পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৩৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

web-8 বজজশন { আগ্রহাণ “অল্প জল” “বালিসার ” সাহেবের সাহস বৃদ্ধি হইতেছে, তখন অশ্ব চাকিভোর জলে নামিয়াছে লাঙ্গুলে জলস্পর্শ হওয়ায় একবার বামে একবার দক্ষিণে বিক্ষেপ করিল, সঙ্গে সঙ্গে হেষারব করিল, অশ্বারোহী মৌলবি সাহেবের মনে হইল বিনা মেঘে বজ্ৰাঘাত। আর ভাবিবার সময় কৈ ? তীরের মত অশ্ব অপর কূলে আসিয়া উপস্থিত। মৌলবি সাহেব “আল্লা হো লাহু লেল্লা” উচ্চারণ করিয়া সুজ্ঞান প্রাপ্ত হইলেন, ও গর্জন করিয়া “আমাকে কেন ধরেছিস" কহিয়া চৌকিদারগণকে তিরস্কার করিলেন । দ্বাবিংশ পরিচ্ছেদ বিচার ধৰ্ম্ম র্যাহারা বিচারপতি, তাহারা ধৰ্ম্মাবতার অখ্যায়িত, র্তাহারা ন্যায়সাধন করিয়া থাকেন, কিম্বা ন্যায়সাধন করাই তাতাদের কার্য্য বলিয়া এত গৌরব । সেই গৌরব রক্ষা করিতে র্তাহারা সতত তৎপর, বিচারক কিয়দর নিয়মের বাধ্য, প্রমাণের বাধ্য, আরো প্রমাণ প্রয়োগ অসম্পূর্ণ ও স্বার্থসম্ভূত মিথ্যা বর্ণনায় বিদূষিত হইলে, বিচারককে হতাশ হইতে হয়। মনে মনে জানিয়া শুনিয়াও দেশবিধির অনুরোধে, কাগজে কলমে প্রমাণাভাবে, তাহাকে নিজ অনুমানের বিপরীত কাৰ্য্য করিতে হয় । ইহা এক মনোকষ্টের কারণ, তাহার উপর আমাদের দেশে সমাজের এমনি স্বভাব, এমনি স্বার্থপরতা প্রবল, এমনিই আপনার স্বরূপ অপরকে দেখিতে তৎপর যে, নিজ ইচ্ছানুযায়ী কাৰ্য্য না হইলে কেবল বিচারককে ভ্রান্তিসঙ্কল বলিয়া আমরা সন্তুষ্ট হই না । “পক্ষপাতী" “কাণ পাতলা” “বন্ধুজনের অনুরোধরক্ষাকাঙ্গী," শেষে “বোকা হাকিমট," কহিয়া তাহার সকল শ্রমের, সকল কষ্টের, পুরস্কার দিয়া থাকি । আজ শাস্তিপুরে আমতলার এজ লাসে বিচারকার্য্য নিম্পত্তি হইতেছে । শুনা যাইতেছে মৌলবি সাহেবের বিংশতিটি টুপি সঙ্গে আসিয়াছে। সকলে কহিতেছে, যেমন কোন প্রশংসিত ব্যক্তি বিশ তোপ পায়, তেমনি এই হাকিম সরকার হইতে বিশ টুপি বক্সিস পাইয়াছেন, এ জন্য তিনি “বিশ টুপিদার হাকিম" বলিয়া খ্যাত । কিন্তু কাছারীর কার্য্য এক ঘণ্টা মাত্র আরম্ভ হইয়াছে, ইহার মধ্যে দণ্ডে দণ্ডে আমরা কেবল তিনটি টুপি পরিবর্তন হইতে দেখিলাম। ঘড়িটি মধ্যে মধ্যে খুলিতেছেন, ও “টোপি লাও” কহিতেছেন । प्लेनि लहेग्ना ठिनन्नै फूछा আসিতেছে, দুই জন রেখা পরিবর্তন নিবারণাশয়ে কেশাগ্র উভয় কর্ণের নিকট ধরে, একজন পুরাণ টুপিটা উঠাইয়া নূতন একটা মস্তকে পরাইয়া দেয়, এটি