পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৩৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

డణ్డ:ఙ_Eణా:___:పా:ఙ রভুবয়েলের 墜 র্ষে লোকসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি হইতেছে। নিত্যই দেখিতে পাওয়া যায় নূতন নূতন নগর স্থাপিত হইতেছে, পুরাতন জঙ্গল আবাদ হইতেছে ও নগর নগরীর আয়তন বৃদ্ধি হইতেছে। কৃষ্টভূমির আয়তন বৃদ্ধি হইতেছে, নূতন নূতন খনি আবিষ্কার হইতেছে, রেলওয়ে লাইন বিস্তার হইতেছে, কিন্তু কোথাওই লোকের অভাব নষ্ট। যখন এলফিনষ্ট্রোন ভারতবর্ষের ইতিহাস লিখেন, তখন ভারতবর্ষের লোকসংখ্যা কমবেশ ১৪• • • • • • • কোট ছিল বলিয়া অনুভব হইয়াছিল, মহাত্মা এনফিলষ্টোন ভারতবর্ষের নানা স্থানে নানা প্রকার চাকরী করিয়া শেষ বোম্বাইয়ের গবর্ণর হন। তিনি ভারতবর্ষের কোনস্থানে কতলোক আছে, এক প্রকার জানিতেন, তাহার অনুভব আমরা গ্রহণ করিতে পারি। মোটামুটি তাহার সময়ে ভারতবর্ষে চৌদ্ধকোটা . লোকের বাস ছিল । এক্ষণে ভারতবর্ষের লোকসংখ্যা ২৪ • • • • • • • কোট । এই চল্লিশ পঞ্চাশ বৎসরের মধ্যে দশ কোটী লোক বৃদ্ধি হইয়াছে। যদি বাস্তবিক হইয়া থাকে, তাহা হইলে এই লোকবৃদ্ধি ভারতের মঙ্গল কি অমঙ্গল ? এই সকল লোকের অবস্থা কিরূপ, ইহাদের দ্বারা ভারতের ভাবী উন্নতির আশা করা যাইতে পারে কি না চিন্তাশীল ব্যক্তিমাত্রেরই মনে এইরূপ প্রশ্ন উদিত হয় । কেহ বলেন ভারতের মঙ্গল হইতেছে, কেহ বলেন অমঙ্গল হইতেছে। আজি আমরা এ বিষয়ের কিছু আলোচনা করিতে ইচ্ছা করি । বাস্তবিক দেখিতে গেলে এইরূপ লোকসংখ্যা বৃদ্ধি ভারতবর্ষের তুর্গতির এক মাত্র কারণ। যে পরিমাণে লোক বৃদ্ধি হইতেছে স্বর্ণপ্রসলি ভারতভূমিও তাহাঁদের আহার যোগাইয়া উঠিতে পারেন না । ভারতবর্ষের উৎপন্ন হইতে যত লোকের মুখে ও স্বচ্ছদে জীবিকা নিৰ্ব্বাহ হইতে পারে, লোকসংখ্যা, তীহ অপেক্ষ অধিক হইয়া উঠিয়াছে। তাহার সাক্ষী প্রতিবৎসর হৰি . প্রতিবৎসর লক্ষ লক্ষ লোকের প্রাণবিনাশ। আর যে সকল লোক আছে,