s२४* ] সমাজের পরিবর্ত কয়রূপ لأنه لا বৎসর কেবল ভূতের বোঝা টানিয়া বেড়াইতেছ বই নয়। বৌদ্ধদের সঙ্গে যত দিন সমান জোরে লড়িয়াছ, ততদিন তোমাদের জীবন ছিল সন্দেহ নাই । তাহার পর যেদিন হইতে মগধসাম্রাজ্য স্থাপন হইল সেই দিন হইতে কি তোমাদের পাততাড়ি গুড়ান উচিত ছিল না ? তাঙ্গ না করিয়া বলবানের সঙ্গে তুৰ্ব্বলের বিবাদ হইলে দুৰ্ব্বলের যত দোষ ঘটে সব তোমাদের ঘটিল, তোমরা ভীরুতা তুষ্টামি ফেরারি শিখিতে লাগিলে । বৌদ্ধের ক্রমে ক্ষীণতেজঃ হইয়া আসিলে তোমরা আবার প্রবল হইলে । তখন তোমাদের ঘটে যে বিষয়বুদ্ধি ছিল সেটুকুর লোপ হইয় গিয়াছে । তোমবা নূতন সমাজ সৃষ্টি না করিয়া সেই সেকেলে বেদ উদ্ধার করিতে গেলে, পৌত্তলিক ও বৈদিকে বিবাদ আরম্ভ হইল। এই বিবাদে তোমাদের সমাজ ক্রমে অন্তঃসারবিহীন হইয়া পড়িল ; যেখানে ঐক্যের দরকার সেইখানে ঘরে ঘরে অনৈক্য হইল । শেষ বেদ, স্মৃতি, বুদ্ধ, জৈন, পুতুল, ব্রহ্ম, সব দুরন্ত মুসলমানের হাতে পড়িল । তাহাতেই তোমাদের লজ্জা হইল কই ? চৈতন্য হইল কই ? সমাজ পরিবর্তনের কটা চেষ্টা কবিয়াছ ? বলিলে কি না, অদৃষ্টের ফল । রোমানেরাও সেকালে বলিয়াছিল অদৃষ্টেৰ ফল । বড় সুবিধা । দুবার বলিলে অদৃষ্ট্রের ফল, দুটা দীর্ঘনিশ্বাস ছাড়িলে – সব—সব দুঃখ ঘুচিয়া গেল, আপনাদের দোষ যে তাহা একবার ও ত ভাবিলে না । যাহা হউক, আমাদের সমাজে সংস্কার কি বিপ্লব আৰশুক সে কথা তুলিয়া কাজ নাই। আমাদের অন্তকার প্রস্তাব এই যে, সমাজের কতপ্রকার পরিবর্তন হয় । দেখা গেল যে, সে দুই প্রকার, সংস্কার ও বিপ্লব । ছুইএরই সময় আছে কিন্তু সংস্কারের সময় বিপ্লব বা বিপ্লবের সময় সংস্কার হইলে হিতে বিপরীত হয় । তাহার ফল অতি ভয়ানক ।
