পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৬ वजङ्गल्यामि * * [ थांदर्भ মচুন্যভাষার কথা কহিয়া চঞ্চলকুমারী সে ভ্রম ভাঙ্গিল।—বলিল “এ সেনার সেনাপতি কে ?” মবারক স্বয়ং বন্ধ মুখে রাজপুতগণের প্রতীক্ষা করিতেছিলেন–তিনি বলিলেন, “ইহারা এখন অধমের অধীন। আপনি কে ?” চঞ্চলকুমারী" বললেন, আমি সামান্য স্ত্রী। আপনার কাছে কিছু ভিক্ষা আছে—যদি অন্তরালে শুনেন, তবেই বলিতে পারি।” মবারক বলিলেন, “তবে রন্ধ মধ্যে আগু হউন ।” চঞ্চলকুমারী রন্ধ মধ্যে অগ্রসর হইলেন—মবারক পশ্চাৎ পশ্চাৎ গেলেন । যেখানে কথা অন্তে শুনিতে পায় না এমত স্থানে আসিয়া চঞ্চলকুমারী বলিতে লাগিলেন, “আমি রূপনগবের রাজকন্যা । বাদশাহ আমাকে বিবাহ করিবার অভিলাষে আমাকে লইতে এই সেন পাঠাইয়াছেন—এ কথা বিশ্বাস করেন কি ?” মবারক । আপনাকে দেখিয়াই সে বিশ্বাস হয় । 鷲 চঞ্চল । আমি মোগলকে বিবাহ করিতে অনিচ্ছুক – ধৰ্ম্মে পতিত হইব মনে করি। কিন্তু পিতা ক্ষীণবল—তিনি আমাকে আপনাদিগের সঙ্গে পাঠাইয়াছেন । —র্তাহ হইতে কোন ভরসা নাই বলিয়া আমি রাজসিংহের কাছে দূত প্রেরণ করিয়াছিলাম—আমার কপালক্রমে তিনি পঞ্চাশজন মাত্ৰ শিপাঙ্গ লইয়া আসিয়াছেন—তাহাদের বলবীৰ্য্য ত দেখিলেন ? মবারক চমকিয়া উঠিয়া বলিলেন, “সে কি---পঞ্চাশ জন শিপাহী এক সহস্ৰ মোগল মারিল ?” চঞ্চল। বিচিত্র নহে--ইলীঘাটে ঐ রকম কি একটা হইয়াছিল শুনিয়াছি। কিন্তু সে যাই হউক—রাজসিংহ এক্ষণে আপনার নিকট পরাস্ত । তাহাকে পরাস্ত দেখিয়াই আমি আসিয়া ধরা দিতেছি । আমাকে দিল্লী লইয়া চলুন— যুদ্ধে আর প্রয়োজন নাই । মবারক বলিল, “বুঝিয়াছি নিজের সুখ বলি দিয়া, আপনি রাজপুতের প্রাণরক্ষা করিতে চাহেন । তাহাদেরও কি সেই ইচ্ছা ?” চ। সেও কি সন্তবে ? আমাকে আপনার লইয়া চলিলেও তাহার যুদ্ধ ছাড়িবে না। আমার অনুরোধ, আমার সঙ্গে একমত হইয়া আপনি তাহাম্বের প্রাণরক্ষা করুন | ম। তাহ পারি কিন্তু দমু্যর দণ্ড অবশু দিতে হইবে। আমি তাছাদের বন্দী করিব ।