পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৪১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পদ্য গ্রন্থ qಕ್ಷ್ ইংরেজী কাব্য সম্বন্ধে আমাদের কথা হইতেছিল। ইংরেজি শিক্ষাগুণে আমরা তাহার সাক্ষাতে ইংরেজি কবিত্বের প্রশংসা করি। প্রশংসা তাহার অসহ্য হইল। তিনি ক্রুদ্ধভাবে বলিলেন, “সে কি কথা ! ইংলণ্ড চিরসুখী, কখন কাদে নাই, ইংলণ্ডে কবিত্ব কিরূপে সম্ভব ?” কথাটি কতদূর সত্য তাহা জানি না তবে এই বলিতে পারা যায় যে, যে ব্যক্তি নিত্য অল্পধ্বংস করিয়া নিদ্রা গিয়াছে, এবং নিদ্রাভঙ্গে কেবল পান চিবাইয়াছে, যে শোক তাপ কিছুই জানে না, বা বুঝে না, কাব্যপ্রণয়নে তাহার অধিকার হয় না, প্রয়োজনও জন্মে না। প্রয়োজন বিবেচনা করিয়া যে লিখিতে যায়, কাব্যে সে অনধিকারী। প্রয়োজন বিবেচনায় যে র্কাদিতে বসে, সে ভাল কাদিতে পারে না । যে একান্ত অস্তরের জ্বালায় কাদে কেবল তাহারই চক্ষের জলে লোকে “আহা” বলে । বোধ হয় চিত্তমুকুর লেখকের অন্তরে জ্বালা আছে। তিনি সেই জালায় কাদিয়াছেন। অধিকাংশ কবিতাগুলি তাহার আন্তরিক ক্ৰন্দন । ‘কবিতা লিখেছি কত মনের বেদনে।” যাহাই তিনি লিখিতে গিয়াছেন, তাহাতেই যেন তাহার চক্ষে জল আসিয়াছে। সকল অবস্থাই তিনি দুঃখের চক্ষে দেখিয়াছেন, সকল অবস্থাতেই তিনি আপনার মৰ্ম্মবেদনা মিশাইয়াছেন। একস্থানে ভাটের ন্যায় স্তুতিপাঠ করিতে গিয়াও সেই মনোবেদনা কতক দেখাইয়াছেন। দুই চারিটি কবিতা হইতে কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ উদ্ধৃত করিলে এ কথা প্রতিপয় হইবে । কলিকাতা ৪৪ নং বেশিয়াটোলা লেন, রায় যন্ত্রে ঐআশুতোষ ঘোষাল কর্তৃক মুন্ত্রিত। সন ১২৮৫ । মূল্য দ• আনা মাত্র। গ্রন্থকারের নাম লিখিত নাই।