পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७१९ বজদর্শন [ जबशश्न ফণিজাত মুক্ত দেখিতে অতি মুন্দর বর্ভূল অর্থাৎ গোল। নীলাভ এবং অত্যন্ত দীপ্তিমান! অপুণ্যবান ব্যক্তিরা বাসুকিবংশীয় সর্প দেখিতে পায় না। স্বতরাং ফণীজাতমুক্ত তাহাদের নিকট হুলভ । দ্বিতীয় লক্ষণ। যথা— “শৃগালকোলামল কেলগু৪াফল প্রমাণস্তু চতুবিধাস্তে । স্থ্য ব্রহ্ম বাহুম্ভব বৈহু শূদ্র সৰ্পেযু জাতা: প্রবরাস্তু সৰ্ব্বে ।” শৃগালকোল = শুকুল। প্রমাণে শুকুল যত বড়, তত বড় হয়। আমলকী প্রমাণও হয় । গুঞ্জ অর্থাৎ কুঁচ পরিমিতও হয়। কুল ফলের মতনও হয় । এই চারি প্রকার মুক্ত চারি জাতি সৰ্পে জন্মে। ইহা সকলই প্রশস্ত । ফলশ্রুতি “প্রাপ্যাপি রত্ননি ধনং শ্রিয়ং বা । রাজশ্রিলং বা মহতীং দুরাপান । তেজোইৱিতা: পুণ্যকৃতো ভবস্থি মুক্ত ফলস্তান্ত বিধায়গেন ।” (কল্প ক্রমধুত ) ধন, রত্ন, মহতী রাজঐ প্রাপ্ত হইয়া এই ফণিমুক্ত ফল ধারণ করিলে ধারণকৰ্ত্তার পুণ্য কৰ্ম্মে প্রবৃত্তি হয় এবং তেজোবুদ্ধি হয় । তৃতীয় লক্ষণ “ভৌজঙ্গমং নীল বিশুদ্ধ বর্ণং । সৰ্ব্বং ভবেৎ প্রোজ্জগৱৰ্ণ শোভম।” (কল্পঙ্কমন্বত ) অথ মানজ যুক্তা মৎস্য বিশেষের মুখ প্রদেশে এক প্রকার পাথর জন্মে তাহাকেই শাস্ত্র-কারেরা মীনমুক্ত বলিয়া থাকেন । ইহার সবিশেষ বৃত্তাগু ক্রমে বর্ণন করা যাইতেছে । পাঠিন পৃষ্ঠত সমানবর্ণম্। মীনাং স্ববৃত্তং লঘুনাতিসূক্ষম । উৎপঙ্কতে বারিচরাননেষু মীনাশ্চতে মধ্যচরা পরোধে । পাঠান মৎস্ত—রোহিত মৎস্ত বাট মৎস্ত । মীন হইতে যে মুক্ত পাওয়া যায় তাঙ্গ পাঠান মৎস্তের পৃষ্ঠের বর্ণের সদৃশ সুগোল, লঘু অর্থাৎ ওজনে হালক, ও নিতান্ত সূক্ষ্ম নহে। মানমুক্ত সকল বারিচর অর্থাৎ মৎস্তদিগের মুখে জঙ্কিয়া থাকে এবং এই সকল মৎস্ত সমূজের মধ্যপ্রদেশে বাস করে ।