পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»at•t ] ब्रोछनिरङ् زیه و تالا আর মুখে কামান পাতিয়া বসিয়া আছেন। এই ভাবিয়া, তিনি সেই রন্ধের ধারে ধারে সৈন্য লইয়া চলিলেন। ক্রমে পথ প্রশস্ত হইয়া আসিল ; তখন মবারক পাহাড়ের ধারে আসিয়া দেখিলেন-চাল্লিশ জনের অনধিক রাজপুত, শিবিকাসঙ্গে রুধিরাক্ত কলেবরে সেই পথে চলিতেছে। মবারক বুঝিলেন যে . অবশ্য ইহারা নির্গমপথ জানে ; ইহাদের উপর দৃষ্টি রাখিয়া ধীরে ধীরে চলিলে, রন্ধ্রদ্ধারে উপস্থিত হইব। তাহা হইলে যেরূপ পথে রাজপুতেরা পৰ্ব্বত হইতে নামিয়াছিল সেইরূপ অন্ত পথ দেখিতে পাইব । রাজপুতেরা যে আগে উপরে ছিল পরে নামিয়াছে তাহার সহস্ৰ চিহ্ন দেখা যাইতেছিল । মবারক সেইরূপ করিতে লাগিলেন । কিছু পরে দেখিলেন, পাহাড় ঢালু হইয়া আসিতেছে, সম্মুখে নিগমের পথ । মবারক অশ্ব সকল তীববেগে চালাইয়া পৰ্ব্বততলে নামিয়া রন্ধমুখ বন্ধ কবিলেন । রাজপুতের, রন্ধের বঁাক ফিরিয়া যাইতেছিল —সুতরাং তাঙ্গার আগে রন্ধ মুখে পেছিতে পারিল না। মোগলের পথরোধ করিয়া রন্ধ মুখে কামান বসাইল ; এবং আগত প্রায় বাজপুতগণকে উপহাস কবিবার জন্ম তাহার বক্তনাদ একবাৰ শুনাইল — দীন দীন ! শব্দের সঙ্গে পৰ্ব্বতে পৰ্ব্বতে সেই ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হইল। শুনিয়া উত্তর স্বরূপ রন্ধের অপর মুখে হাসান আলিও কামানের আওয়াজ করিলেন ; আবাব পৰ্ব্বতে পৰ্ব্বতে প্রতিধ্বনি বিকট ডাক ডাকিল । বাজপুতগণ শিহরিল—তাহাদিগের কামান ছিল না। রাজসিংহ দেখিলেন, আর কোনমতেই বক্ষা নাই । তাহার সৈন্তের বিশগুণ সেন, পথের তুই মুখ বন্ধ করিয়াছে—পথাস্তুর নাই—কেবল যমমন্দিরের পথ খোলা । রাজসিংহ স্থির করিলেন সেই পথেই যাইবেন । তখন সৈনিকগণকে একত্রিত কবিয়া বলিতে লাগিলেন । “ভাই বন্ধু, যে কেহ সঙ্গে থাক, আজি সরলান্তকরণে আমি তোমাদের কাছে ক্ষমা চাহিতেছি । আমারই দোষে এ বিপদ ঘটিয়াছে—পৰ্ব্বত হইতে নামিয়াই এ দোষ করিয়াছি। এখন এ গলির দুই মুখ বন্ধ—দুই মুখেই কামান শুনিতেছ ? তুই মুখে আমাদের বিশগুণ মোগল দাড়াইয়া আছে—সন্দেহ নাই। অতএব আমাদিগের বাচিবার ভরসা নাই । নাই—তাহাতেই বা ক্ষতি কি ? রাজপুত হইয়া কে মরিতে কাতর ? সকলেই মরিব –একজনও বাচিব না—কিন্তু মারিয়া মরিব । যে মরিবার আগে ছুইজন মোগল না মারিয়া মরিবে—সে রাজপুত নহে-বিজাতক। রাজপুতেরা শুন। এ পথে ঘোড়া ছুটে না—সবাই ঘোড়া ছাড়িয়া দাও । এসে আমরা তরবাল হাত্তে লাফাইয়া গিয়া তোপের উপর পড়ি। তোপত আমাদেরই হইবে—তার পর দেখা যাইবে কত মোগল মারিয়া মরিতে পারি।”