পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s२ve ] একজন বাঙ্গালী গবর্ণরের অদ্ভুত বীরত্ব >do হঠিয়া তুর্গের দিকে পড়িলেন। রাত্রিতে তুর্গের চারিদিকে মহারাট্ট সেনা স্থাপিত । হইল, নবাবের যে সাহসটুকু হইয়াছিল রাত্রে সেটুকু তিরোহিত হইল ; ৮১০ ক্রোশ দূরে আলিবর্দি এক দল সেনা বর্গীর হাঙ্গামের জন্য সৰ্ব্বদা প্রস্তুত করিয়া রাখিতেন। আতাউল্লা বলিলেন, সেই সৈন্যদিগকে খবর দিয়া আনয়ন করা হউক ; উহারা আসিলে দুর্গ রক্ষার উপায় হইবে । নবাব বলিলেন যদি এই দণ্ডে মহারাট্ট জোর করিয়া গড় দখল করে, তখন তোমার খবর দেওয়া কোথায় থাকিবে ? আমার হুকুম—এই দণ্ডে মহারাট্রাদিগকে কেল্লা ছাড়িয়া দাও, এই মাত্র নিয়ম কর যে আমরা নিষ্কণ্টকে দেশে যাইতে পারি। ধূৰ্ত্ত বগা সেই কথায় তুর্গ দখল পাইল, পাইয়াই সৰ্ব্ব প্রথমে দুৰ্ল্লভরামকে বন্দী করিল। কিন্তু বীর আতাউল্লা তুর্গের যে ভাগে ছিলেন, সেই ভাগ দুই তিন মাস পর্য্যস্ত বগীদের সকল আক্রমণ সহ্য করিয়াছিল। শুনিয়াছি দুৰ্ল্লভরামকে উদ্ধার করিবার জন্য আলিবদি খার তিনটী লক্ষ টাকা দিতে হইয়াছিল । এই এক বাঙ্গালির বীরত্ব। বাঙ্গালার অৰ্দ্ধ স্বাধীন অবস্থায় দুই জন হিন্দু নবাব হইয়াছিল—এক রামনারায়ণ আর এক দুৰ্ল্লভবাম । তাহার মধ্যে দুৰ্ল্লভরাম অপূর্বকীৰ্ত্তি রাখিয়া গিয়াছেন । সেবাব ভরামেব অনবধানত বশতঃ বগীদিগের দূর করিতে আলিবদিকে অনেক কষ্ট পাইতে হইয়াছিল । উস্তাব কাটোয় পৰ্য্যন্ত লুঠ করিয়াছিল । আমাদেব কত পুরুষ যে দুর্লভরাম আছেন তাহাব ঠিকানা নাই। আমাদের বীরত্ব পুরুষানুক্রমিক ।