পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(GN” बछछथञि [ कॉरून হুইলে কেমন হয় ? তাইদ আনন্দরাম বাড়,য্যে হাসিয়া কহিয়া উঠিলেন “তবে ত সোণায় সোহাগা মহাশয়” কিন্তু এ সকল তদ্ধির জন্য প্রতিপত্তিশালী দেওয়ানজী গজানন চৌধুরী মহাশয়ের সাহায্য আবশ্বক। পাঠক একবার গজাননের গোশালার প্রাঙ্গণকোণে নয়ন নিক্ষেপ কর । তথায় গজানন রাত্রিশেষে যা কিছু মাল পাইয়াছেন উড়াইতে পুড়াইতে ফুকিতে ব্যস্ত। টাকার তোড়া দুইট নিজ ধনাগারে বন্ধ করিয়াছেন, কেবল বাহককে দুই হাতে দুই ফাক মুষ্টিতে কয়েকটি টাকা উড়াইয়া পুরস্কার দিয়া বিদায় করিয়াছেন, জানিতেছেন রঘুবীর এখন কিয়দিবসের জন্য স্থানান্তরে “গাঢাকা" দিয়াছে—দারগা সাহেবের লোক আসিয়া তাহার ফটকে বসিয়াছে, খবর পাইলেন । গজানন কহিলেন, গরজ পড়িলে অনেক লোক তল্লাস করে—সংবাদ পাঠাইলেন যে র্তাহার হাতে অনেক কৰ্ম্ম, সব শেষ করে কল্য প্রাতে দারগা সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ করিব । দেওয়ানজি বুঝিয়াছেন যে “যেমন তিনি সর্প হইয়া কাটিয়াছেন, ওঝা হইয়া আবার বিষ ঝাড়িবেন।” আবার দারগার নিকট গজাননের আসিবার বিলম্ব সম্বাদ পৌছিবামাত্র গোলাম রহমান ক্রুদ্ধ হইলেন, তাহার চক্ষু স্বভাবতঃ আবক্তবর্ণ আর দুই পোচ রাঙ্গ হইল। দাড়ি আঁচড়াইতে লাগিলেন । এবং কহিলেন এই পল্লী ত এখন শ্ৰীনগর জমিদারীর অন্তর্গত ? দেওয়ানজী এ ঘটনার কোন সম্বাদ দেন নাই, কুন্দে বাক সারিব—বাড়য্যে অনন্তরামকে হুকুম নাম লিখিয়া গজাননের কৈফিয়ত তলব করিতে অনুমতি দিলেন । এই অকু গোপন করিবার চেষ্টার জন্য জমিদারের নামে কেন না পৃথক্ অভিযোগ করা যাইবে ? সঙ্গে সঙ্গে একজন পদাতিক আবার গজাননের নিকট হুকুমনাম লইয়া দৌড়িল । ত্রিংশ পরিচ্ছেদ বিদেশ যাত্রা এদিকে আমাদের নগরে যাত্রা করিবার দিন উপস্থিত । নীলমণি মায়াতে মুখ–“কানকাটা” “ফটকা” “ছব লা” “বাঘা”, “বেঁড়ে” “আছাদে”—তাহার এক পাল প্রিয় কুকুর রহিয়াছে; আবার ছবলা, পরুপ, মুণ্ডুি, গলাফুল ও গ্রহবাজ এক “খাপান” কবুতর ভিন্ন ভিন্ন কাবুতে পালিত হইত ; যখন কপোতদল প্রাতে উড়িত ও ততুল বিতরণ হইত তখন নীলমণি বাৰু দ্বিতীয় লল্পেীয়ের নবাবের তুল্য হু হু আ—আহা শব্দে উন্মত্ত হইতেন, তাহার বড়ই আমোদ হইত।