পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

तल्लङ्गभूमि [ আশ্বিন سونج বাসনার মধ্যে ঘোরতর বিরোধ উপস্থিত হইল। একবার একটা আবার অপরটি পৰ্য্যায়ক্রমে প্রবল হইতে লাগিল। অবশেষে উভয়ের মধ্যে কোন একটির জয়লাভ হইল । এস্থলে কেহ বলিতে পারেন যে, প্রবলতর বাসনা যে মনুস্যকে স্বীয় অধীনে আনিল এমন নহে, মনুষ্য নিজেই সেই অভিসন্ধিকে প্রবল করিল ; সে আপনিই স্বাধীন ভাবে উভয়প্রকার অভিসন্ধির মধ্যে কোন একটকে জয় দান করিল। কিন্তু জিজ্ঞাসা করি জয় দান করিল কেন ? একটর পরিবর্তে আর একটিকে জয়দান করিবার যে ইচ্ছা তাহার কি কোন কারণ নাই ? সেই মানসিক অবস্থার উৎপাদক কি কোন পুৰ্ব্ববৰ্ত্তী অবস্থা নাই ? আমরা দেখিলাম যে জড় জগৎ কাৰ্য্য কাবণ শৃঙ্খলবদ্ধ একটা কল মাত্র । আবার ইহাও প্রতিপন্ন হইল যে, মনোজগৎও ঐ প্রকার আর একটি কল । আধুনিক উন্নত বিজ্ঞানেব ইতাই উপদেশ যে, সমগ্ৰ ব্ৰহ্মাণ্ডেব সকল অংশের সহিত সকল অংশের যোগ রহিয়াছে । নিয়ত পূৰ্ববৰ্ত্তী ও নিয়ত পরবত্তীরূপে ঘটনা সকল পরস্পবের সহিত সংবদ্ধ। এই প্রকাও যন্ত্রেব নিগৃঢ় কার্যপ্রণালীর অমুসন্ধান কৰাই মনুষ্যের সুমহৎ অধিকার । এই যন্ত্রসম্বন্ধীয সত্য আহরণ করাই বৈজ্ঞানিকের কার্য । এই যন্ত্রের জ্ঞানই প্রকৃত বিজ্ঞান । জড় ও মন উভয়ই যখন নিয়মে বদ্ধ তখন উভয় সম্বন্ধীয ঘটনারই ভবিষ্যদ্বাণী সম্ভব। কেবল সম্ভব কেন ? বহুকাল হইতে বৈজ্ঞানিকেবা ভাবী ঘটনা সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করিয়া আসিতেছেন, এবং উহা সফলও হইতেছে । আমরা পূৰ্ব্বে গোলার বিষয়ে যেমন বলিয়াছি যে, সমস্ত অবস্থাসম্বন্ধে সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকিলে প্রথম গোলাটিতে আঘাত লাগিবে কি না, সেইরূপ সমস্ত অবস্থা নিয়ম সম্বন্ধে সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকিলে জগতের যাবতীয় ঘটনাসম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করা যায়। কবে সূৰ্য্য চন্দ্রের গ্রহণ হইবে, কবে ধূমকেতুর উদয় হইবে, জ্যোতির্বিবদুপণ্ডিতেরা বছকাল হইতে ভবিষ্যদ্বাণী করিয়া আসিতেছেন । গ্রহ উপগ্রহ বিষয়ক নিয়মাদির জ্ঞান কতকটা লাভ করা হইয়াছে বলিয়াই তাহারা অক্লেশে উক্ত ঘটনা সকল বস্থকাল পূৰ্ব্ব হইতে দেখিতে পান। যে পরিমাণে বিজ্ঞান, উন্নতিপ্রাপ্ত হইতে থাকিবে, সে পরিমাণে মনুষ্য, জগতের ভাবী ঘটনার জ্ঞানলাভ করিতে থাকিবে। এই শতাব্দীতে বিজ্ঞান যতটুকু উন্নত হইয়াছে, তাহ দেখিয়াই আমরা আশ্চৰ্য্য হই । কিন্তু বাস্তবিক ইহা নিশ্চয় যে বিজ্ঞানের এখন শৈশবাবস্থা মাত্র। সেইজন্য বৈজ্ঞানিকেরা অতি অল্প বিষয়েরই ভবিষ্যৎ দেখিতে পান। এই প্রকাগু ব্ৰহ্মাণ্ডের অধিকাংশ বিষয়েরই এখন ভাৰী জ্ঞান অসম্ভব। কেন না, সে সকলের নিয়মাদি সম্বন্ধীয় জ্ঞান এখনও ময়ুৰ্য