পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৪৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-ఙ 必及※、 মালা সংস্কার বিষয়ে বঙ্গদেশে দুই প্রবাদ প্রচলিত আছে, প্রথম— দিধীতিকার রঘুনাথ শিরোমণি যখন গুরুমহাশয়ের পাঠশালায়, ক, খ, শিখিতে আরম্ভ করেন তখন গুরুমহাশয়ের শ্ৰীমুখ হইতে সমুদয় ব্যঞ্জনবর্ণের একবার উচ্চারণ* শ্রবণ করিবামাত্র রঘুনাথ বর্ণমালার সংস্কারে প্রবৃত্ত হইলেন । বলিয়া উঠিলেন “হ্যাগ দুটা ‘জ ফুটা ‘ব’ তিনটা ‘শ রাখিবার প্রয়োজন কি ?” দ্বিতীয়—বঙ্গদেশীয় কোন কলেজের প্রিন্সিপাল সাহেব একদিন কলেজের পণ্ডিতকে স্বীয় কামরায় ডাকাইয়া বলিলেন “ওএল পণ্ডিট টোমাডের বর্ণমালার টটায় এবং চটুঠ বর্গের কিছু ভিন্নটা ড়েকাইটে পার ? আমি ট অনেক পরিশ্রম করিয়া ডেকিয়াছি ডুইরই একরূপ উচ্চারণ।” উপরে বর্ণমালার সংস্কারবিষয়ে যে দুইটি প্রবাদ উদ্ধৃত হইল আমাদের প্রস্তাব সেরূপ সংস্কার সম্বন্ধে নহে ; রঘুনাথ শিরোমণির স্তায় আমাদের বুদ্ধির তাদৃশ প্রতিভা নাই যে পাঠারম্ভেই কতকগুলি বর্ণ এবালিস করিতে চাই এবং দ্বিতীয়টার স্বায় বিদেশীয় নহি যে তৃতীয় এবং চতুর্থ বর্গের উচ্চারণ পার্থক্য দেখিতে পাই না। আমাদের প্রস্তাব স্বতন্ত্র তাহার কারণও স্বতন্ত্র । ভারতের এই অসংখ্য নিৰ্ব্বাক্ মমুষ্যের সুখ দুঃখ, স্যায় অন্যায়, শিক্ষা অশিক্ষা সকলই ইংরেজ কৰ্ম্মচারীর হাতে। এই সকল কাৰ্য্য মুশৃঙ্খলন্ধপে নিৰ্ব্বাহ করিবার নিমিত্ত র্তাহাদের এ দেশী ভাষা সকল অভ্যাস করিতে হয়, কেবল অভ্যাস নয় মধ্যে মধ্যে পরীক্ষাও দিতে হয়। বিপদের উপর বিপদ!!! তাও কি ছাই ভারতবর্ষে দেশী ভাষা একটি—মহারাট্র, কর্ণাট, মালী, তৈলঙ্গী, উড়ে, বাঙ্গাল, হিন্দি, পঞ্জাবী, উর্দু প্রভৃতি অসংখ্য। এই অসংখ্য ভাষার বর্ণমালাও অসংখ্য, অর্থাৎ প্রত্যেক ভাষার বর্ণমালার আকার বিভিন্নরূপ। • আমাদের দেশে গুরুমহাশয়ের পাঠশালায় সচরাচর ব্যঞ্জনবর্ণের প্রখম অভ্যাস कब्रॉन है ।