পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৪৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

§§8 • बजङ्गल्यात्रि [८नौय সিদ্ধান্ত কৌমুদীকার অনুস্বারকে অচ বলিয়া সিদ্ধাস্ত করিয়াছেন। “যথা অমুম্বারস্তাপি অচ স্থাৎ ” যাহা হউক এক্ষণে ব্যাকরণ শাস্ত্রের নিয়ম অনুসারে বিয়াল্লিশটি মৌলিকবর্ণ ধরা গেল। ইহার মধ্যে স্বর নয়টি । এই নয়টি স্বরের [১৩২] একশত বত্রিশ ভেদ । so ব্যঞ্জনবর্ণ—ইহার মৌলিক সংখ্যা (৩৩) ত্রয়ত্রিংশৎ মাত্র। ইহাদের ಇ7, যা ব ল ইহারা অমুনাসিক এবং নিরমুনাসিকভেদে প্রত্যেকে দুই প্রকার । যথা “অনুনাসিকাহনমুনাসিকভেদেন যবল দ্বিধা ।” এতদনুসারে ব্যঞ্জনবর্ণ ষটুত্রিংশৎ (৩৩ + ৩ = ৩৬) হইল ; কিন্তু কোন না কোন প্রকার স্বরের সাহায্য ব্যতীত ব্যঞ্জন স্বয়ং উচ্চারিত হইতে পারে না । ব্যঞ্জনের উচ্চারণ করিবার নিমিত্ত পূৰ্ব্বোক্ত এক শত বত্রিশটি স্বরের মধ্যে একটা না একটি স্বরের যোগ করিতে হইবে ; তাহা হইলে কেবল স্বরসংযোগে ব্যঞ্জনের ভেদ [ ১৩২ x ৩৬ = ৪৭৫২] ইহার উপর তাহাদের পরস্পর সংযোগ জন্য ভেদ আছে। এই পরস্পর সংযোগ উপর নীচে এই দুইপ্রকারে হইয়া থাকে। ব্যঞ্জনদিগের পরস্পর সংযোগজনিত ভেদ অসংখ্য এবং ইহা নানাকারণে হইয়া থাকে । w ১ম, প্রভিশাখ্য অর্থাৎ বৈদিক ব্যাকরণে নিয়ম আছে যে, বর্গেরঙ্গ আদি চারি বর্ণের যদি নীচে পঞ্চমবর্ণ সংযুক্ত হয়, তাহা হইলে যে বর্ণ পঞ্চমবর্ণের সহিত সংযুক্ত থাকিবে, উহা স্বসদৃশবর্ণের সহিত পূৰ্ব্বে সংযুক্ত হইবে। ঐ সংযুক্তাক্ষরের নাম যম । যথা “পলিকুরী” “চখ খ নতু” ইত্যাদি । দ্বিতীয় । দ্বিত্ব বিধান দ্বারা কতকগুলি সংযুক্ত অক্ষর বৰ্দ্ধিত হইয়াছে । যথা “অচোরহাভ্যাং দ্বে"এই সূত্র ধারা “হর্য্যমুভব?” “ন হ্যস্তি” ইত্যাদি স্থলে র এবং হতে দুইটি ‘য’ কার সংযুক্ত হইয়াছে। বা হত জঙ্কয়ো; এই বাৰ্ত্তিক সূত্র বলে পুত্রহতী’ ‘পুত্ৰজী' এই দুই স্থলে পুত্র শব্দের ত কারের সহিত আর একটা ত কারের সংযোগ হইয়াছে। “ত্রি প্রভূতিষু শাটকায়নস্য” এই সূত্র দ্বার ‘রাষ ষ্ট্রং ইন্দ্র ইত্যাদি পদস্থিত ‘ব’ কার এবং 'ন' কার আর একটি করিয়া ‘ব’ এবং 'ন' কারের সহিত সংযুক্ত হইয়াছে ৷ ইত্যাদি ।

  • ক হইতে ম পর্যন্ত ব্যঞ্জনবর্ণকে বর্গ বলে । ক খ গ ঘ ঙ । এই পাচটি কবর্গ। চ ছ

জ ঝ ঞ । চবর্গ ইত্যাদি । বগেৰুস্থিানাঙ্কফুর্ণাশঞ্চমে পরে মধ্যে যমে নাম পূৰ্বসদৃশোৰণ প্রক্তিশাখ্যে প্রসিদ্ধ ।” সিদ্ধাস্তকৌমুদী।