পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AABAAA AAAA AAASS ! T ষষ্ঠ বর্ষ • অষ্টম সংখ্যা ! థౌ ఫోకస్హో: o দেশে যখন একমাত্র দেবভাষা সংস্কৃতের প্রাবল্য ছিল তখন হইতে “রত্ন” শব্দটি চলিয়া আসিতেছে । সংস্কৃত শাস্ত্র আলোচনার দ্বারা জ্ঞাত হওয়া যায়, পূৰ্ব্বাচার্য্যেরা তুই প্রকার ৮ অর্থে “রত্ন” শব্দের সঙ্কেত বৰ্দ্ধন করিয়া গিয়াছেন । এক সামান্ততঃ উৎকৃষ্ট বস্তুর উপর, দ্বিতীয় উৎকৃষ্ট প্রস্তরের উপরই রত্বের প্রয়োগ দেখা যায় । “জাতে জাতেী যদুখকষ্টং তদ্ধি রত্বং প্রচক্ষতে ।" প্রভোক জাতীয় বস্তুর মধ্যে যেটা উৎকৃষ্ট সেইটিই রত্ন। যথা স্ত্রীরত্ব, পুরুষরত্ব, অশ্ববত্ত্ব, ধনরত্ন ইত্যাদি ; “রত্নস্ক মণিভেদে স্যাৎ” মণিবিশেষের সহিত রত্নশদেব সঙ্কেত বাধা আছে । রতুশদের এই দ্বিতীয় অর্থের বিবরণ ব্যক্ত করা আমাদের উদ্দেশ্য, এই জন্যই আমরা উপরে ‘রত্নরহস্য” মুকুট স্থাপন করিলাম। এক সময়ে ভারতবর্ষবাসীদিগের মনে যে কি পৰ্য্যস্ত প্রস্তরপরীক্ষা বিষয়ক অনুসন্ধিৎসা প্রবল হইয়াছিল এই প্রস্তাব পাঠ করিলে তাহা পাঠকবর্গ অবগত হইতে পারবেন। রত্নপদবাচ্য যত প্রকার মণি আছে তন্মধ্যে নয়টি প্রধান । এইজন্য আমরা *'নবরত্ন” নামটি সৰ্ব্বদা শুনিতে পাই । তদযথা । “মুক্ত মাণিক্য বৈদূর্ঘ্য গোমেদো বজবিক্রমেী পদ্মরাগং মরকতং নীলঞ্চেতি যথাক্রমম্।।” ( তত্ত্বসায়: ) পাঠকগণ, বৈদূৰ্য্য কি ? গোমেদ কি ? বলিয়া ব্যস্ত হইবেন না, ক্রমে সমস্তই বলিব—অগ্রে মুক্তার বিবরণ লিখিতে প্রবৃত্ত হইলাম । মুক্ত বহুমূল্য রত্ন। ভারতবাসীগণের ন্যায় ইউরোপীয়গণও প্রাচীনকাল হইতে ইহার বিশেষ আদর করিয়া আসিতেছেন। পূর্বকালে রোমকগণ ইহা