পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ रुअझभन्नि [ বৈশাখ আপনি বলিতে পারেন “আমার বাহুতে বল আছে—কিন্তু থাকিলেও আমি তোমার জন্য এত কষ্ট কেন করিব ? আমি কেন অপরিচিত মুখরা কামিনীর জন্য প্রাণিহত্যা করিব ?—ভীষণ সমবে অবতীর্ণ হইব ? মুহারাজ ! সৰ্ব্বস্ব পণ করিয়া শরণাগতকে বক্ষা কবা কি বাজধৰ্ম্ম নহে ! সৰ্ব্বস্ব পণ করিয়া কুলকামিনীর রক্ষা কি রাজপুতের ধৰ্ম্ম নহে ? t, মহারাজ ! আর একটা কথা বলিতে লজ্জা করে, কিন্তু না বলিলেও মহে । আমি-এই বিপদে পড়িয়া পণ করিয়াছি যে, যে বীর আমাকে মোগল হস্ত হইতে রক্ষা কবিবেন, তিনি যদি রাজপুত হয়েন, আর যদি আমাকে যথাশাস্ত্র গ্রহণ করেন, তবে আমি তাহার দাসী হইব । হে বীরশ্রেষ্ঠ । যুদ্ধে স্ত্রীলাভ বীবের ধৰ্ম্ম । সমগ্র ক্ষত্ৰকুলেৰ সহিত যুদ্ধ করিয়া, পাণ্ডব দ্রৌপদীলাভ কবিয়াছিলেন । যাদবীসেনাকে যুদ্ধে পরাজিত করিয়া অৰ্জ্জুন সুভদ্রাকে পাইয়াছিলেন। কাশীরাজ্যে সমবেত রাজমণ্ডলসমক্ষে আপন বীৰ্য্য প্রকাশ কবিয়া ভীষ্মদেব বাজকন্যাগণকে লইয়া আসিযাছিলেন । হে বাজন । রুক্মিণীব বিবাহ কি মনে পড়ে না ? আপনি এই পৃথিবীতে আজিও অদ্বিতীয় বাব—আপনি কি বাবধৰ্ম্মে পবায়ুখ হইবেন ? আমি মুখরা, কতই বলিতেছি—পাছে বাক্যে আপনাকে না বাধিতে পাবি– এজন্য গুরুদেবহস্তে রাখির বন্ধন পাঠাইলাম। তিনি বাথি বাধিয়া দিবেন— তার পর আপনাব রাজধৰ্ম্ম আপনার হাতে । তামাব প্রাণ আমার তাতে । যদি দিল্লী যাইতে তয, দিল্লীর পথে বিষভোক্তন কৰিব ।” পত্র পাঠ কবিয়া রাজসিংহ কিছুক্ষণ চিন্তামগ্ন হইলেন ; পরে মাথা তুলিয়া মাণিকলালকে বলিলেন, “মাণিকলাল, এ পত্রের কথা তুমি ছাড়া আর কে জানে ? মাণিক যাহারা জানিত মহারাজ গুতামধ্যে তাহাদিগকে বধ করিয়া আসিয়াছেন । রাজা । উত্তম । তুমি গুতে যাও । উদযপ্রবে আসিয়া আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ কবি ও। এ পত্রেব কথা কাতার ও সাক্ষাতে প্রকাশ * & न ! এই বলিয়া রাজসিংহ, নিকটে যে কয়টি স্বর্ণমুদ্রা ছিল, তাতা মাণিকলালকে দিলেন । মাণিকলাল প্রণাম করিয়া বিদায় হক্টলেন ।