পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(NÒe क्षणक्षंबि [ भाष দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ অধিত্যকাবাস ও পৌরুষ মহাকবি মিল্টন গাইয়াছেন— “মহীধর-অধিষ্ঠাত্ৰী,স্বাধীনতা দেবী '* বাঙ্গালা যদি পাৰ্ব্বত্যদেশ হইত, তাহা হইলে বাঙ্গালিদের পৌরুষ, নেপালের গোরক্ষদের স্তায় না হউক, অন্তত: কাশ্মীরীদের স্যায় হইতে পারিত ৷ ” যদি আফগানস্থান পাৰ্ব্বত্য দেশ না হইত তাহা হইলে পঞ্জাব জয় পরেই ঐ দেশ ইংরেজাধিকৃত হইত সন্দেহ নাই । ১৮৭৮ খৃষ্টাব্দের নভেম্বরে যে যুদ্ধারম্ভ হয়, সে যুদ্ধে আফগানস্থানের উপত্যক প্রদেশ ব্রিটিস সেনা অনায়াসে জয় করিয়াছিল ; অধিত্যক জয় অতি দুরূহ ব্যাপার। যদি আমাদের রাজপুরুষগণ ভারতের ন্যায় আফগানস্থান অধিকৃত করিবার চেষ্টা করিতেন, তাহা হইলে কৃতকাৰ্য্য হইতেন না এমন কথা বলা যাইতে পারে না ; কিন্তু আফগানদের এরূপ পৌরুষ ও স্বাধীনতাপ্রিয়তা যে অর্থব্যয়ে আমাদের রাজকোষ শূন্যপ্রায় হইত এবং ভারতসৈনিকদের রক্তে অধিকৃত দেশ প্লাবিত হইত। নেপাল পাৰ্ব্বত্যদেশ বলিয়াই নেপালরাজের পদ মহারাজা সিন্ধিয়া ও মহারাজা হোলকারের পদাপেক্ষা উন্নত । নেপালে ইংরেজ রেসিডেণ্ট আছেন । ভোটে তাহাও নাই। ভোটরাজ সৰ্ব্বতোভাবে স্বাধীন। ভোট পাৰ্ব্বত্যদেশ না হইলে এই স্বাধীনতা কোন কালে অস্তৰ্হিত হইত। কেহ কেহ এই আপত্তি উথাপন করিতে পারেন, ‘পাৰ্ব্বতাদেশে বাসের সহিত পৌরুষের কি সম্বন্ধ ? পাৰ্ব্বত্যদেশ একটি বৃহৎ দুর্গস্বরূপ ; সেই দুৰ্গই স্বাধীনতা রক্ষা করিতেছে ; পৌরুষের কি কাৰ্য্য ? ইহার উত্তর এই যে অধিত্যকাবাস পৌরুষবৰ্দ্ধন ও পৌরুষসহায় । পৌরুষ ব্যতীত কেবল দুর্গবলে স্বাধীনতার রক্ষা হয় না । বস্তুতঃ পৌরুষ হইতে যেমন বুদ্ধিবলও অস্ত্রবল বিচ্ছিন্ন হইতে পারে না, তেমন গবলেরও বিচ্ছেদ হইতে পারে ন। মজুয্যের যদি কেবল. প্রকৃতিদত্ত নখ ও দস্তের উপর নির্ভর করিতে হইত, তাহা হইলে মমুষ্যের স্তায় দুৰ্ব্বল জীব অতি বিরল ; এতদিন সিংহ ও ব্যান্ত্ৰে মানবকুল ধ্বংস করিয়া ফেলিত। বীরেন্দ্র অর্জনের যদি গাওঁীব না থাকিত, যদি তিনি নিরক্স হইতেন, তাহা হইলে একজন সাধারণ অন্তধারী কৌরবসৈনিক • “The mountain-nymph, sweet Liberty.”