8€रे বঙ্গদর্শন % 趁 [ণেীৰ বিরাটদেশীয় মুক্তার বর্ণ শুভ্র এবং রূক্ষ্ম অর্থাৎ লাবণ্যহীন। বৃহৎসংহিতায় ইহার কোন প্রসঙ্গ নাই । এই সকল মুক্ত ভিন্ন বৃহৎসংহিতায় হৈম অর্থাৎ হিমপ্রধানদেশীয় মুক্তার বিষয় লিখিত হইয়াছে যথা— “লঘুজঞ্জয়ং দধিনিভং বৃহৎবিসংস্থানমপি হৈমম্ ৷” হৈম মুক্ত সকল লঘু (হালকা ) জজ য় তুল্য, দধির বর্ণ ও বড় বড় হয়, ছোটও হয় । “রুক্মিণী” নামক এক জাতি শুক্তি আছে। তাহাতে প্রায় মুক্ত জন্মে না, যদি জন্মে তবে তাহা সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট হয়। রত্নতত্ত্ববেত্তারা এই জাতীয় মুক্ত দুর্লভ বলিয়া গিয়াছেন যথা— “রুক্মিণ্যাখ্যাতু যাতক্তিস্তৎপ্রস্থতি: স্থদুলভা । তত্ৰ জাতং সিতং স্বচ্ছং জাতীফল সমং ভবেৎ । ছায়াবদ্ধস্থলং রম্যং নির্দোষং যদি লভ্যতে । 帶 অমূল্যং তদ্বিনির্দিষ্টং রসুলক্ষণকোবিদৈঃ । দুলভিং নৃপযোগ্যং স্তাদয় ভাগ্যৈর্ণ লভ্যতে । ( গরুড় পুরাণ ) অর্থাৎ রুক্মিণী নামা শুক্তিতে যে মুক্ত জন্মে তাহা দুর্লভ। রুক্মিণী শুক্তিতে যে মুক্ত জন্মে তাহা চন্দ্রকিরণ তুল্য বা শুভ্র বর্ণ, স্বচ্ছ, এবং প্রমাণে ও আকারে জাতীফল তুল্য হইয়া থাকে। রত্নলক্ষণজ্ঞেরা কহেন ছায়া থাকে ও কোন দোষ না থাকে ও দেখিতে রম্য ও বড় হয় যদি এতাদৃশ রুক্মিণীমূক্ত ভাগ্যবশতঃ লাভ হর তবে তাহা অমূল্য। ফলত এরূপ মুক্তা চুল্লভ, রাজার যোগ্য, অল্পভাগ্য মানবেরা ইহা পায় না । পুরাতন রত্নতত্ত্ববেত্তাগণের মধ্যে দুই দল ছিল । এক দলের পণ্ডিতের কথিত প্রকারে দেশবিশেষে মুক্তার আকার বর্ণাদি ভিন্ন হয় বলিয়া স্বীকার করিতেন, অপর সম্প্রদায়ের পণ্ডিতেরা এই নিয়ম স্বীকার করিতেন না এবং কহিতেন যে সৰ্ব্বত্র সকল প্রকার মুক্ত হইতে পারে। যথা— "সৰ্ব্বন্ত তস্তাকরঞ্জাবিশেষাং ৰূপ প্রমাণে চ ধৈৰ বিৰান। নহি ব্যবস্থাছন্তি গুণাগুণেষু সৰ্ব্বত্ৰ সৰ্ব্বাকৃতয়ো ভবত্তি।” (শৰকল্পক্ৰম: ) মুক্তাধারণের শুভাশুভাদি কল্পনাকারী রত্নপরীক্ষকের মন্থয্যের কায় শুক্তিরও চারিপ্রকার জাতি কল্পনা করিয়া তদ্ভুদভব মুক্তাফলেরও চারিজাতি কল্পনা কৰিয়া গিয়াছেন যথা—
