পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩ दछझुन्नि বৈশাখ মুহূর্তে বাহকগণ উপস্থিত হইল, রঘুবীর খাটসহ তাহাদের স্বন্ধে বাহিত হইল—কেহ কেহ "হরিবোল” দিয়া উঠিল, রঘুবীর একবার বেতাব অবস্থা ভুলিয়া গর্জন করিয়া উঠিল “সমুন্দির পো ! আমি কি যথার্থই মরিয়াছি ?” গজানন কহিলেন, "বেদনা মস্তকে চড়িয়াছে প্রলাপ দেখিতেছে।" এ দেওয়ানজীর কৃত প্রলাপ ! দাবগা সাহেব মনে করিলেন তাহার এক কৰ্ম্মে তুই কৰ্ম্ম সিদ্ধ হইল । লোকে জানিল রঘুবীর মারপিটের মোকৰ্দমায় বাদী হইয়া চলিতেছে ; দারগা তাহার সহিত একটী আত্মহত্যাব সাহায্যের অপবাধা বলিয়া চালান গোপনে লিখিয়া দিলেন, আপনাব শাফায় ও নিজ বৈবাহিক নাজির সাহেবের পুজার পস্থা করিয়া দিলেন। গজাননের একবুদ্ধি ত দারগাব শত বুদ্ধি ; কিন্তু দারগার মনের কথা তাহার মনই জানিল। এদিকে আবার সিংহ বাবুদের কন্যাটিকে হাজির করিবার জন্য একটা হুকুম নাম লিখা হইল । অষ্টম পরিচ্ছেদ তোমর; কেউ স{থে ব দে থে৪ ? একদিন দুই প্রতল দুইটার সময, লাউসেন দত্ত গুরুমহাশয় আতাবাস্তে পাঠশালাব দেওয়ালে ঠেস দিয়৷ চুলিতেছেন, উদ্ধ কfনবাবণী মলমলের এক পাট্ট মিহি পাগড়ি কপালের উপর একটি গিব দিয়া বান্ধিয়াছেন ; গিরাল ফুপি ও মাথার ঋজু পলিত কেশ একত্র হইয়া টাকশালাব শোভা ধারণ কবিয়াছে, মাথাটা বক্র হইয়া বক্ষঃস্থলেব দিকে—বশি ঝাড়েব পুচ্ছময় অগ্রভাগের স্যায় নত হুইয়া আসিতেছে ; দক্ষিণ হস্তের মুষ্টিতে বেত গাছটি তবু ধলা বতিয়াছে । তখন তাহারান্তে সকল বালক লিখিতে উপস্থিত হয় নাই, গঙ্গাধর সমুপযুক্ত কয়েকটি সঙ্গ লইয়া মুখে “মহামহিম” উচ্চাৰণ কলিযা খতেব মুসবিদ তাকিতেছেন ; হাতে পাঠশালের দেওয়ালে একটা স্তবিণের আকৃতি আঁকিতেছেন। নিদ্রার প্রাবস্তে গুরুমহাশয়ও মধ্যে মধ্যে আমাদেব স্ববে সুস্বৰ মিশাইয়া “তা হযে দাড়ি হস্তিকার” কহিতে কতিতে নাক ডাকাইয়া ফেলিলেন। এমন সময় বেণেদের গোপাল আসিয়া আমার কাণে কাণে কঠিল, “ওলে সাহেব দেখেচিস্ ?” সাঙ্গেব দেখিতে বাগ হইলাম । কিন্তু আমি বিলক্ষণ জানিতাম দত্তজ মঙ্গশস কখন কখন কপটনিদ্রা যান ও আমরা কি করি ঈষৎ চাহিয়া দেখেন । সময়ে সময়ে বিনা মেঘে বজ্রাঘাতের ন্যায় অলিন্তপ্রিয় বালকের পিঠে বেত্ৰাঘাতুও বর্ষণ করেন, অতএব গুরুমহাশয় প্রকৃতরূপে নিদ্রিত কি না তাঙ্গ পাঠশালার বাহির হইবার পূৰ্ব্বে নিশ্চয় জানা আবশুক ।