২১৮ वक्षश्चांबिका।। [ छांज স্ব। সব বুঝেছি, কাপড় আর অলঙ্কার চাই। আমাকে নীলমণি “জটা ডাডা” বলিয়া বড় ভক্তি করে । আমি তার পাশে শুইয়া এতক্ষণ কপটনিজায় ছিলাম। এখন কহিয়া উঠিলাম, “সুন্দরীর কাপড় আর গয়না আর সোনা ।” আমার কথা শুনিয়া চমকিয়া উঠিল ও কহিল, ‘গঙ্গা দাদা ! ঘুমাও নাই ? যে আমায় সোনা দেয়, গহনা দেয়, আমি তার ; তুমি দিবে ?” আমি কোন উত্তর দিবার পূর্বেই মুবুদ্ধিমান নীলমণি ভবিষ্যৎবাণীর স্বরূপ কহিল, “ছিছি ! আমি দিব।” গজানন কহিয়া উঠিলেন, “ক্ষেপাছেলে।”—নীলমণি আবার কহিল, “আমার যে তু টাকার ডুয়ানি আছে—টোনা খরিদ করব।” আমি কহিলাম, “ভাই নীলমণি, দুই টাকায় কটা দুয়ানি হয় ?” নী। সাড়ে নয়টা—জটা ডাডা। গ। ভীমে মাষ্টারটা অতি বেল্লিক, শিখাইবার প্রণালী আদে জানে না । সু। একটা বন্দবস্ত করুন—আমার কাপড় অলঙ্কার ? গ | সব প্রস্তুত । সম্মুখে একটা হাতবাক্স ছিল। দুইটি গিল্টির বাগমুখে চকচকে বালা দেওয়ানজী সুন্দরীকে দিলেন। সেও সঙ্গে সঙ্গে পবিল ও ভূমিষ্ঠ হইয়া প্ৰণাম করিল। আবার একটি পাশ্বস্থিত বস্ত হইতে একখানি সাড়ি ও উড়ানি ও পাদভূষণ পশ্চিমে পাইজর সুন্দরীকে দেওয়া হইল। সুন্দরী বারেণ্ডার দিকে গেল। মুহূৰ্ত্ত মধ্যে বেশ পরিবর্তন কবিয়া রাজ-পুতানী কাদম্বিনী হইয়া প্রবেশ করিল। বাস্তবিক তাহাকে তাদৃশ রাজপুতানীর মত দেখাইত না, সে তাদৃশ গৌরাঙ্গী স্কুল উন্নতকায় নহে। তাহার আঁখির ও ক্রযুগলের ভাবভঙ্গি সেরূপ প্রশস্ত পরিমাণের নহে ; সে উজ্জ্বল-শ্যাম, কৃষাঙ্গী, কোমলাঙ্গী, পঞ্চদশবর্ষীয়া বঙ্গ গোপকন্যা মাত্র ; তথাপি যে দিন হইতে সে রাজ-পুতানী সাজিল, সেই দিন হইতেই তাহাকে ঠিক রাজপুতানী বলিয়াই অনেকে দেখিতে লাগিল, ও গ্রামে দুই একটি বৃদ্ধ লোক ক্র উত্তোলন করিয়া কহিতে লাগিল, “না হবে কেন, এ কে জান ?" আর এক বৃদ্ধ কহিল, “এ বাবুর বাটীর জমাদার ভবানী মুকুলের ঔরসজাত কন্যা, সেই জন্য ও কেমন লোচ হিন্দিতে কথাবাৰ্ত্ত কহে শুনেছ ?" এখন সজ্জা পরিবর্তন করিয়া গজাননের সম্মুখে দাড়াইবামাত্র গজানন কহিলেন, “বেশ সেজেছ—সুন্দরি!” সুন্দরী কহিলেন, “এ আপনার ভ্রম—আমি কাদম্বিনী।" নীলমণি কহিয়া উঠিল— “দিদি ! তুমি জান কত রঙ্গ, ধানভান, চিড়ে কোট—বাজাও মৃদঙ্গ ।”
