কুসংস্কারের ভয়ঙ্করী মূৰ্ত্তি, সকল স্থানেই কৰ্ম্মকাণ্ডের শোচনীয় বিকার দেখিয়া ক্ষুব্ধ চিত্তে স্বদেশে প্রত্যাবৃত্ত হইলেন। স্বদেশে আসিয়া নানক সন্ন্যাসধৰ্ম্ম ও সন্ন্যাসিবেশ পরিভাগ করিলেন । গুরুদাসপুর জেলায় ইরাবতীর তটে “করতারপুর” নামে একটা ধৰ্ম্মশালা প্রতিষ্ঠিত হইল । নানক এই ধৰ্ম্মশালায় স্বীয় পরিবার ও শিষ্যসম্প্রদায়ে পরিবৃত থাকিয় জীবনের শেষভাগ অতিবাহিত করিতে প্রবৃত্ত হইলেন । পরে ১৫৩৯ খ্ৰীষ্টাব্দে সপ্তভিবর্ষ বয়ঃক্রমে এই স্থানেই বাবা নানকের পবিত্র জীবনস্রোত কালের অনন্ত সাগরে মিশিয়া যায় । নানক লোদীবাশের অভু্যদয় সময়ে প্রাতুল্ল ত হয়েন, এবং মোগলবংশের অভু্যদয়ের পর কলেবর ত্যাগ করেন। ধৰ্ম্মনিষ্ঠ ও ধৰ্ম্মচিস্তায় তাহার জীবিতকালের যাট বৎসর, পাচ মাস ও সাত দিন অভিবাহিত হইয়াছিল । নানকের মৃত্যুর পর ঠাঙ্গার দেন্ত লষ্টয়া তীয় হিন্দু ও মুসলমান শিয়াদিগের মধ্যে ঘোরতর বাদামুবাদ উপস্থিত হয় । ছিন্দুরা দাঙ্গ করিতে ইচ্চা করে, এবং মুসলমানের সমাধি দিতে প্রস্তুত হয় । এই বিবদমান উভয়দলই বলপূর্বক শৰ লইবার আশায় চাদর তুলিয়া দেখে যে, তাহার তলে শৰ নাই। গোলযোগর সময় শিষ্যগণের কেহু অবশ্যই উহা স্থানাস্তরিত করিয়া মাখিয়াছিল।