পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

પ્રશન ] মণিপুরের বিবরণ - ২৯১ হইয়া মারজিৎ একমাত্র অশ্বারোহণে কয়েকজন বিশ্বস্ত অমুচরের সহিত গোপনে কাছার যাত্রা করিলেন • কাছাররাজ কৃষ্ণচন্দ্রের ভ্রাতা গোবিন্দচন্দ্র মারজিতের মনোহর অশ্ব দর্শনে লোভাক্রান্ত হইলেন। ইচ্ছামুরূপ মূল্য লইয়া অশ্ব বিক্রয়ের জন্য মারজিৎকে অনুরোধ করা হইল। মিতাই রাজনন্দন প্রাণপ্রিয়তর অশ্বের জন্য সহস্ৰ সহস্ৰ সুবর্ণ তুচ্ছঞ্জান করিলে, গোবিন্দচন্দ্র সেই অশ্ব বলক্রমে গ্রহণ করিলেন। হৃতসৰ্ব্বস্ব মারজিৎ আশ্রয়দাতা কর্তৃক মৰ্ম্মপীড়িত হইয়া বনে বনে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন । বহুকষ্টে নগনদী প্রান্তর অতিক্রম করিয়৷ মারজিৎ আবী রাজধানীতে উপনীত হইলেন। তিনি ব্রহ্মরাজ কর্তৃক সাদরে গৃহীত হন। শ্বেতগঙ্গাধীশ বিপন্নকে মণিপুর বাজাসনে অভিষিক্ত করিতে প্রতিশ্রুত হইলেন। মারজিৎও, প্রতিশ্রুত হইলেন যে “ব্রহ্মের ভুজবলে মণিপুর নাগাসন তদধিকৃত হইলে, তিনি স্বয়ং আবায উপস্থিত হইয়া রাজন্তবর্গ পূজিত ব্ৰহ্মবাজের রাজাসন সমক্ষে মস্তক অবনত করিবেন ।" মারজিৎ বৃহৎ একদল ব্ৰহ্ম সৈন্য লইয়া ভ্রাতৃবিরুদ্ধে যাত্রা করিলেন । চৌরজিৎ ও গম্ভীরসিংহ স্বজাতীয় সৈন্য লইয়া অগ্রসর হইলেন । তুমুল সংগ্রামের পর মিতাইদিগকে ব্রহ্ম সৈম্ব্যের নিকট পরাজয় স্বীকার করিতে হইল । চৌরজিৎ ও গম্ভীরসিংহ কাছার ও ত্রিপুরায় পলায়ন করিলেন। মারজিৎ মিতাই রাজাসন অধিকার করিয়া ভ্রাতৃসুহৃদবর্গের প্রাণদণ্ড করেন । রাজ্যচু্যত নৃপতি চৌরজিৎ ত্রিপুরার তদানীন্তন যুবরাজ কাশীচন্দ্রের হস্তে কন্যা (কুটিলাক্ষী ) সমর্পণ করিয়া ত্রিপুরার সহিত প্রণয়সূত্রে বদ্ধ হইলেন। মারজিৎ পৈতৃক রাজ্য অধিকার করিয়া দেখিলেন, তাহার অশ্বাপহারী পার্শ্ববৰ্ত্তা রাজ্যের রাজাসনে বিরাজ করিতেছেন। প্রতিহিংসাবৃত্তি র্তাহার হৃদয়ে প্রবল হইল। তিনি বহুসংখ্যক সৈন্ত হইয়া কাছার ধ্বংস করিতে চলিলেন প" “মণিপুরীয়গণ বলে, চৌরজিং অসি যুদ্ধে স্বশিক্ষিত ছিলেন। মারজিৎ অশ্বারোহণে সংগ্রামক্ষেত্রে অলোকসামাপ্ত বীরত্ব প্রদর্শন করিতেন। তাহার অশ্বের স্থায় কুঞ্জ ও সমরকুশল অশ্ব কস্মিনকালে মণিপুরে জন্মে নাই বলিয়া প্রবাদ আছে। সৰ্ব্বভূজ भउँौब्रनिश् छणनाखब्र छाम्न श्खाइब्राश्प्स शूरु कब्रिट्डन । fমণিপুরীয়গণ বলেন শিশু বৃদ্ধ ব্যতীত মণিপুরীয় পুরুষ মাত্রই মারজিতের ময়লাভে नइनधन कब्रिब्राझिल ।