পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sషా8 बक्रभध्{ञ [ चादांछ দক্ষতা নয়! মুশিক্ষিত পুস্তকপ্রিয় লেখনী অস্ত্রধারী সভয় সভ্যগণ র্যাহারা লাঠিয়ালের নামে কাপেন ও পথের শাকোর তলে হামা দিয়া প্রবেশ করেন বা জঙ্গলের জন্তুমুখে পড়েন তাহাদের অপেক্ষা দেওয়ানজীর দক্ষতা নিন্দনীয় নহে ! দেওয়ানজী ভদ্রসম্ভান হইয়াও তুই এক হাত খেলিতে জানিতেন, তজ্জন্তই এত সাহস, কিন্তু সে সাহস এখন অকৰ্ম্মণ্য, বিপক্ষ দলের লোকসংখ্যা প্রবল, গজাননকে ঘেরিয়া ধৃত করিতে প্রস্তুত। এই ঘেরিল ! চারি দিকে দলবল গোল হইয়া শ্ৰেণীবদ্ধ হইতেছে—ক্রমে অগ্রসর ! কেহ কহিতেছে “শড়কিতে ভুড়ি ভসকে দে” তখন তাহার কয়েদের ও জীবনান্তকাল উপস্থিত। দর্শকদল খালের তীরে জাঙ্গালেব উপব দাড়াইয়া দেখিতেছে। ইতিমধ্যে একটি ভয়ানক হুঙ্কার শুনিলাম ও তাহার পরক্ষণেই দেখিলাম রঘুবীরের স্বন্ধে দেওয়ানজী আরোহিত, তুই চারি লঙ্কে খালের তটে, আর এক “বারে তাতি” লাফে খালের অপরপারগত । সকলে মনে করিল যেন একটি সিংহ আসিয়া শৃগালমুখ হইতে শিকার হরণ করিয়া লইল, পশ্চাতে অনেক লোক ধাবিত হইল কিন্তু কোথায় ব্যাস, কোথায় শৃগাল ? মুহূৰ্ত্তে রঘুবীর ভারসহ প্রশস্ত মযদান অতিক্রম করিয়া দৃষ্টির অগোচর হইল । এই সময় সিংহদের ছাদের দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া একটি বৃদ্ধ পুরুষ কহিলেন “ঐ সৰ্ব্বনাশীর জন্যই এই সমস্ত বিপদ ও না স্নানে যায় যদি"— আমিও সেই দিকে দেখিলাম, যেরূপ সীতা রাক্ষস কুলের সর্বনাশিনী, দ্রৌপদী কুরুকুলের সর্বনাশিনী, হেলেন ট্রয় নগরের নাশের কারণ, সেইরূপ একটি সৰ্ব্বনাশিনী রাজপুতানী লাবণ্যশীল কুলকামিনী ছাদে দাড়াইয়া রঙ্গিয়াছে। সাধের নামটি কাদম্বিনী, সৰ্ব্বাঙ্গে নবমেঘসদৃশ নীলাম্বর আবৃত, কেবল কমলমুখীর সুকুমার মুখখানি ও হীরকখচিত বালাসুশোভিত হস্তদ্বয় দৃশ্যমান। এখন সূৰ্য্যদেব অস্তমিত, “কনে দেখানী” বেলা উপস্থিত, সকল দ্রব্যই এখন সোপার জলে রঞ্জিত দেখাইতেছে। কিন্তু কাদম্বিনী ? তাহার লাবণ্যেই যেন প্রাসাদ আলো করিয়াছে, উষাকালের অর্ধষ্ণুট কুসুমকলিকার স্তায় কিশোর বয়স প্রায় অতিক্রম করিয়া গৌরাঙ্গী উজ্জল যৌবন সীমায় উপনীতোমূখ। একবার দেখেই, দেখি, দেখি, আবার এই প্রতিমা দেখি, এই ইচ্ছাই প্রবল হইতে লাগিল । প্রতিমা দেখিতে দেখিতে হিংস্র অন্ধকারের ছায়া আসিয়া গগন ঘেরিল । মনে হইল আলো আরও একটু থাকিলে ভাল হইত কিন্তু দিবালোক থাকুক না থাকুক, কাদম্বিনীর মুখলাবণ্যে প্রাসাদগগন আলো হইয়াছিল, সেই আলো আমি দেখিতেছিলাম যেন কালো গগনে বহুদূরস্থিত অমৃগু তারাপুঞ্জের খেত স্বাভা ! এমন সময় গঙ্গারাম সহিষ কহিল “কি দেখেন বাবুলী, ৰণে ?” আমি একটি “দূর” বাক্য মাত্র প্রয়োগ করিয়া গৃহাভিমুখে টাই চালাইলাম।